লিয়াকত হোসাইন লায়ন, ইসলামপুর (জামালপুর) প্রতিনিধি
বাংলারচিঠিডটকম
পিঠা-পুলি বাঙালির অতি পরিচিত খাবার। তাইতো পাটিসাপটা, রস কদম, দুধ পুলি, ভাপা, পাকানপিঠাসহ নানান প্রকারের পিঠার নাম শুনলে জিহ্বায় জল চলে আসবে যে কারও। কিন্তু আধুনিকায়নের নামে ফাস্টফুডের আগ্রাসনে নিজস্ব সেই খাদ্য ও সংস্কৃতি আজ বিলুপ্তির পথে। নিজস্ব সেই ঐতিহ্যের সঙ্গে সঙ্গে নতুন প্রজন্মের পরিচয় করিয়ে দিতে প্রতিবছরের ন্যায় এবার মুজিববর্ষে মেতে উঠুন পিঠা পুলির উৎসবে এই আলোকে জামালপুরের সরকারি ইসলামপুর কলেজ রোভার ও গার্ল ইন রোভার দল আয়োজন করে পিঠা পুলি উৎসব।
৯ ফেব্রুয়ারি দিনব্যাপী এ পিঠা উৎসব অনুষ্ঠানের উদ্বোধন করেন উপজেলা পরিষদের চেয়ারম্যান আইনজীবী এস এম জামাল আব্দুন নাছের বাবুল। এতে বিশেষ অতিথি ছিলেন উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা মোহাম্মদ মিজানুর রহমান, উপজেলা পরিষদের ভাইস চেয়ারম্যান আব্দুল খালেক আকন্দ ও মহিলা ভাইস চেয়ারম্যান রোজিনা আক্তার চায়না।
অনুষ্ঠানে সভাপতিত্ব করেন সরকারি ইসলামপুর কলেজের উপাধ্যক্ষ শিক্ষাবিদ ফরিদ উদ্দিন আহমেদ। তিনি বলেন, পিঠা-পুলি তৈরিতে ইসলামপুরের পুরাতন ঐহিত্য রয়েছে। আর এ ঐতিহ্যকে ধরে রাখতে পিঠা উৎসবের আয়োজন।
পিঠা উৎসবে ভাপা, চিতই, ছিটা, ঝুনি, সাকুর, মালপোয়া, পাটিসাপটা, রস কদম, পিংগার, পানপোয়া, টিকেট, চকলেট, গোলাপ, গাজরের পিঠা, আলুর স্টিক পিঠা, ঝাল পিঠা, জামাই পিঠা, চিতল পিঠা, শিমের ফুল পিঠা, নারকেল পিঠা, লাভ পিঠা, ছিটা পিঠা, ডোনাটা, দুধ পুলি, ভাজা পুলি পিঠা স্টল পরিদর্শনে ছাত্রলীগ সভাপতি রকিব চৌধুরী, সাধারণ সম্পাদক আলহাজ মিয়াসহ অন্যান্য নেতৃবৃন্দ উপস্থিত ছিলেন।