বকশীগঞ্জ (জামালপুর) প্রতিনিধি
বাংলারচিঠিডটকম
জামালপুরের বকশীগঞ্জ উপজেলার নিলক্ষিয়া ইউনিয়নের উত্তর কুশলনগর গ্রামের ৮০ বছরের এক বৃদ্ধার মৃত্যুর ঘটনা নিয়ে যে সন্দেহের সৃষ্টি হয় তা ভুল প্রমাণিত হয়েছে। ২৫ মার্চ সন্ধ্যায় আইইডিসিআর থেকে পাওয়া প্রতিবেদন মতে ওই বৃদ্ধা করোনায় আক্রান্ত হয়ে মারা যান নি। বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন বকশীগঞ্জ উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা (ইউএনও) আ. স. ম. জামশেদ খোন্দকার ও উপজেলা স্বাস্থ্য ও পরিবার পরিকল্পনা কর্মকর্তা চিকিৎসক প্রতাপ নন্দী।
এরআগে নিলক্ষিয়া ইউনিয়নের উত্তর কুশলনগর গ্রামের এক বৃদ্ধা নারী (৮০) ২৪ মার্চ সকাল ৭টায় তার নিজ বাড়িতে মারা যান। তিনি মারা যাওয়ার পর এলাকায় করোনাভাইরাসে তার মৃত্যু হয়েছে বলে গুজব ছড়িয়ে পড়ে। তবে তিনি মৃত্যুর সময় শারীরিকভাবে অসুস্থ ছিলেন। তিনি দীর্ঘদিন ধরে শ্বাসকষ্টে ভুগছিলেন।
মৃত্যুর দুই দিন আগে ২২ মার্চ ঢাকায় অবস্থানরত ছেলের বাসা থেকে বকশীগঞ্জের নিজ বাড়িতে ফেরেন ৮০ বছর বয়সি ওই নারী।
সারাদেশে করোনা আতঙ্কের মধ্যে তার মৃত্যু হলে স্থানীয়দের মধ্যে ভীতির সৃষ্টি হয়। অনেকেই ওই নারীর মৃত্যুকে করোনা আক্রান্তের কারণে হয়েছে বলে জানালেও বাস্তবে তা প্রমাণ পাওয়া যায় নি।
বৃদ্ধার মৃত্যু নিয়ে স্থানীয় প্রশাসনের মধ্যে দৌড়ঝাপ শুরু হয়। শেষমেষ বৃদ্ধার মৃত্যুর বিষয়টি পরিস্কার করতে কিছু নমুনা সংগ্রহ করা হয়। নমুনা সংগ্রহের পর আইইডিসিআর বরাবরে পাঠানোর ব্যবস্থা করা হয়।
পরে ২৪ মার্চ রাত ৯টার দিকে জামালপুর জেলা প্রশাসক মোহাম্মদ এনামুল হক, জেলা সিভিল সার্জন চিকিৎসক গৌতম রায়, উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা (ইউএনও) আ. স. ম. জামশেদ খোন্দকার, উপজেলা স্বাস্থ্য কর্মকর্তা চিকিৎসক প্রতাপ নন্দী, বকশীগঞ্জ থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) শফিকুল ইসলাম, স্থানীয় ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান নজরুল ইসলাম সাত্তারের উপস্থিতিতে ওই নারীর দাফন সম্পন্ন করা হয়। রাতে তার দাফন সম্পন্ন করা হলেও মানুষের মধ্যে এক প্রকার অস্বস্তি থেকে যায়।
ফলে সংগ্রহ করা নমুনা পরীক্ষার প্রতিবেদন পাওয়া পর্যন্ত অপেক্ষায় থাকেন এলাকার মানুষ। অবশেষে ২৫ মার্চ সন্ধ্যায় আইইডিসিআর থেকে বকশীগঞ্জ ইউএনওকে জানানো হয় যে, ওই বৃদ্ধা নারীর শরীরে করোনা ভাইরাসের অস্তিত্ব ছিল না তিনি শ্বাস কষ্টজনিত রোগে মারা গেছেন।