ঢাকা ১০:৩৯ পূর্বাহ্ন, বৃহস্পতিবার, ১৯ সেপ্টেম্বর ২০২৪, ৪ আশ্বিন ১৪৩১ বঙ্গাব্দ
সংবাদ শিরোনাম :
র‌্যাবের অভিযান : লক্ষ্মীরচরের ইউপি সদস্য আছান হত্যা মামলার পলাতক আসামি লাইজু গ্রেপ্তার জামালপুরে মানসম্মত শিক্ষা অর্জনে সিডসের মতবিনিময় সভা জননিরাপত্তাকে আস্থার জায়গায় নিতেই সেনাবাহিনীকে ম্যাজিস্ট্রেসি ক্ষমতা বিটিভির সংবাদ বেসরকারি টেলিভিশনে সম্প্রচারের প্রয়োজন নেই : নাহিদ বাংলাদেশে আসতে পারছেন না কলকাতার শিল্পীরা বাংলাদেশে ভারতের পণ্য রপ্তানি কমেছে ২৮ শতাংশ সরকারি চাকরিতে প্রবেশের বয়সসীমা ৩৫ নির্ধারণের প্রস্তাব ভারতের বিপক্ষে প্রথম টেস্ট জয়ের লক্ষ্য নিয়ে ১৯ সেপ্টেম্বর মাঠে নামছে বাংলাদেশ যেসব পুলিশ সদস্য এখনো কর্মস্থলে যোগদান করেনি, তাদের আর যোগদান করতে দেওয়া হবে না : স্বরাষ্ট্র উপদেষ্টা ঢাকায় সরকারি মাধ্যমিক শিক্ষক লাঞ্ছিত, জড়িত কর্মকর্তাদের বিচারের দাবিতে জামালপুরে মানববন্ধন

শেরপুরে করোনা শনাক্তের খবর পেয়েই স্বামী সন্তান নিয়ে উধাও রোগী

সুজন সেন, নিজস্ব প্রতিবেদক, শেরপুর
বাংলারচিঠিডটকম

শেরপুরের ঝিনাইগাতী উপজেলায় করোনা শনাক্ত এক নারী স্বামী সন্তান নিয়ে উধাও হয়েছে। তার নাম রাশেদা (৪০)। ওই নারীর বাড়ি উপজেলার ধানশাইল ইউনিয়নের বাগেরভিটা গ্রামে। ৩ জুন সকাল থেকে তিনি নিজ বাড়ি থেকে উধাও হন। তিনি ওই গ্রামের আনারুল ইসলামের স্ত্রী। এই দম্পত্তির ৮ এবং ৪ বছর বয়সি দুই সন্তান রয়েছে। বড় ছেলে সন্তানটি তাদের সাথে রয়েছে। অন্যদিকে ছোট সন্তানটি বাগেরহাটের এক আত্মীয়ের বাড়ি রয়েছে বলে জানা গেছে।

ঘটনার সত্যতা নিশ্চিত করে ঝিনাইগাতী হাসপাতালের পরিবার ও পরিকল্পনা কর্মকর্তা চিকিৎসক জসিম উদ্দীন বলেন, গেল ৩০ মে বিকালে রাশেদার করোনা নমুনা সংগ্রহ করা হয়। ময়মনসিংহ মেডিকেল কলেজ হাসপাতালের করোনা ল্যাবের প্রতিবেদন অনুযায়ী ২ জুন রাতে তিনি করোনা শনাক্ত হন। একই দিন (২ জুন) সকালে রাশেদার স্বামীর করোনা পরীক্ষার নমুনা সংগ্রহ করা হয়।

চিকিৎসক জসিম আরও বলেন, ধারণা করা হচ্ছে ওই পরিবারটি স্থানীয়ভাবে হেনস্থার শিকার হতে পারেন ভেবে বাড়ি ছেড়ে পালিয়েছেন। তাদেরকে খুঁজে বের করার বিষয়ে ব্যবস্থা নিতে স্থানীয় চেয়ারম্যান, থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) এবং উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তার কাছে অনুরোধ জানানো হয়েছে।

ঝিনাইগাতী হাসপাতালের চিকিৎসা কর্মকর্তা আহিদ ইকবাল এবং স্বাস্থ্য সহকারী মাসুদ রানা বলেন, ২ জুন রাতে রাশেদার করোনা প্রতিবেদন পজিটিভ আসার পর রাতেই তাকে হোম আইসোলেশনে থাকার পরামর্শ দেওয়া হয়। পরে ৩ জুন সকালে রাশেদার শারীরিক অবস্থার খোঁজ খবর নিতে বাড়িতে গেলে তাদের কাউকেই পাওয়া যায়নি। এরপর রাশেদার ব্যবহৃত মোবাইল নাম্বারে বারবার যোগাযোগের চেষ্টা করা হয়। কিন্তু রিং হলেও তিনি ফোন রিসিভ করেননি। পরে এ ঘটনা স্থানীয় চেয়ারম্যান শফিকুল ইসলাম এবং ওই বাড়ির আশপাশের লোকজনকে জানানো হয়। পরে বিকালের দিকে ওই এলাকার আজাদ এবং ফারুক নামে দু’জন জানায় ওই দম্পত্তি জেলার আরেক উপজেলা শ্রীবরদীর ভেলুয়ায় পালিয়ে যেতে পারে।

