ঢাকা ০৪:০০ অপরাহ্ন, বৃহস্পতিবার, ০৩ অক্টোবর ২০২৪, ১৮ আশ্বিন ১৪৩১ বঙ্গাব্দ
সংবাদ শিরোনাম :
গণবিজ্ঞপ্তি : নিষিদ্ধ ঘোষিত পলিথিনের বিরুদ্ধে ১ নভেম্বর থেকে বিশেষ অভিযান শুভ মহালয়া : জামালপুরে দুর্গাপূজার শুভ সূচনা দেওয়ানগঞ্জে ১১৩ বোতল ভারতীয় মদ উদ্ধার, গ্রেপ্তার ১ এখনও পাঁচশ’র মত বন্দি পলাতক রয়েছে : জামালপুরে কারা মহাপরিদর্শক ইসরাইলে ২০০টি ক্ষেপণাস্ত্র নিক্ষেপ করেছে ইরান : রাষ্ট্রীয় গণমাধ্যম মহালয়ার মধ্য দিয়ে শারদীয় দুর্গোৎসবের আনুষ্ঠানিকতা শুরু বাংলাদেশের পুলিশ সংস্কারে সহায়তা করবে ইতালি : রাষ্ট্রদূত ইসলামপুরে প্রাথমিক বিদ্যালয় শিক্ষকদের মানববন্ধন, স্মারকলিপি পেশ ইসলামপুরে অধ্যক্ষের অপসারণের দাবিতে বিক্ষোভ মিছিল সিডসের আওতায় বেকার যুবকদের টিটিসির ড্রাইভিং প্রশিক্ষণে অন্তর্ভুক্তিকরণ

অর্থবিত্ত দেখে আওয়ামী লীগে কোন পদ পদবী দেওয়া যাবে না : তথ্যমন্ত্রী

বাংলারচিঠিডটকম ডেস্ক : আওয়ামী লীগের যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক তথ্যমন্ত্রী ড. হাছান মাহমুদ বলেছেন, কারো অর্থবিত্ত দেখে আওয়ামী লীগে কোন পদ পদবী দেওয়া যাবে না। ‘অমুকের পয়সা আছে, দল চালাতে সুবিধা হবে’ এই বিবেচনায় কাউকে পদ দেয়া যাবে না উল্লেখ করে তিনি বলেন, ‘এটি আমাদের দলের রাজনীতি ও আদর্শ নয়। দল ও আদর্শের প্রতি নিষ্ঠা এবং নেত্রীর প্রতি একাগ্রতাই হবে দলীয় পদ পাওয়ার ক্ষেত্রে যোগ্যতা।’

হাছান মাহমুদ ৭ ফেব্রুয়ারি আওয়ামী লীগ পাবনা জেলা শাখার তৃণমূল প্রতিনিধি সভায় প্রধান বক্তার বক্তব্যে এসব কথা বলেন। পাবনা জেলা আওয়ামী লীগের জ্যেষ্ঠ সহ-সভাপতি রেজাউল রহিম লালের সভাপতিত্বে ও সাধারণ সম্পাদক সংসদ সদস্য গোলাম ফারুখ প্রিন্সের পরিচালনায় প্রতিনিধি সভায় প্রধান অতিথি ছিলেন আওয়ামী লীগের সভাপতি মন্ডলির সদস্য সাবেক মন্ত্রী মোহাম্মদ নাসিম। বিশেষ অতিথি ছিলেন আওয়ামী লীগের সাংগঠনিক সম্পাদক এস এম কামাল হোসেন।

যারা সুবিধাভোগের জন্য দল করছেন তাদের চিহ্নিত করে পদ থেকে সরিয়ে দিতে হবে উল্লেখ করে তিনি বলেন, ‘পরপর তিনবার ক্ষমতায় থাকার কারণে দলের মধ্যে অনেক সুবিধাবাদী ও অনুপ্রবেশকারী ঢুকেছে। যারা একসময় আওয়ামী লীগের বিরুদ্ধে কাজ করেছে এবং নেতাকর্মীদের নির্যাতন করেছে তারা এখন এই সংগঠনের মধ্যে ঢুকে পড়েছে।

