দেওয়ানগঞ্জে গণশিক্ষার শিক্ষকরা কবে বেতন পাবে?

বোরহানউদ্দিন, সানন্দবাড়ী প্রতিনিধি
বাংলারচিঠিডটকম

গণপ্রজাতন্ত্রী বাংলাদেশ সরকার দেশের প্রত্যন্ত গ্রামাঞ্চলসহ সারা বাংলাদেশে নিরক্ষরতা দুরীকরণের লক্ষ্যে সারা বাংলাদেশে বাস্তবায়ন হচ্ছে মৌলিক সাক্ষরতা প্রকল্প ২য় পর্যায়। প্রকল্পটি বাস্তবায়ন হচ্ছে জামালপুর জেলার দেওয়ানগনঞ্জ উপজেলায়। এই উপজেলায় প্রকল্প বাস্তবায়ন করছে সোস্যাল অ্যাসোসিয়েশন অব ইউনাইটেড অ্যাডভান্সমেন্ট-এসএইউএ সংস্থা।

সংস্থার নির্বাহী পরিচালক মো. মাসুদুর রহমান শোভন এর দায়িত্বে কার্যক্রম পরিচালিত হয়েছে।

দেওয়ানগঞ্জ উপজেলায় ৩০০ স্কুল কেন্দ্র চিহ্নিত ও ৬০০ জন শিক্ষক- শিক্ষিকা এবং ১৫ জন সুপারভাইজার নিয়োগ দেন। উপজেলার আটটি ইউনিয়নে একযোগে কার্যক্রম পরিচালিত হয়।

প্রতিটি স্কুল কেন্দ্রের জন্য ১৫-৪৫ বছরের ৩০ জন পুরুষ ও ৩০ জন মহিলা ছাত্র-ছাত্রী মনোনীত করা হয় এবং ২ জন শিক্ষক-শিক্ষিকা নিয়োগ করা হয়। ১ জানুয়ারি ২০১৯ থেকে ক্লাস শুরু হয় এবং ৩০ জুন প্রকল্পটির মেয়াদ শেষ হয়। গণশিক্ষা শিক্ষক-শিক্ষিকাদের অভিযোগ এ পর্যন্ত তাদের সম্মানীভাতা বকেয়া রয়েছে এবং দেওয়া হয়নি স্কুল কেন্দ্রের ঘর ভারা ও জ্বালানি খরচ।

গণশিক্ষা শিক্ষক চাঁন মিয়া বলেন, ২০১৯ সালের জুন মাসে প্রকল্পের মেয়াদ শেষ এখন ২০২০ সালের জুন মাস প্রায় আসতেছে। এখন পর্যন্ত আমাদের সম্মানীভাতা দেওয়া হচ্ছেনা। আমরা কি খেয়ে দিন কাটাবো। একদিকে মহামারী করোনার প্রাদুর্ভাবে সবকিছু বন্ধ, অপরদিকে পাচ্ছিনা বকেয়া বিল, আমরা কি না খেয়ে মরবো?

গণশিক্ষা শিক্ষিকা রুপালী আক্তার বলেন, এমনি ছয়মাস চাকরি করার পর প্রজেক্ট শেষ হওয়ায় উপজেলার ৬০০ শিক্ষক বেকার হয়ে পরেছি, তার মধ্যে সম্মানী ভাতা বকেয়া পরায় আমরা আরও অচল অবস্থায় দিনকাল চলছে। তিনি আরও বলেন, নিজের পকেটের টাকায় স্কুল কেন্দ্রের ঘর ভারা ও জ্বালানি খরচে চালিয়েছি।

গণশিক্ষা শিক্ষক আব্দুল্লাহ আল মামুন বলেন, এতোদিন হয়ে গেলো তবুও সম্মানীভাতা পাচ্ছিনা, একদিকে বেকারত্ব অবস্থায় জীবন যাপন করছি, অপরদিকে সম্মানী ভাতা পাচ্ছিনা, কেমনে জীবন চলে। এসএইউএ এর নির্বাহী পরিচালক মো. মাসুদুর রহমানের কাছে বারবার ফোন করেছি, সে দেবো দেবো বলেই যাচ্ছে, কিন্তু কোন অগ্রগতি দেখতে পাচ্ছিনা।

গণশিক্ষা শিক্ষক হাফিজুর রহমান বলেন, এতোদিন হয়ে গেলো তবুও সম্মানীভাতা পাচ্ছিনা, নির্বাহী পরিচালক মো. মাসুদুর রহমান ফোনে একেক সময় একেক ধরনের কথা বলেন, কিন্তু কোন প্রকার ইতিবাচক সারা পাইনি। ইউএনও মহোদয়ের নিকট ফোন করেছি, তবুও কোন ফলাফল পেলাম না। সব শিক্ষকগণের একটা প্রশ্ন আমরা কি বেতন পাব।

এ ব্যাপারে সোস্যাল অ্যাসোসিয়েশন অব ইউনাইটেড অ্যাডভান্সমেন্ট-এসএইউএ এর নির্বাহী পরিচালক মো. মাসুদুর রহমান এর সাথে ফোনে যোগাযোগ করতে চাইলে, তার মুঠোফোন বন্ধ পাওয়া যায়।