লিয়াকত হোসাইন লায়ন, ইসলামপুর (জামালপুর) প্রতিনিধি
বাংলারচিঠিডটকম
জামালপুরের ইসলামপুর উপজেলায় কমিউনিটি ক্লিনিকের সেবাগ্রহণকারী ও সেবাদানকারীর মধ্যে ক্লিনিকের ‘সেবার মান উন্নয়ন বিষয়ক মুখোমুখি সভা অনুষ্ঠিত হয়েছে। ৬ ফেব্রুয়ারি বেলা তিনটায় উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্স মিলনায়তনে এ সভা অনুষ্ঠিত হয়।
‘কেউ কাউকে দোষারোপ নয় বরং সেবাগ্রহণকারী ও সেবাদানকারীসহ সংশ্লিষ্ট সকলের সম্মিলিত প্রচেষ্টায় কমিউনিটি ক্লিনিকের সেবার মানোন্নয়ন উন্নয়ন’ এ লক্ষ্যকে সামনে রেখে সৌহার্দ্য (তৃতীয়) কর্মসূচির উদ্যোগে উপজেলার গোয়ালেরচর ইউনিয়নের মোহাম্মদপুর কমিউনিটি ক্লিনিকের সেবাগ্রহণকারী ও সেবাদানকারীরা সভাটির আয়োজন করে। এতে প্রধান অতিথির বক্তব্য রাখেন উপজেলা পরিষদের চেয়ারম্যান আইনজীবী এস এম জামাল আব্দুন নাসের। এতে বিশেষ অতিথির বক্তব্য রাখেন উপজেলা পরিষদের মহিলা ভাইস চেয়ারম্যান রাজিয়া আক্তার চায়না।
গোয়ালেরচর ইউনিয়ন পরিষদের চেয়াম্যান শেখ হারুন অর রশিদের সভাপতিত্বে সভায় অন্যান্যের মধ্যে বক্তব্য রাখেন উপজেলা স্বাস্থ্য ও পরিবার পরিকল্পনা কর্মকর্তা ডাক্তার এ এ এম আবু তাহের, উপজেলা পরিবার পরিকল্পনা কর্মকর্তা ফয়সাল আহমেদ, মোহাম্মদপুর কমিউনিটি ক্লিনিকের সিএইচসিপি শফিকুল ইসলাম প্রমুখ।
এছাড়া স্বাস্থ্য সহকারী জাকির হোসেন, হাফিজুর রহমান, স্বাস্থ্য পরিদর্শক মিজানুর রহমান, মনোয়ারা খাতুন, ইউপি সদস্য খুদুসহ কমিউনিটি ক্লিনিকের সেবাগ্রহণকারীদের মধ্যে গর্ভবতী ও প্রসূতি মা, কিশোরী এবং পুরুষদের প্রতিনিধিসহ কাচিহারা মোহাম্মদপুর কমিউনিটি ক্লিনিকের সাপোর্ট গ্রুপের সদস্যরা সভায় উপস্থিত ছিলেন।
কারিগরি কর্মকর্তঅ আরিফুন নাহারের সঞ্চালনায় সভায় কমিউনিটি ক্লিনিকে সেবাদানকারী ও সেবাগ্রহণকারী উভয়ের পক্ষ থেকে ক্লিনিকের সেবার বর্তমান অবস্থা উপস্থাপন করেন কারিগরি কর্মকর্তা মাহফুজা রহমান।
সভায় ক্লিনিকের সেবার মান উন্নয়নের জন্য গুরুত্বপূর্ণ সিদ্ধান্ত গৃহীত হয়। সিদ্ধান্তগুলো হলো- উপজেলা স্বাস্থ্য ও পরিবার পরিকল্পনা কর্মকর্তা কমিউনিটি ক্লিনিক সকাল ৯টা থেকে বিকাল ৩টা পর্যন্ত খোলা রাখার জোর তাগিদ দেন, মোহাম্মদপুর কমিউনিটি ক্লিনিকে দ্রুততম সময়ের মধ্যে নলকূপ স্থাপন, ওয়েট মেশিন, ডায়বেটিস পরীক্ষার প্রয়োজনীয় উপকরণ সরবরাহসহ ক্লিনিকে নিরাপদ প্রসব নিশ্চিত করার জন্য জোর দেন। এছাড়া ইউপি চেয়ারম্যান শেখ হারুন অর রশিদ ইউনিয়নে সবগুলো কমিউনিটি ক্লিনিকে আগতদের বসার জন্য বেঞ্চ সরবরাহের প্রতিশ্রুতি দেন।
ইউএসএআইডি ও বাংলাদেশ সরকারের অর্থায়নে কেয়ার বাংলাদেশের সহযোগিতায় ইএসডিও সৌহার্দ্য-তৃতীয় ওই কর্মসূচি বাস্তবায়ন করছে।