ঢাকা ০১:৪০ অপরাহ্ন, শুক্রবার, ০৬ ডিসেম্বর ২০২৪, ২২ অগ্রহায়ণ ১৪৩১ বঙ্গাব্দ
সংবাদ শিরোনাম :

সরিষাবাড়ীতে প্রভাবশালী কেটে নিল সড়ক ও জনপথের ১০টি গাছ

সরিষাবাড়ীতে সড়ক ও জনপথের সড়কের গাছ কেটে নিচ্ছে প্রভাবশালী। ছবি : বাংলারচিঠিডটকম

সরিষাবাড়ীতে সড়ক ও জনপথের সড়কের গাছ কেটে নিচ্ছে প্রভাবশালী। ছবি : বাংলারচিঠিডটকম

সরিষাবাড়ী (জামালপুর) প্রতিনিধি
বাংলারচিঠিডটকম

জামালপুরের সরিষাবাড়ী উপজেলায় সড়ক ও জনপথের রাস্তার মূল্যবান ১০টি মেহগনি গাছ কেটে নিয়েছে স্থানীয় প্রভাবশালী ব্যক্তি। ২২ মার্চ দুপুরে সরিষাবাড়ী-তারাকান্দি সড়কের তারাকান্দি চৌরাস্তা মোড়ে গিয়ে এ ঘটনা দেখা যায়। তবে অভিযুক্ত ব্যক্তি গাছগুলো নিজের বলে দাবি করেছেন।

সরেজমিনে গিয়ে দেখা যায়, জামালপুর সড়ক ও জনপথ (সওজ) বিভাগের অধীন উপজেলার পোগলদিঘা ইউনিয়নের তারাকান্দি চৌরাস্তা মোড়ের নিকটবর্তী মেসার্স দাদাভাই ট্রেডার্সের সামনের প্রধান সড়কে বেড়ে উঠা ১০টি বড় মেহগনি গাছসহ ছোট-বড় আরো কয়েকটি মূল্যবান গাছ ২২ মার্চ সকাল থেকে কর্তন শুরু করা হয়। কয়েকজন করাতকল শ্রমিক দিয়ে বিকেল পর্যন্ত কর্তনের পর স্থানীয় ফরহাদ হোসেন ফটু নামের একজন কাঠ ব্যবসায়ী গাছগুলো কিনে নেন।

স্থানীয়রা জানান, তারাকান্দির মেসার্স দাদাভাই ট্রেডার্সের সত্ত্বাধিকারী ও ব্যবসায়ী আব্দুল জলিল রতন গাছগুলো নিজের দাবি করে প্রকাশ্যে কেটে বিক্রি করে দেন। অথচ আব্দুল জলিল রতনের মালিকানাধীন বাড়ি ও ব্যবসা প্রতিষ্ঠানের জমির উপর সীমানা প্রাচীর করা আছে, গাছগুলোও তার পাঁকা প্রাচীরের বাইরে সওজের সড়কের উপর বেড়ে উঠে। প্রকাশ্য দিবালোকে গাছগুলো বিক্রি করে দিলেও দেখার কেউ নেই।

এ ব্যাপারে অভিযুক্ত আব্দুল জলিল রতন বলেন, ‘গাছগুলো আমার, তাই নিজের ইচ্ছাতেই কেটে ফেলেছি।’ সরকারি জমিতে সাধারণ মানুষের রোপণকৃত গাছ কাটতেও কর্তৃপক্ষের অনুমতি লাগে- বিষয়টি উত্থাপন করলে তিনি বলেন, ‘আমার গাছ আমি কাটবো, অনুমতি লাগবে কেন?’

অভিযোগ রয়েছে, এলাকাবাসীর সংবাদের ভিত্তিতে তারাকান্দি তদন্তকেন্দ্রের পুলিশ ঘটনাস্থলে গিয়ে রহস্যজনক কারণে ব্যবস্থা না নিয়ে ফিরে যায়।

এ ব্যাপারে উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা (ইউএনও) শিহাব উদ্দিন আহমদ বলেন, ‘আমি খোঁজখবর নিতে ইউনিয়ন ভূমি কর্মকর্তাকে নির্দেশ দিয়েছি।’

পোগলদিঘা ইউনিয়ন ভূমি সহকারী কর্মকর্তা মোজহার উদ্দিন জানান, ‘ইউএনও স্যারের নির্দেশে আমি ঘটনাস্থলে গিয়ে সড়কের গাছ কাটতে দেখি ও বিষয়টি তাকে অবহিত করেছি।’

