ঢাকা ০১:৪৯ পূর্বাহ্ন, শুক্রবার, ০৪ অক্টোবর ২০২৪, ১৮ আশ্বিন ১৪৩১ বঙ্গাব্দ
সংবাদ শিরোনাম :
চিনি শিল্পের কৃষি বিভাগকে রাজস্ব খাতে অন্তর্ভুক্তের দাবিতে জিল বাংলায় মানববন্ধন সাইনবোর্ডবিহীন জামালপুর রেলওয়ে স্টেশন, স্টেশন মাস্টার বললেন বাজেট নেই বকশীগঞ্জে শারদীয় দুর্গোৎসব উপলক্ষে প্রস্তুতি সভা অনুষ্ঠিত সরিষাবাড়ীতে বিএনপি নেতা বাবু হত্যার বিচারের দাবিতে মানববন্ধন জয়খরা কাটিয়ে বিশ্বকাপ শুরু বাংলাদেশের দুবাই সফরে গেছেন ক্রীড়া উপদেষ্টা আসিফ তিন মাস আগের হামলায় হামাসের তিন জ্যেষ্ঠ নেতা নিহত হয়েছেন : ইসরাইল ইসরাইলি অনুপ্রবেশ ঠেকানোর দাবি হিজবুল্লাহর, ইসরাইলের ৮ সৈন্য নিহত জামিন পেলেন মাহমুদুর রহমান গণবিজ্ঞপ্তি : নিষিদ্ধ ঘোষিত পলিথিনের বিরুদ্ধে ১ নভেম্বর থেকে বিশেষ অভিযান

হারিয়ে যাওয়া জুঁই জামালপুর থেকে ফিরে গেলো মায়ের কোলে

জামালপুর শেখ রাসেল শিশু প্রশিক্ষণ ও পুনর্বাসন কেন্দ্র থেকে হারিয়ে যাওয়া শিশু জুঁইকে তার বাবা মায়ের কাছে তুলে দেওয়া হয়। ছবি : বাংলারচিঠিডটকম

জামালপুর শেখ রাসেল শিশু প্রশিক্ষণ ও পুনর্বাসন কেন্দ্র থেকে হারিয়ে যাওয়া শিশু জুঁইকে তার বাবা মায়ের কাছে তুলে দেওয়া হয়। ছবি : বাংলারচিঠিডটকম

নিজস্ব প্রতিবেদক, জামালপুর
বাংলারচিঠিডটকম

পথ ভুলে অথবা ভুল করে তিন বছর আগে জামালপুর চলে আসে ১০ বছর বয়সী শিশু কন্যা জুঁই। অনেক অনুসন্ধানের পর বাবা, মাকে খোঁজে পেয়ে তাদের হাতে তুলে দেওয়া হয় জুঁইকে।

২৮ জানুয়ারি দুপুরে জামালপুর শেখ রাসেল শিশু প্রশিক্ষণ ও পুনর্বাসন কেন্দ্রে হস্তান্তর অনুষ্ঠানে উপস্থিত ছিলেন উন্নয়ন সংঘের মানবসম্পদ বিভাগের পরিচালক ও কেন্দ্রের স্টিয়ারিং কমিটির সদস্য জাহাঙ্গীর সেলিম, জেলা সমাজসেবা কার্যালয়ের সহকারী পরিচালক আবু ইলিয়াস মল্লিক, শেখ রাসেলের উপ-প্রকল্প পরিচালক শুভঙ্কর ভট্টাচার্য, মনোবিজ্ঞানি মনির হোসেন প্রমুখ।

গত তিন বছর আগে জামালপুর শহরের মুকুন্দবাড়ি এলাকা থেকে জনৈক এক মহিলা জাহাঙ্গীর সেলিমকে ফোন করে মেয়েটির সম্পর্কে জানান। পরে তিনি জামালপুর সদর থানা পুলিশের সহায়তায় মেয়েটিকে উদ্ধার করেন। সদর থানায় উন্নয়ন সংঘের শিশু সুরক্ষা প্রকল্পের আওতায় সাধারণ ডায়েরি করে জুঁইকে শেখ রাসেল শিশু প্রশিক্ষণ ও পুনর্বাসন কেন্দ্রের বালিকা শাখায় রাখা হয়।

শেখ রাসেল শিশু প্রশিক্ষণ ও পুনর্বাসন কেন্দ্রের উপপ্রকল্প পরিচালক শুভঙ্কর ভট্টাচার্যের আন্তরিক প্রচেষ্টায় মেয়েটির পরিবারের সন্ধান মিলে। ২৮ জানুয়ারি ঢাকার লালবাগ থেকে জুঁই এর বাবা জামিল হোসেন এবং মা রেহেনা বেগম জামালপুর আসলে উপযুক্ত প্রমাণ সাপেক্ষে মেয়েকে তাদের হাতে তুলে দেওয়া হয়। দীর্ঘ তিন বছর পর হারানো মেয়েকে খুঁজে পেয়ে বাকরুদ্ধ হয়ে পড়েন তারা। তাদের আনন্দাশ্রুতে উপস্থিত সকলেই আবেগ আপ্লুত হয়ে পড়েন।

