ঢাকা ১১:০৫ পূর্বাহ্ন, বৃহস্পতিবার, ১৯ সেপ্টেম্বর ২০২৪, ৪ আশ্বিন ১৪৩১ বঙ্গাব্দ
সংবাদ শিরোনাম :
র‌্যাবের অভিযান : লক্ষ্মীরচরের ইউপি সদস্য আছান হত্যা মামলার পলাতক আসামি লাইজু গ্রেপ্তার জামালপুরে মানসম্মত শিক্ষা অর্জনে সিডসের মতবিনিময় সভা জননিরাপত্তাকে আস্থার জায়গায় নিতেই সেনাবাহিনীকে ম্যাজিস্ট্রেসি ক্ষমতা বিটিভির সংবাদ বেসরকারি টেলিভিশনে সম্প্রচারের প্রয়োজন নেই : নাহিদ বাংলাদেশে আসতে পারছেন না কলকাতার শিল্পীরা বাংলাদেশে ভারতের পণ্য রপ্তানি কমেছে ২৮ শতাংশ সরকারি চাকরিতে প্রবেশের বয়সসীমা ৩৫ নির্ধারণের প্রস্তাব ভারতের বিপক্ষে প্রথম টেস্ট জয়ের লক্ষ্য নিয়ে ১৯ সেপ্টেম্বর মাঠে নামছে বাংলাদেশ যেসব পুলিশ সদস্য এখনো কর্মস্থলে যোগদান করেনি, তাদের আর যোগদান করতে দেওয়া হবে না : স্বরাষ্ট্র উপদেষ্টা ঢাকায় সরকারি মাধ্যমিক শিক্ষক লাঞ্ছিত, জড়িত কর্মকর্তাদের বিচারের দাবিতে জামালপুরে মানববন্ধন

হাজিপুরে পারিবারিক কবরস্থানে সমাহিত হলেন করোনা যোদ্ধা সুলতানুল

হাজিপুরে করোনা যোদ্ধা সুলতানুল আরেফিনের নামাজে জানাজা। ছবি : এস এ সুমন

হাজিপুরে করোনা যোদ্ধা সুলতানুল আরেফিনের নামাজে জানাজা। ছবি : এস এ সুমন

জ্যেষ্ঠ প্রতিবেদক
বাংলারচিঠিডটকম

করোনাভাইরাসে আক্রান্ত হয়ে ঢাকায় মৃত্যুবরণকারী পুলিশের উপপরিদর্শক (এসআই) সুলতানুল আরেফীনকে (৪৪) তার গ্রামের বাড়ি জামালপুর সদরের মেষ্টা ইউনিয়নের হাজিপুর ফকিরপাড়া গ্রামে পারিবারিক কবরস্থানে সমাহিত করা হয়েছে। ২ মে বিকেলে জেলা পুলিশের গার্ড অব অনার ও আইইডিসিআরের নিয়ম অনুসরণ করে পারিবারিক কবরস্থানে তাকে সমাহিত করা হয়েছে।

পুলিশ সূত্র জানায়, এসআই সুলতানুল আরেফিন ঢাকা মেট্রোপলিটন পুলিশের পাবলিক অর্ডার ম্যানেজমেন্ট (পিওএম) পশ্চিম বিভাগে কর্মরত ছিলেন। তাঁর শরীরে করোনাভাইরাস শনাক্ত হওয়ার পর তিনি রাজারবাগ কেন্দ্রীয় পুলিশ হাসপাতালে চিকিৎসাধীন ছিলেন। শারীরিক অবস্থার অবনতি হলে তাঁকে নিবিড় পরিচর্যা কেন্দ্রে (আইসিইউ) স্থানান্তর করা হয়। সেখানে চিকিৎসাধীন অবস্থায় ২ মে ভোরে মৃত্যুবরণ করেন তিনি।

ঢাকা থেকে ডিএমপির একটি লাশবাহী গাড়িতে করে সুলতানুল আরেফিনের মরদেহ ২ মে বিকেল পৌনে পাঁচটায় তাঁর গ্রামের বাড়ি জামালপুর সদরের মেষ্টা ইউনিয়নের হাজিপুর ফকিরপাড়া গ্রামে আনা হয়। আইইডিসিআরের নিয়ম অনুসরণ করে আগে থেকেই কবর খোঁড়া ও জানাজাসহ মরদেহ দাফনের সার্বিক প্রস্তুতি নিয়ে রাখে জামালপুর সদর থানা পুলিশ। তাঁর মরদেহ গ্রহণ করার পর তাকে জেলা পুলিশের পক্ষ থেকে গার্ড অব অনার জানান জামালপুর সদর থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মো. সালেমুজ্জামান ও ছয়জন পুলিশ সদস্য। জানাজা নামাজে ইমামতি করেন মৃত এসআই সুলতানুল আরেফিনের কণিষ্ঠ সহোদর মেহেদী ইসলাম এবং ইসলামিক ফাউন্ডেশন মনোনীত আরো ছয়জন মুসল্লি জানাজায় অংশ নেন। জানাজা শেষে তাকে পারিবারিক কবরস্থানে দাফন করা হয়।