ড. হাছান মাহমুদ বলেন, আওয়ামী লীগ পরপর তিনবার রাষ্ট্র ক্ষমতায়। এই কৃতিত্ব প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার। তিনি সমস্ত প্রতিকুলতা ও প্রতিবন্ধকতার মধ্যে ১৯৮১ সালের ১৭ মে বাংলাদেশে ফিরে আসেন। এরপর বঙ্গবন্ধুহীন আওয়ামী লীগকে মায়ের মমতায়-বোনের স্নেহে লালন করে বারবার মৃত্যু উপত্যকা থেকে ফিরে এসেছেন। আরো প্রত্যয়ী হয়ে আওয়ামী লীগকে নেতৃত্ব দিয়ে বাংলাদেশের মানুষের ভোট এবং ভাতের অধিকার প্রতিষ্ঠা করেছেন।

তিনি বলেন, তৃণমূলের কর্মীরা কখনো দলের সাথে বেঈমানি করেনি। তৃণমূল সবসময় দল ও নেতার সাথে ঐক্যবদ্ধ থেকেছে, বিশ্বস্ততার সাথে কাজ করেছে। সেই কারণে আওয়ামী লীগ আজ দেশের সর্ববৃহৎ রাজনৈতিক দল এবং পরপর চারবার রাষ্ট্র পরিচালনা করছে।

হাছান মাহমুদ বলেন ,‘দলের কারণে সরকার, সরকারের কারণে দল নয়। আমাদের মূল ঠিকানা দল। নির্বাচিত এমপি, মন্ত্রী থেকে শুরু করে ইউপি চেয়ারম্যান পর্যন্ত সবার মূল ঠিকানা হচ্ছে দল। সবাই এখন দলীয় প্রতীক নিয়ে নির্বাচন করে জয়ী হয়েছেন। দলের কারণে সবাই আমরা পদের মধ্যে আছি। সুতরাং দায়িত্ব পালন করার সময় দলের নেতাকর্মীদের গুরুত্ব দিতে হবে।’

দলের তরুণ নেতা-কর্মীদের বিনয়ী হবার অনুরোধ জানিয়ে তিনি বলেন, বলেন, ক্ষমতায় থাকলে বিনয়ী হতে হয়। বঙ্গবন্ধু কন্যা শেখ হাসিনার নেতৃত্বে দেশ আজ বদলে গেছে। যেই ছেলে দশবছর আগে বিদেশ গেছে, সে দেশে এসে তার শহর চিনতে পারছেনা, গ্রামও চিনে না।

হাছান মাহমুদ বলেন, ‘আমরা কেউ যেন উদ্যত আচরণ না করি। কারো উদ্যত আচরণ ও অপকর্মের দায় দল কখনো নেবেনা। তাদের বিরুদ্ধে প্রয়োজনে ব্যবস্থা নেয়া হবে।’

অনুষ্ঠানে অন্যান্যের মধ্যে আওয়ামী লীগের কেন্দ্রীয় নেতা সাবেক প্রতিমন্ত্রী শামসুল হক টুকু, নুরুল ইসলাম ঠান্ডু, প্রফেসর মেরিনা জাহান কবিতা, বেগম আখতার জাহান উপস্থিত ছিলেন।সূত্র:বাসস।

আপলোডকারীর তথ্য

জনপ্রিয় সংবাদ

গণবিজ্ঞপ্তি : নিষিদ্ধ ঘোষিত পলিথিনের বিরুদ্ধে ১ নভেম্বর থেকে বিশেষ অভিযান

অর্থবিত্ত দেখে আওয়ামী লীগে কোন পদ পদবী দেওয়া যাবে না : তথ্যমন্ত্রী

আপডেট সময় ০৬:৩৬:৩৪ অপরাহ্ন, শুক্রবার, ৭ ফেব্রুয়ারী ২০২০

বাংলারচিঠিডটকম ডেস্ক : আওয়ামী লীগের যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক তথ্যমন্ত্রী ড. হাছান মাহমুদ বলেছেন, কারো অর্থবিত্ত দেখে আওয়ামী লীগে কোন পদ পদবী দেওয়া যাবে না। ‘অমুকের পয়সা আছে, দল চালাতে সুবিধা হবে’ এই বিবেচনায় কাউকে পদ দেয়া যাবে না উল্লেখ করে তিনি বলেন, ‘এটি আমাদের দলের রাজনীতি ও আদর্শ নয়। দল ও আদর্শের প্রতি নিষ্ঠা এবং নেত্রীর প্রতি একাগ্রতাই হবে দলীয় পদ পাওয়ার ক্ষেত্রে যোগ্যতা।’

