নিজস্ব প্রতিবেদক
বাংলারচিঠিডটকম
মহান শহীদ দিবস ও আন্তর্জাতিক মাতৃভাষা দিবস উপলক্ষে একুশের প্রথম প্রহরে জামালপুর কেন্দ্রীয় শহীদ মিনারে পুষ্পস্তবক অর্পণ ও প্রভাতফেরী শেষে পুষ্পস্তবক অর্পণের মধ্য দিয়ে ভাষা শহীদদের স্মরণ করেছে জামালপুর জেলা প্রশাসন, পুলিশ প্রশাসন, আওয়ামী লীগ ও বিএনপিসহ সর্বস্তরের মানুষ।
২১ ফেব্রুয়ারি দিবসটি উদযাপন উপলক্ষে একুশের প্রথম প্রহরে রাত ১২টা ১ মিনিটে জামালপুর কেন্দ্রীয় শহীদ মিনারে পুষ্পস্তবক অর্পণ করেন জামালপুর সদর আসনের সংসদ সদস্য প্রকৌশলী মো. মোজাফফর হোসেন, জামালপুরের জেলা প্রশাসক মোহাম্মদ এনামুল হক, জামালপুর জেলা পরিষদের চেয়ারম্যান ফারুক আহাম্মেদ চৌধুরী, জামালপুর পৌরসভার মেয়র মির্জা সাখাওয়াতুল আলম মনি, জামালপুরের পুলিশ সুপার দেলোয়ার হোসেন, সিভিল সার্জন গৌতম রায়, জেলা আওয়ামী লীগের সভাপতি আইনজীবী মুহাম্মদ বাকী বিল্লাহ ও সাধারণ সম্পাদক ফারুক আহাম্মেদ চৌধুরী, জামালপুর জেলা মুক্তিযোদ্ধা সংসদের সাবেক উপ-অধিনায়ক মুক্তিযোদ্ধা সুজায়াত আলী ফকিরের নেতৃত্বে মুক্তিযোদ্ধা সংসদ, জামালপুর সদর উপজেলা পরিষদের ভাইস চেয়ারম্যান আক্তারুজ্জামান বেলাল ও ফারজানা ইয়াসমিন লিটা, জেলা বিএনপির সাধারণ সম্পাদক আইনজীবী শাহ মো. ওয়ারেছ আলী মামুনের নেতৃত্বে বিএনপি ও অঙ্গদল, জামালপুর সরকারি আশেক মাহমুদ কলেজ, জামালপুর প্রেসক্লাবের সভাপতি হাফিজ রায়হান সাদা ও সাধারণ সম্পাদক লুৎফর রহমানের নেতৃত্বে ক্লাবের সকল সদস্য ও সাংবাদিকবৃন্দ, ভাষা ও মুক্তি সংগ্রাম গবেষণা কেন্দ্র, উদীচী ও সেক্টর কমাণ্ডার্স ফোরাম মুক্তিযুদ্ধ-৭১, উন্নয়ন সংঘের নির্বাহী পরিচালক রফিকুল ইসলাম মোল্লা রতির নেতৃত্বে সকল কর্মকর্তা ও কর্মচারী, সরকারি-বেসরকারি বিভিন্ন প্রতিষ্ঠান, বিভিন্ন শিক্ষা প্রতিষ্ঠান, রাজনৈতিক ও সামাজিক ও সাংস্কৃতিক সংগঠন।
ভাষা শহীদদের প্রতি শ্রদ্ধা জানাতে ভোরে নগ্নপায়ে প্রভাতফেরি শেষে জামালপুর কেন্দ্রীয় শহীদ মিনারে নামে হাজারো মানুষের ঢল। সরকারি-বেসরকারি প্রতিষ্ঠান, বিভিন্ন শিক্ষা প্রতিষ্ঠান, বিভিন্ন রাজনৈতিক দল, সামাজিক ও সাংস্কৃতিক সংগঠন শহরের প্রধান সড়কে প্রভাতফেরি শেষে জামালপুর কেন্দ্রীয় শহীদ মিনারের শহীদ বেদিতে পুষ্পস্তবক অর্পণ করে ভাষা শহীদদের প্রতি বিনম্র শ্রদ্ধা জানায়। এছাড়াও সারা জেলায় সকল শিক্ষা প্রতিষ্ঠানে মহান শহীদ দিবস পালিত হয়েছে। এছাড়াও জেলা প্রশাসন, শিশু একাডেমি, জামালপুর শিল্পকলা একাডেমি শিশুদের সুন্দর হাতের লেখা, চিত্রাঙ্কন, রচনা ও দেশাত্ববোধক গানের প্রতিযোগিতার আয়োজন করে।