ঢাকা ০৬:১১ পূর্বাহ্ন, শুক্রবার, ২০ সেপ্টেম্বর ২০২৪, ৫ আশ্বিন ১৪৩১ বঙ্গাব্দ
সংবাদ শিরোনাম :
মূল সংস্কার উদ্যোগে বিশ্বব্যাংকের সহায়তার অঙ্গীকার হাসানকে সামলে অশ্বিন-জাদেজার ব্যাটে প্রথম দিন ভারতের জেলা প্রশাসক হাছিনা বেগমের সাথে জমিয়াতুল মোদার্রেছিন নেতাদের সাক্ষাত ধারালো অস্ত্রের কোপে জামালপুর জিলা স্কুলের দশম শ্রেণির ছাত্র তূর্য গুরুতর আহত তাপপ্রবাহ নিয়ে যা জানা গেল জরাজীর্ণ টিনশেড ঘরে চলছে সবুজপুর ইসলামীয়া দাখিল মাদরাসার পাঠদান সত্যিকারের জনবান্ধব পুলিশ হোন : স্বরাষ্ট্র উপদেষ্টা ফিলিস্তিন ভূখণ্ডে ইসরাইলের ‘অবৈধ’ দখলদারিত্ব বন্ধের দাবি ইসরাইলের সাথে সর্বাত্মক যুদ্ধের আশঙ্কা লেবাননের র‌্যাবের অভিযান : লক্ষ্মীরচরের ইউপি সদস্য আছান হত্যা মামলার পলাতক আসামি লাইজু গ্রেপ্তার

বেতন বন্ধ, জিল বাংলা সুগার মিলের শ্রমিকরা বিপাকে

দেওয়ানগঞ্জ জিল বাংলা সুগার মিল। ছবি : বাংলারচিঠিডটকম

দেওয়ানগঞ্জ জিল বাংলা সুগার মিল। ছবি : বাংলারচিঠিডটকম

বিল্লাল হোসেন মন্ডল, দেওয়ানগঞ্জ (জামালপুর) প্রতিনিধি
বাংলারচিঠিডটকম

জামালপুরের দেওয়ানগঞ্জ উপজেলায় ঐহিত্যবাহী জিল বাংলা সুগার মিলের শ্রমিকদের তিন মাসের বিল বেতন বন্ধ থাকায় দেখা দিয়েছে শ্রমিকদের বড়ই দুর্দিন। মানবেতর জীবন যাপন করছে ৮৮৭ জন শ্রমিক কর্মচারী।

মিল সূত্রে জানা গেছে, স্থায়ী ও অস্থায়ী মৌসুমে চুক্তির ভিত্তিতে ৮৮৭ জন শ্রমিক কর্মচারী মিলে কর্মরত রয়েছে। গত আখ মাড়াই মৌসুমে ৫ হাজার ১৫৩ মেট্রিক টন চিনি উৎপাদন করা হয়েছে মিলটিতে।

১৬ এপ্রিল সকালে জিল বাংলা সুগার মিল এলাকায় শ্রমিকদের সাথে কথা বলে জানা গেছে তাদের কষ্টের কথা।

স্থায়ী মিল শ্রমিক পাম্প ড্রাইভার বিল্লাল মিয়া বলেন, পায়ের ঘাম ফেলে সংসার ও ছেলেমেয়ের লেখাপড়ার খরচ জোগাতে হয়। তিনমাস যাবৎ বেতন বন্ধ থাকায় পরিবার পরিজন নিয়ে কষ্টে আছি।

স্থায়ী শ্রমিক আনোয়ার হোসেন মোল্লা বলেন, সরকারের টাকার অভাব নাই। মিলের চাষী ও শ্রমিকদের বেলায় টাকা থাকে না। আজ সন্তানদের নিয়ে না খেয়ে থাকতে হয়। করোনাভাইরাস সংক্রমণের আগে মিল বাজার থেকে চাল, ডাল ও নিত্য প্রয়োজনীয় দ্রব্য বাকি নিয়েছি। চলতি মাসসহ চারমাস যাবৎ বেতন বন্ধ থাকায় দোকানের বাকি টাকা পরিশোধ না করাতে দোকানদার বাকি খরচ দেওয়া বন্ধ করে দিয়েছে। দেশে যে করোনাভাইরাস সংক্রমণ বৃদ্ধি পাইতেছে এই মুহূর্তে অসুস্থ হলে চিকিৎসার অভাবে মরা ছাড়া আর কোন উপায় নাই।

জিল বাংলা সুগার মিলের ওয়ার্কাস ইউনিয়নের সাধারণ সম্পাদক রায়হানুল ইসলাম বলেন, শ্রমিকদের চারমাসের বেতন বকেয়া রাখায় পরিবার সন্তান নিয়ে অনাহারে দিন যাপন করছে শ্রমিকরা। করোনার কারণে কেউ কোথাও ধার-দেনা করতেও বের হচ্ছে না। তাই শ্রমিকদের জীবনযাত্রা উন্নয়নের লক্ষ্যে মাননীয় প্রধানমন্ত্রী ও শিল্পমন্ত্রীর সুদৃষ্টি কামনা করছি।

