ঢাকা ০৬:৫৭ অপরাহ্ন, মঙ্গলবার, ১৭ সেপ্টেম্বর ২০২৪, ২ আশ্বিন ১৪৩১ বঙ্গাব্দ
সংবাদ শিরোনাম :
বাংলাদেশে সংখ্যালঘু বলতে কিছু নেই, আমরা সবাই ভাই ভাই : ফরিদুল কবীর তালুকদার শামীম জার্মানি বাংলাদেশকে ১শ’ কোটি ইউরো দেবে : রিজওয়ানা গাজায় ‘দীর্ঘ যুদ্ধের’ জন্য প্রস্তুত হামাস শেরপুরের জেল পলাতক ৩০ বছরের কারাদণ্ডপ্রাপ্ত কয়েদি ফিরোজ র‌্যাবের হাতে গ্রেপ্তার মহানবী (সা.) এর পুরো জীবনটাই আমাদের জন্য আদর্শ : ধর্ম উপদেষ্টা জামালপুরে জেসিসিআই’র উদ্যোগে পবিত্র ঈদে মিলাদুন্নবী (সা.) উপলক্ষে মিলাদ মাহফিল জামালপুরে অতিথি লিমিটেডের ইউজার প্রেজেন্টেশন যানজট সমস্যার সমাধান খোঁজার নির্দেশ প্রধান উপদেষ্টার বড়পুকুরিয়া তাপ বিদ্যুৎ কেন্দ্রের তৃতীয় ইউনিটে বিদ্যুৎ উৎপাদন শুরু আন্তর্জাতিক অপরাধ ট্রাইব্যুনালে শেখ হাসিনাসহ ২২৮ জনের বিরুদ্ধে ৫ অভিযোগ

সরিষাবাড়ীতে করোনা উপসর্গ নিয়ে পোশাককর্মীর মৃত্যু

সরিষাবাড়ী প্রতিনিধি
বাংলারচিঠিডটকম

জামালপুরের সরিষাবাড়ী উপজেলায় করোনাভাইরাসের উপসর্গ নিয়ে সোলায়মান হোসেন (৩৭) নামে এক পোশাককর্মীর মৃত্যু হয়েছে। ৩ জুন ভোরে উপজেলার ভাটারা ইউনিয়নের ভেবলা গ্রামে বড় বোন জামাই বদর আলীর বাড়িতে তার মৃত্যু হয়। সোলায়মান হোসেন মেলান্দহ উপজেলার ঝাউগড়া ইউনিয়নের ঘোষেরপাড়া গ্রামের নূরুল ইসলামের ছেলে।

স্থানীয় সূত্র জানায়, সোলায়মান হোসেন ও তার ভাগনে কাজল মিয়া নারায়ণগঞ্জের একটি পোশাক কারখানায় কাজ করতেন। ৩১ মে তিনি জ্বর, সর্দি ও শ্বাসকষ্ট নিয়ে নারায়ণগঞ্জ থেকে পালিয়ে এসে সরিষাবাড়ী উপজেলার ভাটারা ইউনিয়নের ভেবলা গ্রামের আব্দুল হালিমের ছেলে বদর আলীর বাড়িতে আত্মগোপন করেন। ৩ জুন ভোরে তার মৃত্যু হলে গ্রামবাসীর মধ্যে আতংক ছড়িয়ে পড়ে। এদিকে উপজেলা স্বাস্থ্য বিভাগে খবর দিলেও মৃত ব্যক্তির নমুনা সংগ্রহ করার কোন স্বাস্থ্যকর্মী সেখানে পাঠানো হয়নি বলে জানান এলাকাবাসী। পরিবারের লোকজন তাড়াতাড়ি করে স্বাস্থ্যবিধি না মেনে ৩ জুন দুপুরে তার লাশ দাফন করে।

