জ্যেষ্ঠ প্রতিবেদক
বাংলারচিঠিডটকম
সিএনজি অটোরিকশায় পাওয়া চলতি এসএসসি পরীক্ষার বাংলা প্রথমপত্রের ৫০টি উত্তরপত্র নিজ জিম্মায় গ্রহণ করেছেন ময়মনসিংহ শিক্ষা বোর্ডের পরীক্ষা নিয়ন্ত্রক মো. সামছুল ইসলাম। ১২ ফেব্রুয়ারি দুপুরে তিনি জামালপুর সদর থানায় সাধারণ ডায়েরি করে উত্তরপত্রগুলো গ্রহণ করেন বলে থানার ওসি নিশ্চিত করেছেন।
১০ ফেব্রুয়ারি সন্ধ্যার পর জামালপুর শহরের ভোকেশনাল মোড়ে সিএনজি অটোরিকশাচালক জয়নাল আবেদীন তার সিএনজিতে পরিত্যক্ত অবস্থায় এসএসসির বাংলা প্রথমপত্রের ৫০টি উত্তরপত্র পান। তার বন্ধু সিএনজি অটোরিকশাচালক আবু সাঈদ বাচ্চু পরের দিন ১১ ফেব্রুয়ারি রাতে উত্তরপত্রগুলো জামালপুর সদর থানায় জমা দেন। এ ব্যাপারে রাতে সদর থানায় একটি সাধারণ ডায়েরিও করেন তিনি।
সংশ্লিষ্ট সূত্রে জানা গেছে, সিএনজি অটোরিকশায় পরিত্যক্ত অবস্থায় চলতি এসএসসি পরীক্ষার ১০১ নম্বর বিষয় কোডের বাংলা প্রথমপত্রের ৫০টি উত্তরপত্র পাওয়ার বিষয়টি জানাজানি হলে জামালপুর জেলা প্রশাসন ও ময়মনসিংহ শিক্ষা বোর্ড কর্তৃপক্ষের টনক নড়ে। বিষয়টি জানতে পেরে ময়মনসিংহ শিক্ষা বোর্ডের পরীক্ষা নিয়ন্ত্রক মো. সামছুল ইসলাম ১২ ফেব্রুয়ারি সকালে জামালপুরের জেলা প্রশাসক মোহাম্মদ এনামুল হকের সাথে যোগাযোগ করে উত্তরপত্রগুলো নিতে জামালপুরে আসেন। তিনি এ বিষয়ে সদর থানায় একটি সাধারণ ডায়েরি করে দুপুর ২টার দিকে সদর থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মো. সালেমুজ্জামানের কাছ থেকে ৫০টি উত্তরপত্রের বান্ডেলটি তার জিম্মায় গ্রহণ করে ময়মনসিংহ শিক্ষা বোর্ডে নিয়ে যান।
ময়মনিসংহ শিক্ষা বোর্ডের পরীক্ষা নিয়ন্ত্রক মো. সামছুল ইসলাম এ প্রসঙ্গে বাংলারচিঠিডটকমকে বলেন, ‘প্রাথমিকভাবে জামালপুরেরই একজন শিক্ষকের কাছ থেকে উত্তরপত্রগুলো হারিয়ে যাওয়ার বিষয়টি নিশ্চিত হয়েছি। তবে এটি বোর্ডের গোপনীয় বিষয় বিধায় এখনই বিস্তারিত বলা যাচ্ছে না। এ বিষয়ে আরো অধিকতর তদন্ত সাপেক্ষে দ্রুত সময়ের মধ্যেই জড়িত শিক্ষকের বিরুদ্ধে বিভাগীয় শাস্তিমূলক ব্যবস্থা গ্রহণ করা হবে।’ পরীক্ষার্থীদের ভবিষ্যৎ জীবনের গুরুত্ব বিবেচনায় এই ৫০টি উত্তরপত্র মূল্যায়নের জন্য দ্রুত যথাযথ ব্যবস্থা নেয়া হবে বলেও তিনি জানান।
জামালপুর সদর থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মো. সালেমুজ্জামান বাংলারচিঠিডটকমকে বলেন, ‘ময়মনসিংহ শিক্ষা বোর্ডের পরীক্ষা নিয়ন্ত্রক মো. সামছুল ইসলাম নিজে এসে সাধারণ ডায়েরি করে এসএসসির বাংলা প্রথমপত্রের ৫০টি উত্তরপত্রের বান্ডেলটি তার জিম্মায় নিয়ে গেছেন।’