জ্যেষ্ঠ প্রতিবেদক
বাংলারচিঠিডটকম
জামালপুর-ঢাকা রুটের রেললাইনের ইলাস্টিক রেল ক্লিপ (ইআরসি) খুলে চুরি করার সময় হাতেনাতে আটক হয়েছে শেরপুরের মাদরাসাছাত্র দুই কিশোর। ৩০ জানুয়ারি সকালে তাদেরকে আটক করে ৩২টি ক্লিপসহ একটি স্কুলব্যাগ জব্দ করা হয়েছে। রেললাইনে ধ্বংসাত্মক কার্যকলাপ সংঘটনের উদ্দেশ্যে রেলের ক্লিপ চুরির অভিযোগে দুই কিশোরকে আসামি করে জামালপুর রেলওয়ে থানায় একটি মামলা দায়ের হয়েছে।
রেলওয়ে সূত্রে জানা গেছে, ৩০ জানুয়ারি বেলা ১১টার দিকে রেলওয়ের জামালপুর সেকশনের আওতাধীন পিয়ারপুর রেলস্টেশনের কাছেই দুই কিশোর স্লিপারের সাথে রেললাইন আটকানোর লোহার ক্লিপ খুলে খুলে সাথে থাকা স্কুলব্যাগে ভরছিল। এ সময় রেলওয়ের কী-ম্যান মো. শরিফ হাসান ওই দুই কিশোরকে হাতেনাতে ধরে পিয়ারপুর রেলস্টেশনে নিয়ে আটক রাখেন। তাদের সাথে থাকা স্কুলব্যাগে চুরি করা ৩২টি লোহার ক্লিপ পাওয়া গেছে।
আটক দুই কিশোরের পরিচয় জানা গেছে। তাদের বাড়ি শেরপুর জেলার নকলা উপজেলার কায়দা পশ্চিমপাড়া এলাকায়। তারা দুজনই নকলা শাহরিয়া দাখিল মাদরাসার ছাত্র। অষ্টম শ্রেণির ছাত্র মো. আলবার আছিফের (১৫) বাবার নাম মো. শুক্কুর আলী। নবম শ্রেণির ছাত্র মামুন মিয়ার (১৪) বাবার নাম বাদশা মিয়া।
খবর পেয়ে জামালপুর রেলওয়ে থানার উপ-পরিদর্শক (এসআই) মো. সোহেল রানা ওই দুই কিশোরকে আটক এবং ৩২টি লোহার ক্লিপসহ স্কুলব্যাগটি জব্দ করে ৩০ জানুয়ারি রাতে রেলওয়ে থানায় নিয়ে যান। এ ঘটনায় রাতেই রেলওয়ের জামালপুর সেকশনের উর্ধ্বতন উপ-সহকারী প্রকৌশলী কবীর হোসেন রানা বাদী হয়ে ওই দুই কিশোরকে আসামি করে রেলওয়ে থানায় একটি মামলা দায়ের করেছেন।
উর্ধ্বতন উপসহকারী প্রকৌশলী কবীর হোসেন রানা বাংলারচিঠিডটকমকে বলেন, ‘উদ্ধার করা ক্লিপগুলোর কাজ হলো স্লিপারের সাথে রেললাইনকে শক্তভাবে আটকে রাখা। এগুলো খুলে গেলে বা চুরি হয়ে গেলে ট্রেনদুর্ঘটনার আশঙ্কা থেকে যায়। সংঘবদ্ধ একটি চক্র দীর্ঘদিন ধরে রেলওয়ের জামালপুর সেকশনের বিভিন্ন স্থান থেকে রেললাইনের ক্লিপ ও অন্যান্য সামগ্রী চুরি করে আসছে। আটক দুই কিশোরের কাছ থেকে হয়তো এই চক্রের মূলহোতাদের সম্পর্কেও অনেক তথ্য পাওয়া যেতে পারে।’
জামালপুর রেলওয়ে থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) তাপস চন্দ্র পণ্ডিত বাংলারচিঠিডটকমকে বলেন, ‘আটক দুই কিশোরের বিরুদ্ধে রেলওয়ের আইনের ১২৬ ধারায় ধ্বংসাত্মক অপরাধ সংঘটনের উদ্দেশ্যে সরকারি সম্পদ রেললাইনের ক্লিপ চুরি করার অভিযোগে একটি মামলা দায়ের করে ওই মামলায় তাদেরকে গ্রেপ্তার দেখানো হয়েছে। প্রাথমিক জিজ্ঞাসাবাদে তারা ক্লিপ চুরির বিষয়টি স্বীকার করেছে। ৩১ জানুয়ারি তাদেরকে আদালতে সোপর্দ করা হবে।