বকশীগঞ্জ (জামালপুর) প্রতিনিধি
বাংলারচিঠিডটকম
জামালপুরের বকশীগঞ্জ উপজেলায় বন্যার পরিস্থিতি অপরিবর্তিত রয়েছে। ২ জুলাই সারাদিন বন্যার পানি বৃদ্ধি বা কমে যায় নি। পানি স্থিতিশীল অবস্থায় রয়েছে।
এখন পর্যন্ত চারটি ইউনিয়নে বন্যার পানিতে ৩০টি গ্রামের ৩৬ হাজার মানুষ পানিবন্দি হয়ে পড়েছে। চরম দুর্ভোগে পড়েছেন বন্যা কবলিত এলাকার মানুষ।
সাধুরপাড়া ইউনিয়নের বিলেরপাড়, বাংগাল পাড়া, মদনের চর, চর গাজীরপাড়া, চর কামালের বার্ত্তী, চর আইরমারী, কতুবের চর গ্রামের সব যোগাযোগ ব্যবস্থা বিচ্ছিন্ন রয়েছে।
গাজীরপাড়া বাজার হতে বাংগাল পাড়া সড়কের উপর নির্মিত একটি ১০০ মিটারের বাঁশের সাঁকো বন্যার পানির প্রবল স্রোতে ভেসে গেছে। এতে করে চারটি গ্রামের মানুষকে সীমাহীন দুর্ভোগ পোহাতে হচ্ছে।
সাধুরপাড়া ইউনিয়নের চর কামালের বার্ত্তী খালের উপর নির্মিত আরেকটি বাঁশের সাঁকো ভেঙে পড়ায় মানুষের চলাচল বন্ধ রয়েছে।
এছাড়াও মেরুরচর ইউনিয়নের ঘুঘরাকান্দি, উজান কলকিহারা, ভাটি কলকিহারা, পূর্ব কলকিহারা, চিনারচর, মাইছানিরচর, আউল পাড়া, খেওয়ারচর , নিলক্ষিয়া ইউনিয়নের দক্ষিণ কুশল নগর, সাজিমারা, গোমের চর পাগলাপাড়া, বগারচর ইউনিয়নের আলীরপাড়া, বালুরচর, পেরিরচর, টালিয়া পাড়া, সাতভিটা গ্রামসহ ৩০টি গ্রাম প্লাবিত হয়েছে।
বন্যার প্রবল স্রোতের কারণে গত এক সপ্তাহে সাধুরপাড়া ইউনিয়নের চর কামালের বার্ত্তী, আইরমারী, বাংগাল পাড়া, নিলক্ষিয়া ইউনিয়নের দক্ষিণ কুশল নগর গ্রাম, মেরুরচর ইউনিয়নের পূর্ব কলকিহারা, উজান কলকিহারা গ্রামের অর্ধশত ভিটা মাটি ব্রহ্মপুত্র নদ ও দশানী নদীতে বিলীন হয়ে গেছে। অনেকেই দ্রুত বাড়ি ঘর অন্যত্র সড়িয়ে নিচ্ছেন।
১ জুলাই বিকালে উপজেলা পরিষদের চেয়ারম্যান আবদুর রউফ তালুকদার, উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা (ইউএনও) আ. স. ম. জামশেদ খোন্দকার, উপজেলা প্রকল্প বাস্তবায়ন কর্মকর্তা হাসান মাহাবুব খান বিভিন্ন বন্যার্ত এলাকা পরিদর্শন করেছেন।