আপলোডকারীর তথ্য

জনপ্রিয় সংবাদ

প্রবাসীদের কল্যাণ বিষয়ে জামালপুরে এনজিওদের সাথে সমন্বয় সভা

সরিষাবাড়ীতে প্রভাবশালী কেটে নিল সড়ক ও জনপথের ১০টি গাছ

আপডেট সময় ০৭:১০:৪৭ অপরাহ্ন, রবিবার, ২২ মার্চ ২০২০
সরিষাবাড়ীতে সড়ক ও জনপথের সড়কের গাছ কেটে নিচ্ছে প্রভাবশালী। ছবি : বাংলারচিঠিডটকম

সরিষাবাড়ী (জামালপুর) প্রতিনিধি
বাংলারচিঠিডটকম

জামালপুরের সরিষাবাড়ী উপজেলায় সড়ক ও জনপথের রাস্তার মূল্যবান ১০টি মেহগনি গাছ কেটে নিয়েছে স্থানীয় প্রভাবশালী ব্যক্তি। ২২ মার্চ দুপুরে সরিষাবাড়ী-তারাকান্দি সড়কের তারাকান্দি চৌরাস্তা মোড়ে গিয়ে এ ঘটনা দেখা যায়। তবে অভিযুক্ত ব্যক্তি গাছগুলো নিজের বলে দাবি করেছেন।

সরেজমিনে গিয়ে দেখা যায়, জামালপুর সড়ক ও জনপথ (সওজ) বিভাগের অধীন উপজেলার পোগলদিঘা ইউনিয়নের তারাকান্দি চৌরাস্তা মোড়ের নিকটবর্তী মেসার্স দাদাভাই ট্রেডার্সের সামনের প্রধান সড়কে বেড়ে উঠা ১০টি বড় মেহগনি গাছসহ ছোট-বড় আরো কয়েকটি মূল্যবান গাছ ২২ মার্চ সকাল থেকে কর্তন শুরু করা হয়। কয়েকজন করাতকল শ্রমিক দিয়ে বিকেল পর্যন্ত কর্তনের পর স্থানীয় ফরহাদ হোসেন ফটু নামের একজন কাঠ ব্যবসায়ী গাছগুলো কিনে নেন।

স্থানীয়রা জানান, তারাকান্দির মেসার্স দাদাভাই ট্রেডার্সের সত্ত্বাধিকারী ও ব্যবসায়ী আব্দুল জলিল রতন গাছগুলো নিজের দাবি করে প্রকাশ্যে কেটে বিক্রি করে দেন। অথচ আব্দুল জলিল রতনের মালিকানাধীন বাড়ি ও ব্যবসা প্রতিষ্ঠানের জমির উপর সীমানা প্রাচীর করা আছে, গাছগুলোও তার পাঁকা প্রাচীরের বাইরে সওজের সড়কের উপর বেড়ে উঠে। প্রকাশ্য দিবালোকে গাছগুলো বিক্রি করে দিলেও দেখার কেউ নেই।

এ ব্যাপারে অভিযুক্ত আব্দুল জলিল রতন বলেন, ‘গাছগুলো আমার, তাই নিজের ইচ্ছাতেই কেটে ফেলেছি।’ সরকারি জমিতে সাধারণ মানুষের রোপণকৃত গাছ কাটতেও কর্তৃপক্ষের অনুমতি লাগে- বিষয়টি উত্থাপন করলে তিনি বলেন, ‘আমার গাছ আমি কাটবো, অনুমতি লাগবে কেন?’

অভিযোগ রয়েছে, এলাকাবাসীর সংবাদের ভিত্তিতে তারাকান্দি তদন্তকেন্দ্রের পুলিশ ঘটনাস্থলে গিয়ে রহস্যজনক কারণে ব্যবস্থা না নিয়ে ফিরে যায়।

এ ব্যাপারে উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা (ইউএনও) শিহাব উদ্দিন আহমদ বলেন, ‘আমি খোঁজখবর নিতে ইউনিয়ন ভূমি কর্মকর্তাকে নির্দেশ দিয়েছি।’

পোগলদিঘা ইউনিয়ন ভূমি সহকারী কর্মকর্তা মোজহার উদ্দিন জানান, ‘ইউএনও স্যারের নির্দেশে আমি ঘটনাস্থলে গিয়ে সড়কের গাছ কাটতে দেখি ও বিষয়টি তাকে অবহিত করেছি।’