বকশীগঞ্জ (জামালপুর) প্রতিনিধি
বাংলারচিঠিডটকম
জামালপুরের বকশীগঞ্জে করোনাভাইরাসের কারণে অসহায় হয়ে পড়ছে খেটে খাওয়া ও শ্রমজীবী মানুষ। পুরো দেশে প্রায় অঘোষিত লকডাউন চলছে। প্রশাসনের কড়াকড়ির কারণে মানুষ তেমন একটা ঘর থেকে বের হতে পারছেন না।
যদিও দুই একজন ঘর থেকে বের হচ্ছেন প্রশাসনের অনুরোধে তাদের আবার ঘরে ফিরে যেতে হচ্ছে। সামাজিক দূরত্ব বজায় রাখতে উপজেলা প্রশাসন, থানা প্রশাসন একাট্টা হয়ে মাঠে কাজ করছেন। সারাদিন মানুষকে সচেতন করা সহ মানুষের কল্যাণই যেন এসব কর্মকর্তাদের কাছে প্রধান দায়িত্ব হয়ে দাঁড়িয়েছে।
এই এলাকার মানুষ কিভাবে করোনার প্রভাব থেকে মুক্ত থাকবেন এবং কিভাবে ভালু থাকবেন সেই চিন্তা নিয়ে কাজ করছেন কর্মকর্তারা। অন্যান্য প্রতিষ্ঠানের চাকুরীজীবীরা যখন ছুটিতে তখন ইউএনও, এসিল্যান্ড ও ওসিকে দিন-রাত মাঠে কোজ করতে হচ্ছে করোনা প্রতিরোধ নিয়ে।
করোনাভাইরাসের কারণে মানুষ দিন দিন কর্মহীন হয়ে পড়েছে। যদিও প্রশাসনের পক্ষ থেকে ত্রাণ সামগী বিতরণ করা হচ্ছে তবুও যেন মানুষেরর মধ্যে অস্বস্তি রয়েছে। করোনার আতঙ্কে মানুষ অসহায় হয়ে পড়েছে। রুজি-রোজগার বন্ধ থাকায় মানুষের মধ্যে হতাশা দেখা দিয়েছে। কয়েক হাজার পরিবার কর্মহীন হয়ে পড়ায় পরিবার-পরিজন নিয়ে তাদের মানবেতর জীবন যাপন করতে হচ্ছে।
করোনার কারণে কর্মহীন হয়ে পড়ায় বিপাকে পড়েছেন নিম্নবিত্তরা। তাই তাদের ঘরে ঘরে ত্রাণ পৌঁছে দেওয়ার কর্মসূচি হাতে নিয়েছেন উপজেলা প্রশাসন।
বকশীগঞ্জ উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা (ইউএনও) আ.স.ম. জামশেদ খোন্দকার, সহকারী কমিশনার (ভূমি) স্নিগ্ধা দাস সরাসরি কাঁচা সবজি পৌঁছে দিচ্ছেন সাধারণ মানুষের ঘরে ঘরে।
৫ এপ্রিল পৌর শহরের বিভিন্ন বাড়িতে কাঁচা সবজি নিজ হাতে বাড়ি বাড়ি পৌঁছে দেন ইউএনও। ইউএনও’র এমন উদ্যোগ মানুষের মধ্যে প্রশংসার ঝড় তুলেছে।
কারণ এবারই প্রথম ব্যতিক্রমভাবে প্রশাসনের পক্ষ থেকে ত্রানের চাল ও মানুষের বাড়ি বাড়ি কাঁচা তরকারি পৌঁছে দেওয়া হচ্ছে।
ইউএনও’র এমন কর্মকান্ডে মানুষের মধ্যে আস্থা বেড়ে গেছে। যতদিন প্রশাসনের কড়াকড়ি থাকবে ততদিন খাদ্য সামগ্রী ঘরে ঘরে পৌঁছে দিতে অনুরোধ করেছেন নিম্নবিত্তরা।