ঢাকা ০১:৩২ পূর্বাহ্ন, শুক্রবার, ০৬ ডিসেম্বর ২০২৪, ২১ অগ্রহায়ণ ১৪৩১ বঙ্গাব্দ
সংবাদ শিরোনাম :

র‌্যাবের অভিযানে আটক সাইবার অপরাধচক্রের সদস্য

র‌্যাবের অভিযানে আটক সাইবার অপরাধচক্রের সদস্য মো. রাশেদুল ইসলাম রিফাত। ছবি : বাংলারচিঠিডটকম

র‌্যাবের অভিযানে আটক সাইবার অপরাধচক্রের সদস্য মো. রাশেদুল ইসলাম রিফাত। ছবি : বাংলারচিঠিডটকম

জ্যেষ্ঠ প্রতিবেদক
বাংলারচিঠিডটকম

সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে ভুয়া আইডি খুলে এসএসসি ও জেএসসিসহ বিভিন্ন পাবলিক পরীক্ষার ভুয়া প্রশ্নপত্র সরবরাহ, ফলাফল পরিবর্তন ও নিজেকে বোর্ডের কম্পিউটার বিভাগের কর্মকর্তা পরিচয়ে শিক্ষার্থীদের কাছ থেকে টাকা হাতিয়ে নেয়ার অভিযোগে মো. রাশেদুল ইসলাম রিফাত (২০) নামের এক যুবককে আটক করেছে র‌্যাব-১৪। ৩০ জানুয়ারি রাতে র‌্যাবের জামালপুরের সাইবার ক্রাইম ইউনিট জেলার সরিষাবাড়ী উপজেলা এলাকা থেকে তাকে আটক করে।

র‌্যাব সূত্রে জানা গেছে, আসন্ন এসএসসি পরীক্ষাকে সামনে রেখে সরিষাবাড়ী উপজেলায় প্রশ্নপত্র ফাঁস ও গুজব ছড়াতে একটি সাইবার অপরাধ চক্র কাজ করছে-এমন গোপন সংবাদের ভিত্তিতে র‌্যাবের জামালপুর সাইবার ক্রাইম ইউনিটের একটি দল ৩০ জানুয়ারি রাতে সরিষাবাড়ী উপজেলা সদরে অভিযান পরিচালনা করে। অভিযানের সময় রাশেদুল ইসলাম রিফাত (১৮) নামের এক যুবককে আটক করা হয়। সে সরিষাবাড়ী উপজেলার রামপুর গ্রামের আবুল কালাম আজাদের ছেলে। তার কাছ থেকে ভুয়া প্রশ্নপত্র ফাঁসের কাজে ব্যবহৃত একটি এন্ড্রয়েড ফোন সেট জব্দ করা হয়েছে।

আটক রাশেদুল র‌্যাবকে জানায়, সে ২০১৮ সাল থেকে সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে অসংখ্য ফেইক আইডি খুলে জেএসসি, এসএসসি, এইচএসসি ও স্নাতকসহ সকল পাবলিক পরীক্ষার ভুয়া প্রশ্নপত্র ফাঁস এবং পরীক্ষার ফলাফল পরিবর্তনসহ বিভিন্ন অপকৌশলে বিকাশের মাধ্যমে শিক্ষার্থীদের কাছ থেকে অবৈধভাবে অর্থ উপার্জন করে আসছে। বিভিন্ন পরীক্ষার সময় সে নিজেকে শিক্ষা মন্ত্রণালয়ের এবং শিক্ষা বোর্ডের কম্পিউটার বিভাগের পরিচালক পরিচয় দিয়ে কোমলমতি শিক্ষার্থীদের ফাঁদে ফেলে টাকা উপার্জন করেছে বলেও স্বীকার করেছে সে।

র‌্যাবের জামালপুর ক্যাম্পের কোম্পানি অধিনায়ক মো. তোফায়েল আহমেদ মিয়া বাংলারচিঠিডটকমকে জানান, অনুসন্ধানে আটক রাশেদুলের সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে প্রশ্নপত্র ফাঁস ও ফলাফল পরিবর্তনের গুজব ছড়ানোর মতো অসংখ্য ফেসবুক আইডি, ফেসবুক গ্রুপ, ম্যাসেঞ্জার গ্রুপের সদস্য ও এডমিন এবং ফেসবুক পেজের ফলোয়ার ও এডমিন থাকার প্রমাণ পাওয়া গেছে। সে সাইবার অপরাধ চক্রের একজন সক্রিয় সদস্য। এ ব্যাপারে মামলা দায়ের করে তাকে সরিষাবাড়ী থানায় হস্তান্তর করা হয়েছে।

