ঢাকা ১০:১০ পূর্বাহ্ন, শনিবার, ১২ জুলাই ২০২৫, ২৮ আষাঢ় ১৪৩২ বঙ্গাব্দ
সংবাদ শিরোনাম :
মাদারগঞ্জে বিএনপির সদস্য নবায়ন ও নতুন সদস্য সংগ্রহ কর্মসূচি উদ্বোধন ক্রীড়াবিদ আউয়ালের স্মরণসভা অনুষ্ঠিত র‍্যাবের অভিযান : নালিতাবাড়ীতে ২৬০ বোতল ভারতীয় মদ জব্ধ সাফ অনূর্ধ্ব-২০ নারী চ্যাম্পিয়নশিপে বাংলাদেশ ৯-১ গোলে হারিয়েছে শ্রীলংকাকে জামালপুরে নিহত দুই পরিবহন শ্রমিক পরিবার পেল আর্থিক সহায়তা নালিতাবাড়ী সীমান্তে নারী-শিশুসহ ১০ জনকে পুশ ইন করেছে বিএসএফ জুলাই আন্দোলনে গুলিবিদ্ধ ইমরানের পরিবারের পাশে মাদারগঞ্জের যুবদলনেতা মোখলেছ এসএসসি : মাদারগঞ্জে ৩ শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান থেকে একজনও পাস করেনি এসএসসি : ময়মনসিংহ বোর্ডে সেরা জামালপুর, পাশের হার ৬০.১৯ % বকশীগঞ্জ সীমান্ত দিয়ে নারীসহ সাতজনকে পুশইন

শেরপুরে নৈশপ্রহরী হত্যা মামলায় গ্রেপ্তার ২

সুজন সেন, নিজস্ব প্রতিবেদক, শেরপুর
বাংলারচিঠিডটকম

শেরপুরের নকলা উপজেলায় মাছের খামারের নৈশপ্রহরী আব্দুর রফিককে খুনের ঘটনায় দুইজনকে গ্রেপ্তার করেছে পুলিশ। গ্রেপ্তাররা হলেন শাহীন মিয়া ও জরিনা বেগম। ৩০ মার্চ সকালে সদর থানা ও গোয়েন্দা পুলিশ সদস্যদের যৌথ অভিযানে অভিযুক্তরা গ্রেপ্তার হন। এর আগে ২৯ মার্চ রাতে নিহত রফিকের ছেলে হাফিজুর রহমান বাদী হয়ে ১৬ জনের নাম উল্লেখসহ অজ্ঞাত আরও কয়েকজনকে আসামী করে সদর থানায় একটি হত্যা মামলা দায়ের করেন। একই দিন সকালে শেরপুরের নকলার চায়ড়াবিলে প্রতিপক্ষের রামদায়ের উপর্যুপরি কোপে নিহত হন রফিক।

সদর থানা ও গোয়েন্দা পুলিশ সূত্র জানায়, শাহীন মিয়াকে বানেশ্বরদী ইউনিয়নের মোজার বাজার এলাকা থেকে ও জরিনা বেগকে সদর থানার আন্ধারিয়া এলাকা থেকে গ্রেপ্তার করা হয়েছে। অন্যান্য আসামীরা এখনও পলাতক রয়েছে। তবে তাদেরকে ধরতে জোর তৎপরতা চালানো হচ্ছে।

স্থানীয় সূত্র জানায়, নিহত রফিক চায়ড়া বিলের একটি মাছের খামারে নৈশপ্রহরী হিসেবে চাকরি করতেন। ওই মাছের খামারের পাড় সংলগ্ন খামারের মালিক জামান মিয়ার পুকুরে রফিক মাছ ধরতে গেলে প্রতিপক্ষের কয়েকজন তাকে মাছ ধরতে বাধা দেয়। এ সময় বারেক, বাদাম, জলিল, সোবহান, আঙ্গুর, কাদির, চাঁন মিয়া, মোস্তফা, সুলতান, রুবেল, জরিনা, নুরেজা ও রহুলসহ সংঘবদ্ধ কয়েকজন রফিকের সাথে তর্কাতর্কিতে জড়িয়ে পড়ে। পরে একপর্যায়ে প্রতিপক্ষরা রফিককে রামদা দিয়ে এলোপাতাড়ি কুপিয়ে হত্যা করে। এছাড়া লাশ গুম করার চেষ্টা করে। পরে খবর পেয়ে নিহত রফিকের স্ত্রী, ছেলে হাফিজুর রহমানসহ গ্রামবাসীরা ঘটনাস্থলে পোঁছায়। এ সময় প্রতিপক্ষের সবাই লাশ ফেলে দৌঁড়ে পালিয়ে যায়। পরে পুলিশ গিয়ে নিহতের লাশ উদ্ধার করে।