হাছান মাহমুদ ৭ ফেব্রুয়ারি আওয়ামী লীগ পাবনা জেলা শাখার তৃণমূল প্রতিনিধি সভায় প্রধান বক্তার বক্তব্যে এসব কথা বলেন। পাবনা জেলা আওয়ামী লীগের জ্যেষ্ঠ সহ-সভাপতি রেজাউল রহিম লালের সভাপতিত্বে ও সাধারণ সম্পাদক সংসদ সদস্য গোলাম ফারুখ প্রিন্সের পরিচালনায় প্রতিনিধি সভায় প্রধান অতিথি ছিলেন আওয়ামী লীগের সভাপতি মন্ডলির সদস্য সাবেক মন্ত্রী মোহাম্মদ নাসিম। বিশেষ অতিথি ছিলেন আওয়ামী লীগের সাংগঠনিক সম্পাদক এস এম কামাল হোসেন।

যারা সুবিধাভোগের জন্য দল করছেন তাদের চিহ্নিত করে পদ থেকে সরিয়ে দিতে হবে উল্লেখ করে তিনি বলেন, ‘পরপর তিনবার ক্ষমতায় থাকার কারণে দলের মধ্যে অনেক সুবিধাবাদী ও অনুপ্রবেশকারী ঢুকেছে। যারা একসময় আওয়ামী লীগের বিরুদ্ধে কাজ করেছে এবং নেতাকর্মীদের নির্যাতন করেছে তারা এখন এই সংগঠনের মধ্যে ঢুকে পড়েছে।

ড. হাছান মাহমুদ বলেন, আওয়ামী লীগ পরপর তিনবার রাষ্ট্র ক্ষমতায়। এই কৃতিত্ব প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার। তিনি সমস্ত প্রতিকুলতা ও প্রতিবন্ধকতার মধ্যে ১৯৮১ সালের ১৭ মে বাংলাদেশে ফিরে আসেন। এরপর বঙ্গবন্ধুহীন আওয়ামী লীগকে মায়ের মমতায়-বোনের স্নেহে লালন করে বারবার মৃত্যু উপত্যকা থেকে ফিরে এসেছেন। আরো প্রত্যয়ী হয়ে আওয়ামী লীগকে নেতৃত্ব দিয়ে বাংলাদেশের মানুষের ভোট এবং ভাতের অধিকার প্রতিষ্ঠা করেছেন।

তিনি বলেন, তৃণমূলের কর্মীরা কখনো দলের সাথে বেঈমানি করেনি। তৃণমূল সবসময় দল ও নেতার সাথে ঐক্যবদ্ধ থেকেছে, বিশ্বস্ততার সাথে কাজ করেছে। সেই কারণে আওয়ামী লীগ আজ দেশের সর্ববৃহৎ রাজনৈতিক দল এবং পরপর চারবার রাষ্ট্র পরিচালনা করছে।

হাছান মাহমুদ বলেন ,‘দলের কারণে সরকার, সরকারের কারণে দল নয়। আমাদের মূল ঠিকানা দল। নির্বাচিত এমপি, মন্ত্রী থেকে শুরু করে ইউপি চেয়ারম্যান পর্যন্ত সবার মূল ঠিকানা হচ্ছে দল। সবাই এখন দলীয় প্রতীক নিয়ে নির্বাচন করে জয়ী হয়েছেন। দলের কারণে সবাই আমরা পদের মধ্যে আছি। সুতরাং দায়িত্ব পালন করার সময় দলের নেতাকর্মীদের গুরুত্ব দিতে হবে।’

দলের তরুণ নেতা-কর্মীদের বিনয়ী হবার অনুরোধ জানিয়ে তিনি বলেন, বলেন, ক্ষমতায় থাকলে বিনয়ী হতে হয়। বঙ্গবন্ধু কন্যা শেখ হাসিনার নেতৃত্বে দেশ আজ বদলে গেছে। যেই ছেলে দশবছর আগে বিদেশ গেছে, সে দেশে এসে তার শহর চিনতে পারছেনা, গ্রামও চিনে না।

হাছান মাহমুদ বলেন, ‘আমরা কেউ যেন উদ্যত আচরণ না করি। কারো উদ্যত আচরণ ও অপকর্মের দায় দল কখনো নেবেনা। তাদের বিরুদ্ধে প্রয়োজনে ব্যবস্থা নেয়া হবে।’

অনুষ্ঠানে অন্যান্যের মধ্যে আওয়ামী লীগের কেন্দ্রীয় নেতা সাবেক প্রতিমন্ত্রী শামসুল হক টুকু, নুরুল ইসলাম ঠান্ডু, প্রফেসর মেরিনা জাহান কবিতা, বেগম আখতার জাহান উপস্থিত ছিলেন।সূত্র:বাসস।