নিজস্ব প্রতিবেদক, জামালপুর
বাংলারচিঠিডটকম
সরকারি আইনগত সহায়তাসহ রাষ্ট্রীয় বিভিন্ন সুযোগ পাওয়া কারো দয়া নয় মানুষের অধিকার। গণতান্ত্রিক ব্যবস্থায় জনগণ সর্বোচ্চ সম্মান এবং মর্যদা পাবে এটাই সংবিধানের মূল সুর। অথচ চলমান দুর্বৃত্তায়ন প্রক্রিয়ায় সাধারণ মানুষ অধিকার বঞ্চনার শিকার। কিছু দুর্বৃত্ত আমাদের কষ্টার্জিত দেশ কেড়ে নিক আমরা তা হতে দিতে পারি না। জাতির জনক বঙ্গবন্ধু আদর্শ এবং মুক্তিযুদ্ধে চেতনায় আমাদের ঐক্যবদ্ধভাবে দুর্বৃত্তদের বিরুদ্ধে রুখে দাঁড়াতে হবে। আমাদের নিজেদেরও দক্ষতা, যোগ্যতা এবং স্বচ্ছতা অর্জন করতে হবে। নির্যাতনের শিকার প্রতিটি নাগরিকের ন্যায় বিচার প্রাপ্তিতে নেটওয়ার্কিং এর মাধ্যমে প্রশাসনের ওপর চাপ সৃষ্টি করতে হবে। মানবাধিকারকর্মীরা সরকারের প্রতিপক্ষ নয় বরং সহায়ক শক্তি হিসেবে কাজ করে থাকে। ২৬ জানুয়ারি জামালপুরে উন্নয়ন সংঘ আয়োজিত মানবাধিকারকর্মীদের সভায় এসব কথা বলেন আন্তর্জাতিক খ্যাতিসম্পন্ন মানবাধিকারকর্মী মানবাধিকার সংস্কৃতি ফাউন্ডেশনের চেয়ারম্যান আইনজীবী সুলতানা কামাল।
উন্নয়ন সংঘের প্রশিক্ষণ কেন্দ্র ডিটিআরসিতে অনুষ্ঠিত সভায় সভাপতিত্ব করেন উন্নয়ন সংঘের নির্বাহী পরিচালক মো. রফিকুল আলম মোল্লা। এতে অন্যান্যের মাঝে বক্তব্য রাখেন মানবাধিকার সংস্কৃতি ফাউন্ডেশনের সমন্বয়কারী টিপু সুলতান, উন্নয়ন সংঘের কর্মসূচি পরিচালক নারায়ণ চন্দ্র দাস, মানবসম্পদ বিভাগের পরিচালক জাহাঙ্গীর সেলিম, আঞ্চলিক ব্যবস্থাপক মিনারা পারভীন, আইনজীবী খাজা আলম, মাহফুজা আক্তার সাথী, নুরুজ্জামান, মানবাধিকারকর্মী মনোয়রার বেগম, রফিকুল ইসলাম, নজরুল ইসলাম, নির্যাতনের শিকার সানজিদা বেগম প্রমুখ।
সভায় সুলতানা কামাল উপস্থিত মানবাধিকারকর্মীদের উদ্দেশ্যে প্রশ্ন রেখে বলেন, আপনার মুরগি, আপনার ছাগল কেউ কেড়ে নিতে চাইলে আপনি কী তা দিবেন তাহলে আমরা কেনো আমাদের অধিকার কেউ কেড়ে নিতে চাইলে বা দেশটা যদি কেউ কেড়ে নিতে চায় তাহলে কী সর্বশক্তি দিয়ে তা প্রতিহত করা উচিৎ নয়? দেশটা যেমন আমরা কারো দয়ায় পাইনি তেমনি দেশটার কোনো ক্ষতি হোক এবং দেশবাসী অশান্তিতে থাকুক আমরা তা কোনোভাবেই হতে দিবো না।
গত দুইদিন আগে গার্মেন্টসকর্মী আশুলিয়া থেকে জামালপুরে নিজ বাড়িতে আসার পথে পিকআপচালক এবং সহকারীর হাতে নির্মমভাবে ধর্ষণের শিকার হবার ঘটনায় সুলতানা কামাল তীব্র ক্ষোভ প্রকাশ করে বলেন, অবিলম্বে ধর্ষকদের খোঁজে বের করতে হবে। ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের ছাত্রী ধর্ষণের ঘটনায় ধর্ষককে যদি দ্রুত প্রেপ্তার করতে পুলিশ সক্ষম হয় তাহলে এই গণধর্ষণের ঘটনার সাথে জড়িত ধর্ষকদেরও গ্রেপ্তার করা সম্ভব।
উল্লেখ যে, যুক্তরাষ্ট্রভিত্তিক দাতা সংস্থা এনইডি এর আর্থিক সহায়তায় মানবাধিকার সংস্কৃতি ফাউন্ডেশনের সাথে অংশিদারিত্বের ভিত্তিত্বে উন্নয়ন সংঘ জামালপুরে ‘শক্তিশালী নেটওয়ার্কিং’ এর মাধ্যমে মানবাধিকার সংরক্ষণ প্রকল্পটি বাস্তবায়ন করে আসছে।