দেওয়ানগঞ্জ (জামালপুর) প্রতিনিধি
বাংলারচিঠিডটকম
জামালপুরের দেওয়ানগঞ্জ উপজেলার পাররাম রামপুর ইউনিয়নে পরকীয়ার জের ধরে স্ত্রীকে শ্বাসরোধে হত্যার ঘটনা ঘটেছে। উপজেলার ভাতখাওয়া গ্রামের রাস্তার পাশে বোরো খেত থেকে ২৬ ফেব্রুয়ারি মধ্য রাতে গৃহবধূ মোর্শেদা খাতুনের মরদেহ উদ্ধার করেছে পুলিশ। পুলিশ তার ঘাতক স্বামী শহিদুর রহমানকে ঘটনাস্থল থেকে আটক করেছে। তিনি পাররাম রামপুর ইউনিয়নের তারাটিয়া পাইকপাড়া গ্রামের ধেন্দা মিয়ার ছেলে। নিহত গৃহবধূ একই ইউনিয়নের দক্ষিণ ভাতখাওয়া গ্রামের মুনতাজ আলীর মেয়ে।
গৃহবধূর বাবা মুনতাজ আলী অভিযোগ করে জানান, ১৫-১৬ বছর আগে শহিদুর রহমানের সাথে তার মেয়ে মোর্শেদার বিয়ে হয়। বিয়ের পর থেকে তাদের মধ্যে কলহ লেগে থাকত। এ ব্যাপারে কয়েকবার গ্রাম্য শালিস বৈঠকও হয়েছে। অন্য নারীর পেছনে টাকা পয়সা খরচ করাকে কেন্দ্র করে সম্প্রতি তাদের মধ্যে কলহ আরো বাড়ে। ২৬ ফেব্রুয়ারি সন্ধ্যায় স্ত্রী মোর্শেদাকে নিয়ে দক্ষিণ ভাতখাওয়া গ্রামে মোর্শেদাদের বাড়িতে বেড়াতে আসেন। তারা রাতের খাবার খেয়ে রাত ৮টার দিকে মোর্শেদাকে নিয়ে মোটরসাইকেল যোগে পাইকপাড়ায় নিজ বাড়িতে যাওয়ার উদ্দেশে বেরিয়ে যান শহিদুর রহমান।
রাত ১০টায় উত্তর ভাতখাওয়া মক্কু মিয়ার বাড়ির কাছে পৌঁছে শহিদুর রহমান মোর্শেদাদের বাড়িতে ফোন করে জানান যে, মোটরসাইকেল দুর্ঘটনায় মোর্শেদা মারা গেছেন। খবর পেয়ে মোর্শেদার বাবা ও ভাই ঘটনাস্থলে পৌছে রাস্তার পাশে ধান ক্ষেতে মোর্শেদার মরদেহ পড়ে থাকতে দেখে তাকে হত্যা করা হয়েছে বলে সন্দেহ করে। পরে তারা সেখান থেকেই তারাটিয়া পুলিশ তদন্ত কেন্দ্রে ফোন করে ঘটনা জানান। তদন্ত কেন্দ্রের পুলিশ ঘটনাস্থলে পৌঁছে মোর্শেদার মরদেহ উদ্ধার এবং তার স্বামী শহিদুর রহমানকে হাতে নাতে আটক করে থানায় নিয়ে যায়।
দেওয়ানগঞ্জ মডেল থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) এম এম ময়নুল ইসলাম এ প্রতিনিধিকে জানান, গৃহবধূ মোর্শেদাকে তার স্বামী শ্বাসরোধ করে হত্যা করেছেন বলে তার পরিবারের সদস্যরা অভিযোগ করেছেন। এ ব্যাপারে গৃহবধূর বাবা মুনতাজ আলী বাদী হয়ে দেওয়ানগঞ্জ মডেল থানায় একটি হত্যা মামলা দায়ের করেছেন। ময়নাতদন্তের জন্য মরদেহ জামালপুর জেনারেল হাসপাতালের মর্গে পাঠানো হয়েছে। তার স্বামী শহিদুর রহমানকে আটক করা হয়েছে।