ভাটারা ইউনিয়নের ৯ নম্বর ওয়ার্ড়ের ইউপি সদস্য বাদল মিয়া এ প্রতিবেদককে জানান, করোনার উপসর্গ নিয়ে মৃত্যু হওয়ায় বাড়িতে উপজেলা প্রশাসন বা স্বাস্থ্য বিভাগের কোন লোক আসেনি। মৃত ব্যক্তির কোনো নমুনাও সংগ্রহ করা হয়নি। এমন ঘটনা আমি চেয়ারম্যানকে জানিয়েছি তিনিই পরিষদ থেকে কয়েকজন গ্রাম পুলিশ পাঠিয়েছেন। তারা এসে মৃত ব্যক্তির বাড়ির সামনে বাঁশ দিয়ে বেড়া দিয়ে গেছেন যাতে ওই বাড়িতে বাইরের কোন লোক ঢুকতে বা বের হতে না পারে।

ভাটারা ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান বোরহান উদ্দিন বাদল জানান, করোনাভাইরাসের উপসর্গ নিয়ে নারায়ণগঞ্জ থেকে আসা একজনের মৃত্যু হয়েছে। বিষটি উপজেলা নিবার্হী কর্মকর্তা শিহাব উদ্দিন আহমদকে জানিয়েছি। তিনি পরিষদ থেকে গ্রাম পুলিশ পাঠানোর কথা বললে কয়েক জনকে পাঠিয়ে দেই। তারা গিয়ে মৃত ব্যক্তির বাড়ির লোকজনকে বাইরে বের হতে নিষেধ করেন। এবং বাড়ির সামনে রাস্তায় বাঁশের বেড়া দিয়ে দেন। লাশ দাফন পরিবারের লোকজনই করেছে। স্বাস্থ্য বিধি তেমনটা মানা হয়েছে কিনা জানিনা বলেও তিনি জানান।

এ ব্যাপারে উপজেলা স্বাস্থ্য ও পরিবার পরিকল্পনা কর্মকর্তা চিকিৎসক গাজী রফিকুল হক বলেন, করোনার উপসর্গ নিয়ে মৃত্যুবরণ করেছে শুনেছি। মৃত ব্যক্তির বাড়ীতে যাবার আগেই জানতে পারলাম লাশ দাফন করেছে পরিবারের লোকজন। ৪ জুন  সকালে স্বাস্থ্যকর্মী গিয়ে মৃত ব্যক্তির সংস্পর্শে আসা ওই বাড়ির সবার নমুনা সংগ্রহ করে করোনা পরীক্ষার জন্য ময়মনসিংহ মেডিকেল কলেজ হাসপাতালের পিসিআর ল্যাবে পাঠানো হবে। ওই বাড়িসহ কয়েকটি বাড়ির লোকজনকে বাইরে বের হতে নিষেধ করা হয়েছে।

আপলোডকারীর তথ্য

জনপ্রিয় সংবাদ

বাংলাদেশে সংখ্যালঘু বলতে কিছু নেই, আমরা সবাই ভাই ভাই : ফরিদুল কবীর তালুকদার শামীম

সরিষাবাড়ীতে করোনা উপসর্গ নিয়ে পোশাককর্মীর মৃত্যু

আপডেট সময় ০৮:৩৮:০১ অপরাহ্ন, বুধবার, ৩ জুন ২০২০

সরিষাবাড়ী প্রতিনিধি
বাংলারচিঠিডটকম

জামালপুরের সরিষাবাড়ী উপজেলায় করোনাভাইরাসের উপসর্গ নিয়ে সোলায়মান হোসেন (৩৭) নামে এক পোশাককর্মীর মৃত্যু হয়েছে। ৩ জুন ভোরে উপজেলার ভাটারা ইউনিয়নের ভেবলা গ্রামে বড় বোন জামাই বদর আলীর বাড়িতে তার মৃত্যু হয়। সোলায়মান হোসেন মেলান্দহ উপজেলার ঝাউগড়া ইউনিয়নের ঘোষেরপাড়া গ্রামের নূরুল ইসলামের ছেলে।

