জ্যেষ্ঠ প্রতিবেদক
বাংলারচিঠিডটকম
করোনাভাইরাস সংক্রমণ প্রতিরোধে ঘরে থাকার বিধিনিষেধ প্রতিপালনে সামাজিক সচেতনতা ও দূরত্ব সৃষ্টিতে বেসামরিক প্রশাসনকে সহযোগিতা দিতে জামালপুর জেলায় মাঠে নেমেছে সেনা সদস্যরা। ২৭ মার্চ সকালে জামালপুর শহরের প্রধান সড়কের বিভিন্ন মোড়ে মোড়ে ও অলিগলিতে সেনা সদস্যদের জনসচেতনায় কাজ করতে দেখা গেছে।
জেলা প্রশাসক মোহাম্মদ এনামুল হক গণ-আদেশ বিজ্ঞপ্তি জারি করায় ২৪ মার্চ থেকে জামালপুর জেলা শহরসহ সাতটি উপজেলায় কাঁচাবাজার ও ওষুধের দোকান ব্যতীত সকল প্রকার দোকানপাট বন্ধ রয়েছে। জেলা প্রশাসকের গণ-আদেশ কার্যকর করতে ওই দিন থেকেই জেলা পুলিশ মাঠে নামে। এতে শহরের লোকজনের চলাফেরা কমতে শুরু করে। এবার সেনা সদস্যরা মাঠে নামায় শহরের লোক সমাগমের চিত্র একদম পাল্টে গেছে। শহরে লোকসমাগম বা লোকজনের চলাফেরা একেবারেই কমে গেছে। একদিকে সকল দোকানপাট বন্ধ, অন্যদিকে সেনা সদস্যদের আহ্বানে সাড়া দিয়ে লোকজন ঘরে ফেরায় পুরো শহর ফাঁকা হয়ে গেছে।
২৭ মার্চ জামালপুর সদর হাসপাতাল, প্রধান সড়কের ফৌজদারি মোড়, বকুলতলা মোড়, সকাল বাজার এলাকা ও তমালতলা মোড়ে জনসাধারণকে সচেতন করতে হাতমাইকে তারা সবাইকে ঘরে ফিরে যাবার আহ্বান জানান। এ সময় তারা করোনাভাইরাস সংক্রমণ প্রতিরোধে সবাইকে সচেতন থাকাসহ সরকারি বিধিনিষেধ মেনে চলার অনুরোধ করেন। তারা বলছেন, ভালো করে ধুলে হাত, করোনা হবে কুপোকাত। সামাজিক দূরত্ব বজায় রাখুন, নিজে সুস্থ থাকুন, অপরকে সুস্থ থাকতে সহায়তা করুন। সচেতনতাই সর্বোত্তম প্রতিকারক।
এ সব স্থানে পিঠে স্প্রে-মেশিন ঝুলিয়ে জীবাণুনাশক ছিটান সেনা সদস্যরা। পরে তারা শহরের অলিতেগলিতে বাসাবাড়ির সামনে জীবাণুনাশক ছিটান এবং হাতমাইকে করোনাভাইরাস থেকে রক্ষা পেতে সবাইকে ঘরে থাকা এবং স্বাস্থ্যবিধিসহ সরকারি সবধরনের বিধিনিষেধ মেনে চলার আহ্বান জানান।
জামালপুরের অতিরিক্ত জেলা হাকিম (এডিএম) তৌহিদ বিন হাসান এ প্রতিবেদককে বলেন, করোনাভাইরাস সংক্রমণ প্রতিরোধে টাঙ্গাইলের ঘাটাইল শহীদ সালাহ উদ্দিন সেনানিবাসের সেনা সদস্যরা জামালপুর জেলায় সচেতনামূলক কাজ করছেন। পরবর্তী সরকারি নির্দেশনা না পাওয়া পর্যন্ত সেনা সদস্যরা করোনাভাইরাস সংক্রমণ ঠেকাতে লোকজনের মধ্যে সামাজিক দূরত্ব সৃষ্টি, বিদেশফেরত ব্যক্তিদের হোম কোয়ারেন্টিন নিশ্চিত করাসহ করোনাভাইরাস প্রতিরোধ সংক্রান্ত যেকোনো জরুরি কার্যক্রমে বেসামরিক প্রশাসনকে সহযোগিতা দিতে সেনাসদস্যরা মাঠে থাকবে বলেও জানান তিনি।