এ ঘটনায় সদর থানায় একটি হত্যা মামলা দায়ের হলে দুইজনকে গ্রেপ্তারের সত্যতা নিশ্চিত করেছেন ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা আব্দুল্লাহ আল মামুন।

আপলোডকারীর তথ্য

জনপ্রিয় সংবাদ

মাদারগঞ্জে বিএনপির সদস্য নবায়ন ও নতুন সদস্য সংগ্রহ কর্মসূচি উদ্বোধন

শেরপুরে নৈশপ্রহরী হত্যা মামলায় গ্রেপ্তার ২

আপডেট সময় ০৯:৪০:৫১ অপরাহ্ন, সোমবার, ৩০ মার্চ ২০২০

সুজন সেন, নিজস্ব প্রতিবেদক, শেরপুর
বাংলারচিঠিডটকম

শেরপুরের নকলা উপজেলায় মাছের খামারের নৈশপ্রহরী আব্দুর রফিককে খুনের ঘটনায় দুইজনকে গ্রেপ্তার করেছে পুলিশ। গ্রেপ্তাররা হলেন শাহীন মিয়া ও জরিনা বেগম। ৩০ মার্চ সকালে সদর থানা ও গোয়েন্দা পুলিশ সদস্যদের যৌথ অভিযানে অভিযুক্তরা গ্রেপ্তার হন। এর আগে ২৯ মার্চ রাতে নিহত রফিকের ছেলে হাফিজুর রহমান বাদী হয়ে ১৬ জনের নাম উল্লেখসহ অজ্ঞাত আরও কয়েকজনকে আসামী করে সদর থানায় একটি হত্যা মামলা দায়ের করেন। একই দিন সকালে শেরপুরের নকলার চায়ড়াবিলে প্রতিপক্ষের রামদায়ের উপর্যুপরি কোপে নিহত হন রফিক।

সদর থানা ও গোয়েন্দা পুলিশ সূত্র জানায়, শাহীন মিয়াকে বানেশ্বরদী ইউনিয়নের মোজার বাজার এলাকা থেকে ও জরিনা বেগকে সদর থানার আন্ধারিয়া এলাকা থেকে গ্রেপ্তার করা হয়েছে। অন্যান্য আসামীরা এখনও পলাতক রয়েছে। তবে তাদেরকে ধরতে জোর তৎপরতা চালানো হচ্ছে।

স্থানীয় সূত্র জানায়, নিহত রফিক চায়ড়া বিলের একটি মাছের খামারে নৈশপ্রহরী হিসেবে চাকরি করতেন। ওই মাছের খামারের পাড় সংলগ্ন খামারের মালিক জামান মিয়ার পুকুরে রফিক মাছ ধরতে গেলে প্রতিপক্ষের কয়েকজন তাকে মাছ ধরতে বাধা দেয়। এ সময় বারেক, বাদাম, জলিল, সোবহান, আঙ্গুর, কাদির, চাঁন মিয়া, মোস্তফা, সুলতান, রুবেল, জরিনা, নুরেজা ও রহুলসহ সংঘবদ্ধ কয়েকজন রফিকের সাথে তর্কাতর্কিতে জড়িয়ে পড়ে। পরে একপর্যায়ে প্রতিপক্ষরা রফিককে রামদা দিয়ে এলোপাতাড়ি কুপিয়ে হত্যা করে। এছাড়া লাশ গুম করার চেষ্টা করে। পরে খবর পেয়ে নিহত রফিকের স্ত্রী, ছেলে হাফিজুর রহমানসহ গ্রামবাসীরা ঘটনাস্থলে পোঁছায়। এ সময় প্রতিপক্ষের সবাই লাশ ফেলে দৌঁড়ে পালিয়ে যায়। পরে পুলিশ গিয়ে নিহতের লাশ উদ্ধার করে।

এ ঘটনায় সদর থানায় একটি হত্যা মামলা দায়ের হলে দুইজনকে গ্রেপ্তারের সত্যতা নিশ্চিত করেছেন ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা আব্দুল্লাহ আল মামুন।