জ্যেষ্ঠ প্রতিবেদক
বাংলারচিঠিডটকম
জামালপুরে নারী ও শিশুর প্রতি সহিংসতা প্রতিরোধে ন্যাশনাল হেল্পলাইনের ফোন নম্বর ১০৯ এবং ওয়ান-স্টপ ক্রাইসিস সেন্টার ও সেলের কার্যক্রম শক্তিশালীকরণ শীর্ষক সচেতনতামূলক সেমিনার অনুষ্ঠিত হয়েছে। সার্কের সদস্যভুক্ত দেশগুলোর নারী ও শিশু সুরক্ষায় টোলফ্রি হেল্পলাইন প্রকল্পের আওতায় ২৬ ফেব্রুয়ারি দুপুরে জেলা প্রশাসকের কার্যালয়ে জেলা এ সেমিনারের আয়োজন করে জেলা মহিলা বিষয়ক অধিদপ্তর।
জেলা মহিলা বিষয়ক অধিদপ্তরের উপ-পরিচালক মছিরুন নেছার সভাপতিত্বে অনুষ্ঠিত সেমিনারে প্রধান অতিথির বক্তব্য রাখেন জেলা প্রশাসক মোহাম্মদ এনামুল হক। সেমিনারে বিশেষ অতিথির বক্তব্য রাখেন জামালপুর সদর সার্কেলের অতিরিক্ত পুলিশ সুপার শাহ মো. শিবলী সাদিক।
এছাড়াও মুক্ত আলোচনায় অংশ নেন জামালপুর পৌরসভার প্যানেল মেয়র মো. ফজলুল হক আকন্দ, জামালপুর জেনারেল হাসপাতালের আবাসিক চিকিৎসা কর্মকর্তা চিকিৎসক উত্তম কুমার সরকার, জেলা ভারপ্রাপ্ত শিক্ষা কর্মকর্তা মনিরা মোস্তারী, জেলা প্রাথমিক শিক্ষা কর্মকর্তা মো. আব্দুর রাজ্জাক, জেলা জজ আদালতের পিপি নির্মল কান্তি ভদ্র, ব্র্যাকের জামালপুর জেলা সমন্বয়কারী মুনির হোসেন খান, জাতীয় মহিলা সংস্থার চেয়ারম্যান রাশিদা ফারুকী, উন্নয়ন সংঘের মানবসম্পদ বিভাগের পরিচালক ও বাংলারচিঠিডটকম এর সম্পাদক জাহাঙ্গীর সেলিম, কালের কণ্ঠের সাংবাদিক মোস্তফা মনজু প্রমুখ। সেমিনার পরিচালনা করেন সহযোগী অধ্যাপক ও কবি তারিকুল ফেরদৌস।
সেমিনারের শুরুতেই হেল্প লাইন ফোন নম্বর ১০৯, বিভিন্ন সরকারি হাসপাতালে চালু থাকা ওয়ান স্টপ ক্রাইসিস সেন্টার ও ওয়ান স্টপ ক্রাইসিস সেলের কার্যকারিতা ও উপকারিতা, এ নিয়ে মহিলা ও শিশু বিষয়ক মন্ত্রণালয়ের বিভিন্ন প্রকল্প সম্পর্কে বিস্তারিত উপস্থাপনা করেন জামালপুর সদর হাসপাতালের ওয়ান স্টপ ক্রাইসিস সেলের কর্মসূচী কর্মকর্তা পাপিয়া।
পরে অনুষ্ঠিত মুক্ত আলোচনায় বক্তারা বলেন, নারী ও শিশুর প্রতি সহিংসতা প্রতিরোধে দ্রুত কার্যকর পদক্ষেপ নিতে ১০৯-এ ফোন করলে দ্রুত সেবা পাওয়া যায়। এই নম্বরে কেউ অভিযোগ করলে সংশ্লিষ্ট কর্তৃপক্ষ ব্যবস্থা নিয়েছে কি না তারও প্রমাণ থাকে। ইতিমধ্যে এই নম্বরে ফোন করে নির্যাতনের শিকার নারী ও শিশুদের অনেকেই দ্রুত সময়ের মধ্যে চিকিৎসা ও আইনি সহায়তা পেয়ে উপকৃত হয়েছেন। তাই তথ্য প্রবাহের যুগে সবাইকে প্রযুক্তির সহায়তা নিতে হবে। এই নম্বরটি ব্যাপকভাবে সবাইকে জানানোর ব্যবস্থা নিতে হবে। এছাড়াও সেমিনারে জামালপুর সদর হাসপাতালে চালু হওয়া ওয়ান স্টপ ক্রাইসিস সেলের জনবল বৃদ্ধি ও প্রয়োজনীয় সুযোগ-সুবিধা দেওয়ার সুপারিশ করা হয়। এই সেলের কার্যক্রমকে আরো জোরদার করা এবং সবাইকে এই সেলকে কাজে লাগাতে সার্বিক সহযোগিতামূলক মনোভাব নিয়ে কাজ করারও পরামর্শ দেওয়া হয়।
সেমিনারে সরকারি-বেসরকারি প্রতিষ্ঠানের কর্মকর্তা, জেলা পুলিশের উর্ধ্বতন কর্মকর্তা, মানবাধিকার সংগঠক, নারী সংগঠক, আইনজীবী ও সাংবাদিকসহ বিভিন্ন দপ্তরের প্রতিনিধিবৃন্দ অংশ নেন।