হারুয়াবাড়ী সেতু পুনর্নির্মাণের দাবি

হারুয়াবাড়ী ভাঙ্গা সেতু। ছবি : বাংলারচিঠিডটকম

বোরহানউদ্দিন, সানন্দবাড়ী (দেওয়ানগঞ্জ) প্রতিনিধি
বাংলারচিঠিডটকম

জামালপুরের দেওয়ানগঞ্জ উপজেলার ডাংধরা ইউনিয়নের হারুয়াবাড়ী হতে বাগানবাড়ী রাস্তার মাঝে, হারুয়াবাড়ী সরকারী প্রাথমিক বিদ্যালয়ের সামনে ভাঙ্গা সেতু। যা পুনর্নির্মাণের জোড় দাবি উঠেছে।

সেতুটির জন্য সংসদ সদস্য আবুল কালাম আজাদ ২০১২-১৩ অর্থ বছরে বাজেট পান। ২০১৩ সালে ঠিকাদার মোমিনুল ইসলাম (লাল মিয়া) মুহুরির দায়িত্বে সেতুটির কাজ সম্পন্ন করা হয়। কিন্তু বিধিবাম এলাকাবাসীর ভাগ্যে আরও চরম দুর্ভোগ নেমে আসে।

এলাকাবাসী সূত্রে জানা যায় যে, ২০১৩ সালে সেতুটি সম্পন্ন করা হলে, উদ্বোধন করার দুদিন আগেই সেতুটি ভেঙ্গে যায়। এতে এপার ওপার ১০টি গ্রামের প্রায় ১৫ হাজার মানুষের দুর্ভোগ পোহাতে হয়। এলাকাবাসী আরও জানায়, সেতু হওয়ার পূর্বে সেখানকার আশেপাশের প্রায় ৬০ থেকে ৭০ বিঘা জমিতে ইরি (বোরো) ধান চাষাবাদ হতো। কিন্তু সেতু ভেঙ্গে গেলে পানির স্রোতের তীব্রতায় সেখানে বিশাল আকারের গর্তের সৃষ্টি হয় এবং আশেপাশের ৬০ থেকে ৭০ বিঘা জমিতে পরে শুধু বালু আর বালু।

শুকনো মৌসুমে মানুষ ঘুরপথে পার হলেও বন্যার সময় মানুষের পারাপারে চরম দুর্ভোগ পোহাতে হয়। এই ভাঙ্গা সেতুর আশেপাশে রয়েছে ৫টি প্রাথমিক বিদ্যালয়, একাধিক হাফিজিয়া মাদরাসা, নূরানী মাদরাসা, মহিলা মাদরাসা, কওমি মাদরাসাসহ অনেকগুলো জামে মসজিদ। স্কুল কলেজের ছাত্রছাত্রীসহ শতশত লোকজনের যাতায়াতে দুর্ভোগ লাঘবে সেতুটি পুনর্নির্মাণের জোর দাবি জানানো হয়।

এলাকার আব্দুর রাজ্জাক মন্ডল বলেন, এরকম একটা ছোট ও নিম্নমানের সেতুর কাজ করার কারণে, উদ্বোধনের দুদিন আগেই সেতুটি ভেঙ্গে যায়। যার ফলে এলাকার আবাদি জমি ভেঙ্গে বালুচরে পরিণত হয়েছে। আমরা বাংলাদেশ সরকারের কাছে একটা টেকসই মজবুত সেতু চাই।

কৃষক জসমত আলী বলেন, আমরা পারাপার হতে পারিনা। আমাদের বাড়িঘর ভেঙ্গে যাইতেছে, আমরা বাঁচতে চাই, ভাল মজবুত সেতু হলে আমরা শান্তিতে থাকতে পারবো।

ডাংধরা ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান শাহ মোহাম্মদ মাসুদ জানান, সেতুটির অভাবে হারুয়াবাড়ী, বাগানবাড়ি, পানতামারী এলাকার ২০/২৫ হাজার জনগণের যাতায়াতে দুর্ভোগ পোহাতে হয়। সেতুটি নির্মাণ করা অতি জরুরী।

এলাকার ভুক্তভোগী মানুষ সেতুটি নির্মাণের জন্য সংশ্লিষ্ট কর্তৃপক্ষের নিকট জোর দাবি জানান।