বাংলারচিঠিডটকম ডেস্ক: গত ২৪ ঘন্টায় দেশে আরও একজন মৃত্যুবরণ করেছেন, এ নিয়ে মৃত্যুর সংখ্যা দাঁড়ালো ৫ জন। তবে গত ২৪ ঘন্টায় দেশে করোনাভাইরাসে নতুন করে কোন রোগী শনাক্ত হয়নি এবং চিকিৎসাধীন আরও ২ জন সুস্থ হয়ে বাড়ি ফিরেছেন। অর্থাৎ ইতোমধ্যে ৭ জন সুস্থ হয়েছেন।
রাজধানীর মহাখালীতে স্বাস্থ্য অধিদপ্তরের রোগতত্ত্ব, রোগনিয়ন্ত্রণ ও গবেষণা ইনস্টিটিউট (আইইডিসিআর) থেকে অনলাইন ব্রিফিংয়ে সংস্থার পরিচালক অধ্যাপক চিকিৎসক মীরজাদী সেব্রিনা ফ্লোরা ২৫ মার্চ এসব তথ্য জানান।
তিনি বলেন, ‘আমরা গত ২৪ ঘন্টায় ৮২ জনের নমুনা সংগ্রহ করে পরীক্ষা করিয়েছি। সর্বমোট ৭৯৪ জনের নমুনা পরীক্ষা করা হয়েছে। করোনা নিশ্চিত এবং করোনার উপস্থিতি থাকতে পারে অথবা যাদের মধ্যে উপসর্গ রয়েছে এমন ৪৭ জন এই মুহূর্তে আইসোলেশনে আছেন, প্রাতিষ্ঠানিক কোয়ারেন্টিনে আছেন এমন ৪৭ জন। নমুনা পরীক্ষায় করোনা আছে এমন সংক্রমিত ব্যক্তির সংখ্যা ৩৯ জন। গত ২৪ ঘন্টায় নতুন করে আর কারো দেহে করোনাভাইরাস সনাক্ত হয়নি। ইতোপূর্বে আক্রান্তদের মধ্যে আরও ১ জন মৃত্যুবরণ করেছেন। অর্থাৎ মোট মৃতের সংখ্যা ৫ জন।’
চিকিৎসক ফ্লোরা বলেন, ‘যে ব্যক্তি মৃত্যুবরণ করেছেন তিনি বিদেশ ফেরত একজন রোগীর পরিবারের সদস্য। গত ১৮ মার্চ তার দেহে করোনা সনাক্ত হয়। এরপর থেকে তিনি এলাকার একটি বেসরকারি হাসপাতালে চিকিৎসাধীন ছিলেন। এরপর গত ২১ মার্চ অবস্থার অবনতি হলে তাকে ঢাকার কুয়েত মৈত্রী হাসপাতালে নিয়ে আসা হয়। তার দীর্ঘমেয়াদি ডায়াবেটিস ও হাইপারটেনশন ছিল। তার বয়স ৬৫ বছর এবং তিনি একজন পুরুষ।’
তিনি জানান, এই মুহূর্তে ২৭ জন করোনা রোগী হাসপাতালে চিকিৎসাধীন আছেন।
ফ্লোরা জানা, গত ২৪ ঘন্টায় আইআইডিসিআর’র হটলাইন নম্বরে ২ হাজার ৭৩০ জনের ফোন এসেছে। যার সবগুলোই কোভিড-১৯ সংক্রান্ত।
তিনি সবাইকে ঘরের ভেতরে থাকার আহবান জানিয়ে বলেন, একান্ত প্রয়োজন না হলে কেউ বাইরে যাবেন না। বাইরে গেলেও মাস্ক ব্যবহার, হাঁচি ও কাশি শিষ্টাচার মেনে চলা এবং আক্রান্ত ব্যক্তির তথ্য পেলে তাকে এড়িয়ে চলাসহ অসুস্থ্য হলে অবশ্যই ঘরের মধ্যে থাকা এবং করমর্দন ও কোলাকুলি থেকে বিরত থাকার পরামর্শ দেন।
অপর এক প্রশ্নের জবাবে তিনি বলেন, করোনাভাইরাস কমিউনিটি ট্রান্সমিশন হয়েছে তা এখনই বলা যাবে না। আমরা সকল তথ্য উপাত্ত বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থার কাছে পাঠাবো। এরপর তারা যদি বলে এটা ওই পর্যায়ে গেছে, তখনই এটা বলা যাবে।সূত্র:বাসস।