করোনা শনাক্ত রাশেদার অবস্থান জানতে তার মোবাইল ফোন ট্রেক করা হচ্ছে। এবং এর পাশাপাশি অন্য কৌশল অবলম্বন করা হচ্ছে বলে জানিয়েছেন ঝিনাইগাতী থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) আবু বকর সিদ্দিক।

আপলোডকারীর তথ্য

জনপ্রিয় সংবাদ

র‌্যাবের অভিযান : লক্ষ্মীরচরের ইউপি সদস্য আছান হত্যা মামলার পলাতক আসামি লাইজু গ্রেপ্তার

শেরপুরে করোনা শনাক্তের খবর পেয়েই স্বামী সন্তান নিয়ে উধাও রোগী

আপডেট সময় ০৯:০৭:০৭ অপরাহ্ন, বুধবার, ৩ জুন ২০২০

সুজন সেন, নিজস্ব প্রতিবেদক, শেরপুর
বাংলারচিঠিডটকম

শেরপুরের ঝিনাইগাতী উপজেলায় করোনা শনাক্ত এক নারী স্বামী সন্তান নিয়ে উধাও হয়েছে। তার নাম রাশেদা (৪০)। ওই নারীর বাড়ি উপজেলার ধানশাইল ইউনিয়নের বাগেরভিটা গ্রামে। ৩ জুন সকাল থেকে তিনি নিজ বাড়ি থেকে উধাও হন। তিনি ওই গ্রামের আনারুল ইসলামের স্ত্রী। এই দম্পত্তির ৮ এবং ৪ বছর বয়সি দুই সন্তান রয়েছে। বড় ছেলে সন্তানটি তাদের সাথে রয়েছে। অন্যদিকে ছোট সন্তানটি বাগেরহাটের এক আত্মীয়ের বাড়ি রয়েছে বলে জানা গেছে।

ঘটনার সত্যতা নিশ্চিত করে ঝিনাইগাতী হাসপাতালের পরিবার ও পরিকল্পনা কর্মকর্তা চিকিৎসক জসিম উদ্দীন বলেন, গেল ৩০ মে বিকালে রাশেদার করোনা নমুনা সংগ্রহ করা হয়। ময়মনসিংহ মেডিকেল কলেজ হাসপাতালের করোনা ল্যাবের প্রতিবেদন অনুযায়ী ২ জুন রাতে তিনি করোনা শনাক্ত হন। একই দিন (২ জুন) সকালে রাশেদার স্বামীর করোনা পরীক্ষার নমুনা সংগ্রহ করা হয়।

চিকিৎসক জসিম আরও বলেন, ধারণা করা হচ্ছে ওই পরিবারটি স্থানীয়ভাবে হেনস্থার শিকার হতে পারেন ভেবে বাড়ি ছেড়ে পালিয়েছেন। তাদেরকে খুঁজে বের করার বিষয়ে ব্যবস্থা নিতে স্থানীয় চেয়ারম্যান, থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) এবং উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তার কাছে অনুরোধ জানানো হয়েছে।

ঝিনাইগাতী হাসপাতালের চিকিৎসা কর্মকর্তা আহিদ ইকবাল এবং স্বাস্থ্য সহকারী মাসুদ রানা বলেন, ২ জুন রাতে রাশেদার করোনা প্রতিবেদন পজিটিভ আসার পর রাতেই তাকে হোম আইসোলেশনে থাকার পরামর্শ দেওয়া হয়। পরে ৩ জুন সকালে রাশেদার শারীরিক অবস্থার খোঁজ খবর নিতে বাড়িতে গেলে তাদের কাউকেই পাওয়া যায়নি। এরপর রাশেদার ব্যবহৃত মোবাইল নাম্বারে বারবার যোগাযোগের চেষ্টা করা হয়। কিন্তু রিং হলেও তিনি ফোন রিসিভ করেননি। পরে এ ঘটনা স্থানীয় চেয়ারম্যান শফিকুল ইসলাম এবং ওই বাড়ির আশপাশের লোকজনকে জানানো হয়। পরে বিকালের দিকে ওই এলাকার আজাদ এবং ফারুক নামে দু’জন জানায় ওই দম্পত্তি জেলার আরেক উপজেলা শ্রীবরদীর ভেলুয়ায় পালিয়ে যেতে পারে।

করোনা শনাক্ত রাশেদার অবস্থান জানতে তার মোবাইল ফোন ট্রেক করা হচ্ছে। এবং এর পাশাপাশি অন্য কৌশল অবলম্বন করা হচ্ছে বলে জানিয়েছেন ঝিনাইগাতী থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) আবু বকর সিদ্দিক।