বকশীগঞ্জ (জামালপুর) প্রতিনিধি
বাংলারচিঠিডটকম
ইচ্ছা করলে মানুষ যে সফল হতে পারে তা প্রমাণ করলেন জামালপুরের বকশীগঞ্জ উপজেলার মেধাবী মেয়ে জান্নাত। চাকরি, সংসার সামলে ৩৮তম বিসিএস (প্রশাসন) ক্যাডারে উত্তীর্ণ হয়ে সেটিই প্রমাণ করেছেন জান্নাত।
জান্নাতের বাড়ি বকশীগঞ্জ পৌর শহরের উত্তরপাড়া এলাকায়। তিনি সৌদিয়া হাউজের মালিক আবদুল ওয়াদুদের মেয়ে।
চট্টগ্রাম বিশ্ববিদ্যালয় থেকে পরিবেশ বিজ্ঞানে স্নাতক (সম্মান) ও স্নাতকোত্তর ডিগ্রি অর্জন করার পর বাবা আবদুল ওয়াদুদ ও মা জাহিদা ইয়াসমীনের অনুপ্রেরণায় বিসিএস পরীক্ষার প্রস্তুতি নিতে থাকেন জান্নাত। এরই মধ্যে বাবা-মার ইচ্ছায় বিয়েও করতে হয় তাকে। বিসিএস পরীক্ষার প্রস্তুতির পাশাপাশি হয়ে যায় সরকারি একটি চাকরিও। বাংলাদেশ কৃষি ব্যাংকের সিনিয়র অফিসার পদে যোগদান করেও লক্ষ্য থেকে পিছপা হন নি পরিশ্রমী ও মেধাবী জান্নাত। একদিকে সংসার অন্যদিকে চাকরি তুবও তিনি বিসিএস ক্যাডার হওয়ার স্বপ্ন দেখতে থাকেন।
সারাদিন সব চাপ সামলে রাতভর পড়াশুনা করতে হয়েছে তাকে। বাবা-মা পেছন থেকে উৎসাহ দিয়েছেন। সারারাত জেগে জেগে পড়াশুনা করে নিতে থাকেন বিসিএস পরীক্ষার প্রস্তুতি। বিভিন্ন ক্যাডারের কর্মকর্তা-সফল হওয়া বিশ্ববিদ্যালয়ের বড় ভাই ও বোনদের সাথেও পরামর্শ নেন কিভাবে বিএসিএস ক্যাডার হওয়া যায়।
অবশেষ ৩৮তম বিসিএস (প্রশাসন) ক্যাডারকে প্রথম চয়েস দিয়ে পরীক্ষায় অংশ নেন বকশীগঞ্জের মেধাবীমুখ জান্নাত।
সবকিছু সামলে আজ তিনি সফলতার চূড়ায় পৌছে গেছেন। সম্প্রতি ৩৮তম বিসিএস পরীক্ষার চূড়ান্ত ফলাফল প্রকাশ হলে প্রশাসন ক্যাডারে সুপারিশপ্রাপ্ত হন অদম্য নারী জান্নাত।
বিসিএসে উত্তীর্ণ হওয়ার পর তিনি জানান, ছোটবেলা থেকে ইচ্ছা ছিল মানুষের জন্য কিছু করা। বিশেষ করে প্রশাসন ক্যাডারের কর্মকর্তা হওয়ার ইচ্ছা ছিল তার। তৃণমূল মানুষের মুখে হাঁসি ফোটাতে তার এই ক্যাডারে যোগদানের প্রবল লোভ ছিল। সব মিলিয়ে সামনের দিনগুলোতে তিনি সকলের দোয়ায় দেশবাসীর সেবা করতে চান। বকশীগঞ্জের মেয়ে জান্নাত সকলের নিকট দোয়া চেয়েছেন।