আপলোডকারীর তথ্য

জনপ্রিয় সংবাদ

প্রবাসীদের কল্যাণ বিষয়ে জামালপুরে এনজিওদের সাথে সমন্বয় সভা

র‌্যাবের অভিযানে আটক সাইবার অপরাধচক্রের সদস্য

আপডেট সময় ০৮:১০:২৫ অপরাহ্ন, শুক্রবার, ৩১ জানুয়ারী ২০২০
র‌্যাবের অভিযানে আটক সাইবার অপরাধচক্রের সদস্য মো. রাশেদুল ইসলাম রিফাত। ছবি : বাংলারচিঠিডটকম

জ্যেষ্ঠ প্রতিবেদক
বাংলারচিঠিডটকম

সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে ভুয়া আইডি খুলে এসএসসি ও জেএসসিসহ বিভিন্ন পাবলিক পরীক্ষার ভুয়া প্রশ্নপত্র সরবরাহ, ফলাফল পরিবর্তন ও নিজেকে বোর্ডের কম্পিউটার বিভাগের কর্মকর্তা পরিচয়ে শিক্ষার্থীদের কাছ থেকে টাকা হাতিয়ে নেয়ার অভিযোগে মো. রাশেদুল ইসলাম রিফাত (২০) নামের এক যুবককে আটক করেছে র‌্যাব-১৪। ৩০ জানুয়ারি রাতে র‌্যাবের জামালপুরের সাইবার ক্রাইম ইউনিট জেলার সরিষাবাড়ী উপজেলা এলাকা থেকে তাকে আটক করে।

র‌্যাব সূত্রে জানা গেছে, আসন্ন এসএসসি পরীক্ষাকে সামনে রেখে সরিষাবাড়ী উপজেলায় প্রশ্নপত্র ফাঁস ও গুজব ছড়াতে একটি সাইবার অপরাধ চক্র কাজ করছে-এমন গোপন সংবাদের ভিত্তিতে র‌্যাবের জামালপুর সাইবার ক্রাইম ইউনিটের একটি দল ৩০ জানুয়ারি রাতে সরিষাবাড়ী উপজেলা সদরে অভিযান পরিচালনা করে। অভিযানের সময় রাশেদুল ইসলাম রিফাত (১৮) নামের এক যুবককে আটক করা হয়। সে সরিষাবাড়ী উপজেলার রামপুর গ্রামের আবুল কালাম আজাদের ছেলে। তার কাছ থেকে ভুয়া প্রশ্নপত্র ফাঁসের কাজে ব্যবহৃত একটি এন্ড্রয়েড ফোন সেট জব্দ করা হয়েছে।

আটক রাশেদুল র‌্যাবকে জানায়, সে ২০১৮ সাল থেকে সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে অসংখ্য ফেইক আইডি খুলে জেএসসি, এসএসসি, এইচএসসি ও স্নাতকসহ সকল পাবলিক পরীক্ষার ভুয়া প্রশ্নপত্র ফাঁস এবং পরীক্ষার ফলাফল পরিবর্তনসহ বিভিন্ন অপকৌশলে বিকাশের মাধ্যমে শিক্ষার্থীদের কাছ থেকে অবৈধভাবে অর্থ উপার্জন করে আসছে। বিভিন্ন পরীক্ষার সময় সে নিজেকে শিক্ষা মন্ত্রণালয়ের এবং শিক্ষা বোর্ডের কম্পিউটার বিভাগের পরিচালক পরিচয় দিয়ে কোমলমতি শিক্ষার্থীদের ফাঁদে ফেলে টাকা উপার্জন করেছে বলেও স্বীকার করেছে সে।

র‌্যাবের জামালপুর ক্যাম্পের কোম্পানি অধিনায়ক মো. তোফায়েল আহমেদ মিয়া বাংলারচিঠিডটকমকে জানান, অনুসন্ধানে আটক রাশেদুলের সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে প্রশ্নপত্র ফাঁস ও ফলাফল পরিবর্তনের গুজব ছড়ানোর মতো অসংখ্য ফেসবুক আইডি, ফেসবুক গ্রুপ, ম্যাসেঞ্জার গ্রুপের সদস্য ও এডমিন এবং ফেসবুক পেজের ফলোয়ার ও এডমিন থাকার প্রমাণ পাওয়া গেছে। সে সাইবার অপরাধ চক্রের একজন সক্রিয় সদস্য। এ ব্যাপারে মামলা দায়ের করে তাকে সরিষাবাড়ী থানায় হস্তান্তর করা হয়েছে।