স্থানীয় সূত্র জানায়, সোলায়মান হোসেন ও তার ভাগনে কাজল মিয়া নারায়ণগঞ্জের একটি পোশাক কারখানায় কাজ করতেন। ৩১ মে তিনি জ্বর, সর্দি ও শ্বাসকষ্ট নিয়ে নারায়ণগঞ্জ থেকে পালিয়ে এসে সরিষাবাড়ী উপজেলার ভাটারা ইউনিয়নের ভেবলা গ্রামের আব্দুল হালিমের ছেলে বদর আলীর বাড়িতে আত্মগোপন করেন। ৩ জুন ভোরে তার মৃত্যু হলে গ্রামবাসীর মধ্যে আতংক ছড়িয়ে পড়ে। এদিকে উপজেলা স্বাস্থ্য বিভাগে খবর দিলেও মৃত ব্যক্তির নমুনা সংগ্রহ করার কোন স্বাস্থ্যকর্মী সেখানে পাঠানো হয়নি বলে জানান এলাকাবাসী। পরিবারের লোকজন তাড়াতাড়ি করে স্বাস্থ্যবিধি না মেনে ৩ জুন দুপুরে তার লাশ দাফন করে।

ভাটারা ইউনিয়নের ৯ নম্বর ওয়ার্ড়ের ইউপি সদস্য বাদল মিয়া এ প্রতিবেদককে জানান, করোনার উপসর্গ নিয়ে মৃত্যু হওয়ায় বাড়িতে উপজেলা প্রশাসন বা স্বাস্থ্য বিভাগের কোন লোক আসেনি। মৃত ব্যক্তির কোনো নমুনাও সংগ্রহ করা হয়নি। এমন ঘটনা আমি চেয়ারম্যানকে জানিয়েছি তিনিই পরিষদ থেকে কয়েকজন গ্রাম পুলিশ পাঠিয়েছেন। তারা এসে মৃত ব্যক্তির বাড়ির সামনে বাঁশ দিয়ে বেড়া দিয়ে গেছেন যাতে ওই বাড়িতে বাইরের কোন লোক ঢুকতে বা বের হতে না পারে।

ভাটারা ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান বোরহান উদ্দিন বাদল জানান, করোনাভাইরাসের উপসর্গ নিয়ে নারায়ণগঞ্জ থেকে আসা একজনের মৃত্যু হয়েছে। বিষটি উপজেলা নিবার্হী কর্মকর্তা শিহাব উদ্দিন আহমদকে জানিয়েছি। তিনি পরিষদ থেকে গ্রাম পুলিশ পাঠানোর কথা বললে কয়েক জনকে পাঠিয়ে দেই। তারা গিয়ে মৃত ব্যক্তির বাড়ির লোকজনকে বাইরে বের হতে নিষেধ করেন। এবং বাড়ির সামনে রাস্তায় বাঁশের বেড়া দিয়ে দেন। লাশ দাফন পরিবারের লোকজনই করেছে। স্বাস্থ্য বিধি তেমনটা মানা হয়েছে কিনা জানিনা বলেও তিনি জানান।

এ ব্যাপারে উপজেলা স্বাস্থ্য ও পরিবার পরিকল্পনা কর্মকর্তা চিকিৎসক গাজী রফিকুল হক বলেন, করোনার উপসর্গ নিয়ে মৃত্যুবরণ করেছে শুনেছি। মৃত ব্যক্তির বাড়ীতে যাবার আগেই জানতে পারলাম লাশ দাফন করেছে পরিবারের লোকজন। ৪ জুন  সকালে স্বাস্থ্যকর্মী গিয়ে মৃত ব্যক্তির সংস্পর্শে আসা ওই বাড়ির সবার নমুনা সংগ্রহ করে করোনা পরীক্ষার জন্য ময়মনসিংহ মেডিকেল কলেজ হাসপাতালের পিসিআর ল্যাবে পাঠানো হবে। ওই বাড়িসহ কয়েকটি বাড়ির লোকজনকে বাইরে বের হতে নিষেধ করা হয়েছে।