পারিবারিক সূত্র জানায়, এসআই সুলতানুল আরেফিন ঢাকায় মিরপুরে পুলিশ কোয়াটারে একা বসবাস করতেন। তাঁর ডাক নাম হীরা। এই নামেই গ্রামের বাড়িতে তিনি সবার কাছে পরিচিত ছিলেন। ময়মনসিংহে পুলিশ লাইন্স এলাকায় তাঁর নিজস্ব বাসায় থাকতেন স্ত্রী মনোয়ারা বেগম, তিন মেয়ে ও এক ছেলে। ছেলে-মেয়েদের নিয়ে শোকার্ত মনোয়ারা বেগম আজ শনিবার তার স্বামীর গ্রামের বাড়িতে উপস্থিত ছিলেন। জানাজা নামাজের ঘন্টাখানেক আগে জামালপুরের পুলিশ সুপার মো. দেলোয়ার হোসেন ওই বাড়িতে গিয়ে সুলতানুল আরেফিনের স্ত্রী ও ছেলেমেয়েসহ নিকটাত্মীয়দের প্রতি সমবেদনা এবং এসআই সুলতানুল আরেফিনের আত্মার শান্তি কামনা করে শোকসন্তপ্ত পরিবারের সদস্যদের পাশে থেকে সার্বিক সহযোগিতার আশ্বাস দেন।

আপলোডকারীর তথ্য

জনপ্রিয় সংবাদ

র‌্যাবের অভিযান : লক্ষ্মীরচরের ইউপি সদস্য আছান হত্যা মামলার পলাতক আসামি লাইজু গ্রেপ্তার

হাজিপুরে পারিবারিক কবরস্থানে সমাহিত হলেন করোনা যোদ্ধা সুলতানুল

আপডেট সময় ০৯:২৯:২০ অপরাহ্ন, শনিবার, ২ মে ২০২০
হাজিপুরে করোনা যোদ্ধা সুলতানুল আরেফিনের নামাজে জানাজা। ছবি : এস এ সুমন

জ্যেষ্ঠ প্রতিবেদক
বাংলারচিঠিডটকম

করোনাভাইরাসে আক্রান্ত হয়ে ঢাকায় মৃত্যুবরণকারী পুলিশের উপপরিদর্শক (এসআই) সুলতানুল আরেফীনকে (৪৪) তার গ্রামের বাড়ি জামালপুর সদরের মেষ্টা ইউনিয়নের হাজিপুর ফকিরপাড়া গ্রামে পারিবারিক কবরস্থানে সমাহিত করা হয়েছে। ২ মে বিকেলে জেলা পুলিশের গার্ড অব অনার ও আইইডিসিআরের নিয়ম অনুসরণ করে পারিবারিক কবরস্থানে তাকে সমাহিত করা হয়েছে।

পুলিশ সূত্র জানায়, এসআই সুলতানুল আরেফিন ঢাকা মেট্রোপলিটন পুলিশের পাবলিক অর্ডার ম্যানেজমেন্ট (পিওএম) পশ্চিম বিভাগে কর্মরত ছিলেন। তাঁর শরীরে করোনাভাইরাস শনাক্ত হওয়ার পর তিনি রাজারবাগ কেন্দ্রীয় পুলিশ হাসপাতালে চিকিৎসাধীন ছিলেন। শারীরিক অবস্থার অবনতি হলে তাঁকে নিবিড় পরিচর্যা কেন্দ্রে (আইসিইউ) স্থানান্তর করা হয়। সেখানে চিকিৎসাধীন অবস্থায় ২ মে ভোরে মৃত্যুবরণ করেন তিনি।

ঢাকা থেকে ডিএমপির একটি লাশবাহী গাড়িতে করে সুলতানুল আরেফিনের মরদেহ ২ মে বিকেল পৌনে পাঁচটায় তাঁর গ্রামের বাড়ি জামালপুর সদরের মেষ্টা ইউনিয়নের হাজিপুর ফকিরপাড়া গ্রামে আনা হয়। আইইডিসিআরের নিয়ম অনুসরণ করে আগে থেকেই কবর খোঁড়া ও জানাজাসহ মরদেহ দাফনের সার্বিক প্রস্তুতি নিয়ে রাখে জামালপুর সদর থানা পুলিশ। তাঁর মরদেহ গ্রহণ করার পর তাকে জেলা পুলিশের পক্ষ থেকে গার্ড অব অনার জানান জামালপুর সদর থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মো. সালেমুজ্জামান ও ছয়জন পুলিশ সদস্য। জানাজা নামাজে ইমামতি করেন মৃত এসআই সুলতানুল আরেফিনের কণিষ্ঠ সহোদর মেহেদী ইসলাম এবং ইসলামিক ফাউন্ডেশন মনোনীত আরো ছয়জন মুসল্লি জানাজায় অংশ নেন। জানাজা শেষে তাকে পারিবারিক কবরস্থানে দাফন করা হয়।

পারিবারিক সূত্র জানায়, এসআই সুলতানুল আরেফিন ঢাকায় মিরপুরে পুলিশ কোয়াটারে একা বসবাস করতেন। তাঁর ডাক নাম হীরা। এই নামেই গ্রামের বাড়িতে তিনি সবার কাছে পরিচিত ছিলেন। ময়মনসিংহে পুলিশ লাইন্স এলাকায় তাঁর নিজস্ব বাসায় থাকতেন স্ত্রী মনোয়ারা বেগম, তিন মেয়ে ও এক ছেলে। ছেলে-মেয়েদের নিয়ে শোকার্ত মনোয়ারা বেগম আজ শনিবার তার স্বামীর গ্রামের বাড়িতে উপস্থিত ছিলেন। জানাজা নামাজের ঘন্টাখানেক আগে জামালপুরের পুলিশ সুপার মো. দেলোয়ার হোসেন ওই বাড়িতে গিয়ে সুলতানুল আরেফিনের স্ত্রী ও ছেলেমেয়েসহ নিকটাত্মীয়দের প্রতি সমবেদনা এবং এসআই সুলতানুল আরেফিনের আত্মার শান্তি কামনা করে শোকসন্তপ্ত পরিবারের সদস্যদের পাশে থেকে সার্বিক সহযোগিতার আশ্বাস দেন।