দেওয়ানগঞ্জে নদীভাঙনে ক্ষয়ক্ষতি দেখলেন জেলা প্রশাসক এনামুল হক

যমুনা নদী ভাঙ্গন এলাকা খোলাবাড়ী সড়ক পরিদর্শন করেন জেলা প্রশাসক মোহাম্মদ এনামুল হক। ছবিটি ৪ জুলাই দুপুরে তোলা হয়েছে। ছবি : বাংলারচিঠিডটকম

বিল্লাল হোসেন মন্ডল, দেওয়ানগঞ্জ (জামালপুর) প্রতিনিধি
বাংলারচিঠিডটকম

ভারি বর্ষণ ও উজান থেকে নেমে আসা পাহাড়ি ঢলে যমুনা ব্রহ্মপুত্র দশানী নদীর পানি বৃদ্ধি পেয়ে জামালপুরের দেওয়ানগঞ্জ উপজেলার নদী ভাঙ্গন এলাকা পরিদর্শন করেছেন জেলা প্রশাসক মোহাম্মদ এনামুল হক। তিনি ৪ জুলাই দুপুরে উপজেলার চুকাইবাড়ী ও চিকাজানী ইউনিয়নে যমুনার গর্ভে বিলীন হওয়া এলাকা পরিদর্শন করেন এবং বন্যার্তদের খোঁজখবর জেনে নেন।

এছাড়াও জেলা প্রশাসক মোহাম্মদ এনামুল হক চিকাজানী ইউনিয়নের দেওয়ানগঞ্জ খোলাবাড়ী প্রধান সড়ক পরিদর্শন করেন। তিনি প্রধান সড়কটি যানবাহন চলাচল বন্ধ থাকায় প্রধান সড়কসহ নদী ভাঙ্গন এলাকা রোধে জরুরী ব্যবস্থা গ্রহণের জন্য পানি উন্নয়ন বোর্ডের কর্মকর্তাদের নির্দেশ দেন। তিনি বন্যা প্লাবিত এলাকার মানুষ যেন কোন সমস্যার সম্মুখিন না হয় সেদিকে নজর রাখার জন্য উপজেলা প্রশাসনকে নির্দেশ দেন এবং উপজেলার ৮টি ইউনিয়ন পৌরসভাসহ বন্যার্ত মানুষের জন্য ৬০ মেট্রিকটন চাল বরাদ্দ করেন।

পরিদর্শনকালে উপস্থিত ছিলেন স্থানীয় সরকার বিভাগের উপ-পরিচালক মো. কবির উদ্দিন, উপজেলা পরিষদের চেয়ারম্যান সোলায়মান হোসেন, উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা সুলতানা রাজিয়া, সহকারী কমিশনার (ভূমি) আসাদুজ্জামান, উপজেলা পরিষদের ভাইস চেয়ারম্যান দেওয়ান ইমরান, পানি উন্নয়ন বোর্ডের নির্বাহী প্রকৌশলী মোহাম্মদ আবু সাইদ, প্রকল্প বাস্তবায়ন কর্মকর্তা এনামুল হাসান, জনস্বাস্থ্য প্রকৌশলী রাকিবুল হাসান, চিকাজানী ইউপি চেয়ারম্যান মমতাজ উদ্দিন আহম্মেদ ও চুকাইবাড়ী ইউপি চেয়ারম্যান সেলিম খান।

জানা গেছে, চিকাজানী ইউনিয়নের চারটি ওয়ার্ড নদীগর্ভে বিলীন হওয়ায় ৩ হাজার মানুষ বাস্তুহারা হয়ে পড়েছে। চুকাইবাড়ী ইউনিয়নের যমুনা তীরবর্তী গ্রামগুলো যমুনা নদী গর্ভে বিলীনের পথে। জরুরীভাবে নদী ভাঙ্গন রোধ না করা হলে চিকাজানী ও চুকাইবাড়ী ইউনিয়ন যমুনা নদীগর্ভে বিলীন হওয়ার আশংকা রয়েছে।