সুজন সেন, নিজস্ব প্রতিবেদক, শেরপুর
বাংলারচিঠিডটকম
না ফেরার দেশে চলে গেলেন শেরপুর জেলা আওয়ামী লীগের সাবেক সাধারণ সম্পাদক মোজাম্মেল হক (৮০)। তিনি ১৪ মার্চ রাত সাড়ে ৯টায় লিভার জটিলতাসহ নানা রোগে আক্রান্ত হয়ে শহরের বাগরাকসায় নিজ বাড়িতে শেষ নিঃশ্বাস ত্যাগ করেন (ইন্না লিল্লাহি ওয়া ইন্না ইলাইহি রাজিউন)। তিনি দুই ছেলে, এক কন্যাসহ বহু আত্মীয়-স্বজন ও গুণগ্রাহী রেখে গেছেন।
তারমৃত্যুর খবর ছড়িয়ে পড়ার সাথে সাথে দলীয় অঙ্গনসহ শহরে শোকের ছায়া নেমে আসে। মৃত্যুর খবর শোনার পরপরই তাকে একনজর দেখার জন্য ছুটে যান জেলা আওয়ামী লীগের সভাপতি হুইপ আতিউর রহমান আতিক, সাধারণ সম্পাদক আইনজীবী চন্দন কুমার পাল, জেলা পরিষদ চেয়ারম্যান হুমায়ুন কবীর রুমান, পৌরসভার মেয়র গোলাম মোহাম্মদ কিবরিয়া লিটনসহ দলীয় নেতা-কর্মীরা।
মরহুমের পারিবারিক সূত্রে জানা যায়, ১৫ মার্চ বেলা আড়াইটায় শেরপুর সরকারি কলেজ মাঠে নামাজে জানাজা শেষে চাপাতলী পৌর কবর স্থানে তাকে দাফন করা হবে।
দলীয় সূত্র জানায়, স্বাধীনতা আন্দোলন, ৭৫ পরবর্তী আন্দোলনসহ স্বৈরাচার ও বিএনপি-জামায়াত জোটবিরোধী আন্দোলনে শেরপুর আওয়ামী লীগের অন্যতম কান্ডারী, দীর্ঘ ২১ বছর জেলা আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক হিসেবে দায়িত্ব পালনকারী সাহসি প্রবীণ নেতা মোজাম্মেল হক আড়াই বছর ধরে লিভার জটিলতাসহ নানা রোগে ভুগছিলেন। ভারতে চিকিৎসা শেষে ফেরত এসে অর্থ সংকটে অবহেলা-অনাদরেই কষ্টের প্রহর গুণছিলেন শহরের বাগরাকসা মহল্লার বাসায়।
পরে এ নিয়ে গণমাধ্যমে খবর প্রকাশিত হলে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার নির্দেশে গণভবনে ডাক পড়ে মোজাম্মেল হকের। পরে ২০১৯ সালের ২৪ জানুয়ারি প্রধানমন্ত্রী ও আওয়ামী লীগ সভানেত্রী শেখ হাসিনা তার হাতে নগদ ১ লাখ ও ২০ লাখ টাকার চেকসহ ২১ লাখ টাকার সহায়তা তুলে দেন।