জিল বাংলা সুগার মিল ব্যবস্থাপনা পরিচালক আশরাফ আলী বলেন, সব মিলের বকেয়া জমে আছে। তাছাড়া অনেক সমস্যা মাথায় নিয়ে চলছে এই মিলটি। করোনা সংক্রমণ পরিস্থিতির কারণে বন্ধ থাকায় তাই শ্রমিকদের বেতন দিতে বিলম্ব হচ্ছে। সরকারি ছুটি শেষ হলে বেতন দেওয়া হবে।

আপলোডকারীর তথ্য

জনপ্রিয় সংবাদ

মূল সংস্কার উদ্যোগে বিশ্বব্যাংকের সহায়তার অঙ্গীকার

বেতন বন্ধ, জিল বাংলা সুগার মিলের শ্রমিকরা বিপাকে

আপডেট সময় ০৮:৪৬:২২ অপরাহ্ন, বৃহস্পতিবার, ১৬ এপ্রিল ২০২০
দেওয়ানগঞ্জ জিল বাংলা সুগার মিল। ছবি : বাংলারচিঠিডটকম

বিল্লাল হোসেন মন্ডল, দেওয়ানগঞ্জ (জামালপুর) প্রতিনিধি
বাংলারচিঠিডটকম

জামালপুরের দেওয়ানগঞ্জ উপজেলায় ঐহিত্যবাহী জিল বাংলা সুগার মিলের শ্রমিকদের তিন মাসের বিল বেতন বন্ধ থাকায় দেখা দিয়েছে শ্রমিকদের বড়ই দুর্দিন। মানবেতর জীবন যাপন করছে ৮৮৭ জন শ্রমিক কর্মচারী।

মিল সূত্রে জানা গেছে, স্থায়ী ও অস্থায়ী মৌসুমে চুক্তির ভিত্তিতে ৮৮৭ জন শ্রমিক কর্মচারী মিলে কর্মরত রয়েছে। গত আখ মাড়াই মৌসুমে ৫ হাজার ১৫৩ মেট্রিক টন চিনি উৎপাদন করা হয়েছে মিলটিতে।

১৬ এপ্রিল সকালে জিল বাংলা সুগার মিল এলাকায় শ্রমিকদের সাথে কথা বলে জানা গেছে তাদের কষ্টের কথা।

স্থায়ী মিল শ্রমিক পাম্প ড্রাইভার বিল্লাল মিয়া বলেন, পায়ের ঘাম ফেলে সংসার ও ছেলেমেয়ের লেখাপড়ার খরচ জোগাতে হয়। তিনমাস যাবৎ বেতন বন্ধ থাকায় পরিবার পরিজন নিয়ে কষ্টে আছি।

স্থায়ী শ্রমিক আনোয়ার হোসেন মোল্লা বলেন, সরকারের টাকার অভাব নাই। মিলের চাষী ও শ্রমিকদের বেলায় টাকা থাকে না। আজ সন্তানদের নিয়ে না খেয়ে থাকতে হয়। করোনাভাইরাস সংক্রমণের আগে মিল বাজার থেকে চাল, ডাল ও নিত্য প্রয়োজনীয় দ্রব্য বাকি নিয়েছি। চলতি মাসসহ চারমাস যাবৎ বেতন বন্ধ থাকায় দোকানের বাকি টাকা পরিশোধ না করাতে দোকানদার বাকি খরচ দেওয়া বন্ধ করে দিয়েছে। দেশে যে করোনাভাইরাস সংক্রমণ বৃদ্ধি পাইতেছে এই মুহূর্তে অসুস্থ হলে চিকিৎসার অভাবে মরা ছাড়া আর কোন উপায় নাই।

জিল বাংলা সুগার মিলের ওয়ার্কাস ইউনিয়নের সাধারণ সম্পাদক রায়হানুল ইসলাম বলেন, শ্রমিকদের চারমাসের বেতন বকেয়া রাখায় পরিবার সন্তান নিয়ে অনাহারে দিন যাপন করছে শ্রমিকরা। করোনার কারণে কেউ কোথাও ধার-দেনা করতেও বের হচ্ছে না। তাই শ্রমিকদের জীবনযাত্রা উন্নয়নের লক্ষ্যে মাননীয় প্রধানমন্ত্রী ও শিল্পমন্ত্রীর সুদৃষ্টি কামনা করছি।

জিল বাংলা সুগার মিল ব্যবস্থাপনা পরিচালক আশরাফ আলী বলেন, সব মিলের বকেয়া জমে আছে। তাছাড়া অনেক সমস্যা মাথায় নিয়ে চলছে এই মিলটি। করোনা সংক্রমণ পরিস্থিতির কারণে বন্ধ থাকায় তাই শ্রমিকদের বেতন দিতে বিলম্ব হচ্ছে। সরকারি ছুটি শেষ হলে বেতন দেওয়া হবে।