শফিউল আলম লাভলু, নকলা প্রতিনিধি
বাংলারচিঠিডটকম
শেরপুরের নকলা উপজেলার বন্দটেকি গ্রামের প্রান্তিক কৃষক মোখছেদুল আলমের ৫০ শতক জমিতে ভুট্টার মোচা পরিপক্ক হলেও করোনা প্রভাবের কারণে শ্রমিক সংকট পড়ায় এবং শ্রমিকে টাকা জোগাড় করতে না পারায় অসহায় হয়ে পড়েছিলেন তিনি। তার এই অসহায়ত্বের কথা জানতে পেরে পাশে দাঁড়িয়েছেন শেরপুর জেলা পুলিশ।
‘মানবিক পুলিশের চোখে জনতার আকাঙ্খা লিখা থাকে’ এ শ্লোগানকে সামনে রেখে ৯ মে সকালে জেলা পুলিশ সুপার কাজী আশরাফুল আজীম পিপিএম এর নির্দেশে অতিরিক্ত পুলিশ সুপার (সদর সার্কেল) মো. আমিনুল ইসলামের নেতৃত্বের নকলা থানা ও চন্দ্রকোনা পুলিশ তদন্ত কেন্দ্রের পুলিশ ওই কৃষকের ৫০ শতক জমির ভুট্টার মোচা তুলে বাড়িতে পৌঁছে দিলেন।
এ সময় নকলা থানা ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মো. আলমগীর হোসেন শাহ, চন্দ্রকোনা পুলিশ তদন্ত কেন্দ্রের ইনচার্জ (আইসি) উপ-পরিদর্শক (এসআই) মোস্তাফিজুর রহমানসহ সঙ্গীয় পুলিশ সদস্যরা উপস্থিত ছিলেন।
অতিরিক্ত পুলিশ সুপার আমিনুল ইসলাম এ প্রতিনিধিকে বলেন, চন্দ্রকোনা পুলিশ তদন্ত কেন্দ্রের ইনচার্জ এসআই মোস্তাফিজুর রহমানের মাধ্যমে কৃষক মোখছেদুল আলমের অসহায়ত্বের কথা জানতে পেরে পুলিশ সুপার আশরাফুল আলম পিপিএম স্যারের নির্দেশে কৃষক মোখছেদুলের ৫০ শতক জমির ভুট্টার মোচা তুলে বাড়িতে পৌঁছে দেওয়া হয়েছে।
নকলা থানা ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মো. আলমগীর হোসেন শাহ বলেন, পুলিশ জনগণের বন্ধু। করোনা বিপদকালীন সময়ে শেরপুর জেলা পুলিশ কৃষক, হতদরিদ্র, অসহায় ও শ্রমজীবী মানুষের পাশে আছে এবং থাকবে।
এ ব্যাপারে কৃষক মোখছেদুল আলম জানান, করোনায় লকডাউনের কারণে শ্রমিকের টাকা যোগাড় করতে না পারায় ভেবেছিলেন ভুট্টার আবাদ আর ঘরে তুলতে পারবনা। কিন্তু পুলিশের এমন সহযোগিতা পেয়ে আমার পুরো পরিবার পুলিশের প্রতি কৃতজ্ঞ।