বাংলারচিঠিডটকম ডেস্ক : রোগতত্ত্ব, রোগ নিয়ন্ত্রণ এবং রোগ গবেষণা ইনিস্টিটিউট (আইইডিসিআর) ৯ মার্চ বলেছে, বাংলাদেশে প্রথমবারের মতো ৮ মার্চ করোনা ভাইরাসে আক্রান্ত তিনজন সনাক্ত হবার পর গত ২৪ ঘন্টায় নতুন করে আর করোনা ভাইরাসে (কোভিড-১৯) আক্রান্ত হবার কোন তথ্য জানা যায়নি। আক্রান্ত তিন জনের অবস্থা বর্তমানে স্থিতিশিল রয়েছে। হাসপাতালে তাদেরকে পর্যবেক্ষনে রাখা হয়েছে।
আইইডিসিআর’র পরিচালক ডা. মীর্জাদে সাবরিনা ফ্লোরা ৯ মার্চ নগরীর মহাখালীতে আইডিসিআর’র মিলনায়তনে আয়োজিত এক প্রেস ব্রিফিংয়ে বলেন, হাসপাতালে পর্যবেক্ষনে থাকা করোনা ভাইরাস কোভিড-১৯ এ আক্রান্ত তিন জনের অবস্থা স্থিতিশিল রয়েছে। তিনি বলেন, গতকালের পর থেকে ২৪ ঘন্টায় নতুন করে আর কারো আক্রান্ত হবার খবর পাওয়া যায়নি। পরিস্থিতি স্বাভাবিক রয়েছে। ফলে শিক্ষা প্রতিষ্ঠান বন্ধ করার কোন প্রয়োজন নেই।
স্বাস্থ্য সেবা অধিদফতরের মহাপরিচালক (ডিজিএইচএস) অধ্যাপক আবুল কালাম আজাদ, বাংলাদেশে নিযুক্ত বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থার (ডব্লিউএইচও) প্রতিনিধি ড. বর্ধন জং রানা এবং আইইডিসিআর’র মুখ্য বৈজ্ঞানিক কর্মকর্তা ড. এএসএম আলমগীর ব্রিফিং অনুষ্ঠানে উপস্থিত ছিলেন।
স্বাস্থ্য অধিদপ্তরের মহাপরিচালক অধ্যাপক আবুল কালাম আজাদ অনুষ্ঠানে জানান, করোনা ভাইরাসে আক্রান্তদের চিকিৎসার জন্য সারাদেশে সরকারি হাসপাতালে পৃথক ইউনিট করা হয়েছে। বেসরকারি হাসপাতালগুলোতেও অনুরুপ পৃথক ইউনিট করা হবে। তিনি মাস্ক এবং হাতধোয়া সাবান নিয়ে অযথা বিশৃঙ্খলা সৃষ্টি না করতে সকলের প্রতি আহ্বান জানান। তিনি বলেন, খুবশিগগির বাজারে এর স্বল্পতা নিরসন হবে। স্বাস্থ্য অধিদফতরের প্রধান আবুল কালাম আজাদ আতঙ্কিত না হতে এবং কোন ধরনের গুজব না ছড়াতে জনগনের প্রতি আহবান জানিয়েছেন।
বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থার ঢাকা প্রতিনিধি ড. রাণা তার সংস্থার পক্ষ থেকে সব ধরনের সহায়তার আশ্বাস দিয়ে বাংলাদেশ করোলা ভাইরাস পরিস্থিতি মোকাবেলায় একটি দৃষ্টান্ত স্থাপন করবে বলে আশা প্রকাশ করেন।
আইইডিসিআর’র পরিচালক সাবরিনা ফ্লোরা বিদেশ ফেরতদেরকে নিজস্ব কুয়ারেন্টাইনে অবস্থান করার পরামর্শ দিয়েছেন। তিনি অন্য কারো সাথে মেলামেশা না করার অনুরোধ জানান। তিনি আরো বলেন, বিদেশ থেকে কেউ আসলেই, তিনি করোনা ভাইরাসের জীবানু বহন করে নিয়ে এসেছেন, এমনটি ভাববার কোন কারন নেই। ফ্লোরা পরিবারের সদস্য এবং বিদেশ থেকে দেশে আসা প্রতিবেশীর সঙ্গে সহমর্মিতা দেখানোর অনুরোধ জানান। তিনি বলেন, এ পযর্ন্ত বিদেশ থেকে যতো লোক দেশে এসেছেন, তাদের সকলেই করোনা ভাইরাসে আক্রান্ত নয়। তিনি আরো বলেন, বিদেশ থেকে যারা দেশে ফিরে আসছেন, তাদেরকে একটি বাজে অবস্থার মুখোমুখি হতে হচ্ছে।
অনুষ্ঠানে বক্তারা সামাজিক যোগাযোগের মাধ্যমে কোন ভুল তথ্য প্রচার ও জনমনে আতঙ্ক সৃষ্টি হতে পারে এমন তথ্য প্রচার না করতে সকলের প্রতি আহবান জানান। এছাড়া করোনা ভাইরাস সংক্রান্ত যেকোন ধরনের বিভ্রান্তি নিরসন অথবা সহায়তার জন্য জনগণকে চারটি হট-লাইন নম্বরগুলো হচ্ছে- ০১৯৩৭১১০০১১, ০১৯৩৭০০০৯১১, ০১৯২৭৭১১৭৮৪ এবং ০১৯২৭৭১১৭৮৫।সূত্র: বাসস।