উল্লেখ, জুঁই শেখ রাসেল শিশু প্রশিক্ষণ ও পুনর্বাসন কেন্দ্রে নিবাসী হবার পর তাকে সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ে ভর্তি করা হয়। সে ২০১৯ সালের প্রাথমিক শিক্ষা সমাপনী পরীক্ষায় কৃতিত্বের সাথে উত্তীর্ণ হয়। এছাড়া নৃত্যকলায় সে পারদর্শিতা লাভ করে। জেলা ও বিভাগীয় পর্যায়ে নাচ করে শ্রেষ্টত্বের পুরস্কার অর্জন করে। জুঁইকে বিদায় জানাতে গিয়ে কেন্দ্রে আবস্থানরত তার দীর্ঘদিনের খেলার সাথীদের চোখে পানি চলে আসে।

আপলোডকারীর তথ্য

জনপ্রিয় সংবাদ

চিনি শিল্পের কৃষি বিভাগকে রাজস্ব খাতে অন্তর্ভুক্তের দাবিতে জিল বাংলায় মানববন্ধন

হারিয়ে যাওয়া জুঁই জামালপুর থেকে ফিরে গেলো মায়ের কোলে

আপডেট সময় ০৯:১৮:১৮ অপরাহ্ন, মঙ্গলবার, ২৮ জানুয়ারী ২০২০
জামালপুর শেখ রাসেল শিশু প্রশিক্ষণ ও পুনর্বাসন কেন্দ্র থেকে হারিয়ে যাওয়া শিশু জুঁইকে তার বাবা মায়ের কাছে তুলে দেওয়া হয়। ছবি : বাংলারচিঠিডটকম

নিজস্ব প্রতিবেদক, জামালপুর
বাংলারচিঠিডটকম

পথ ভুলে অথবা ভুল করে তিন বছর আগে জামালপুর চলে আসে ১০ বছর বয়সী শিশু কন্যা জুঁই। অনেক অনুসন্ধানের পর বাবা, মাকে খোঁজে পেয়ে তাদের হাতে তুলে দেওয়া হয় জুঁইকে।

২৮ জানুয়ারি দুপুরে জামালপুর শেখ রাসেল শিশু প্রশিক্ষণ ও পুনর্বাসন কেন্দ্রে হস্তান্তর অনুষ্ঠানে উপস্থিত ছিলেন উন্নয়ন সংঘের মানবসম্পদ বিভাগের পরিচালক ও কেন্দ্রের স্টিয়ারিং কমিটির সদস্য জাহাঙ্গীর সেলিম, জেলা সমাজসেবা কার্যালয়ের সহকারী পরিচালক আবু ইলিয়াস মল্লিক, শেখ রাসেলের উপ-প্রকল্প পরিচালক শুভঙ্কর ভট্টাচার্য, মনোবিজ্ঞানি মনির হোসেন প্রমুখ।

গত তিন বছর আগে জামালপুর শহরের মুকুন্দবাড়ি এলাকা থেকে জনৈক এক মহিলা জাহাঙ্গীর সেলিমকে ফোন করে মেয়েটির সম্পর্কে জানান। পরে তিনি জামালপুর সদর থানা পুলিশের সহায়তায় মেয়েটিকে উদ্ধার করেন। সদর থানায় উন্নয়ন সংঘের শিশু সুরক্ষা প্রকল্পের আওতায় সাধারণ ডায়েরি করে জুঁইকে শেখ রাসেল শিশু প্রশিক্ষণ ও পুনর্বাসন কেন্দ্রের বালিকা শাখায় রাখা হয়।

শেখ রাসেল শিশু প্রশিক্ষণ ও পুনর্বাসন কেন্দ্রের উপপ্রকল্প পরিচালক শুভঙ্কর ভট্টাচার্যের আন্তরিক প্রচেষ্টায় মেয়েটির পরিবারের সন্ধান মিলে। ২৮ জানুয়ারি ঢাকার লালবাগ থেকে জুঁই এর বাবা জামিল হোসেন এবং মা রেহেনা বেগম জামালপুর আসলে উপযুক্ত প্রমাণ সাপেক্ষে মেয়েকে তাদের হাতে তুলে দেওয়া হয়। দীর্ঘ তিন বছর পর হারানো মেয়েকে খুঁজে পেয়ে বাকরুদ্ধ হয়ে পড়েন তারা। তাদের আনন্দাশ্রুতে উপস্থিত সকলেই আবেগ আপ্লুত হয়ে পড়েন।

উল্লেখ, জুঁই শেখ রাসেল শিশু প্রশিক্ষণ ও পুনর্বাসন কেন্দ্রে নিবাসী হবার পর তাকে সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ে ভর্তি করা হয়। সে ২০১৯ সালের প্রাথমিক শিক্ষা সমাপনী পরীক্ষায় কৃতিত্বের সাথে উত্তীর্ণ হয়। এছাড়া নৃত্যকলায় সে পারদর্শিতা লাভ করে। জেলা ও বিভাগীয় পর্যায়ে নাচ করে শ্রেষ্টত্বের পুরস্কার অর্জন করে। জুঁইকে বিদায় জানাতে গিয়ে কেন্দ্রে আবস্থানরত তার দীর্ঘদিনের খেলার সাথীদের চোখে পানি চলে আসে।