ঢাকা ০৪:২৫ অপরাহ্ন, বৃহস্পতিবার, ০৩ অক্টোবর ২০২৪, ১৮ আশ্বিন ১৪৩১ বঙ্গাব্দ
সংবাদ শিরোনাম :
গণবিজ্ঞপ্তি : নিষিদ্ধ ঘোষিত পলিথিনের বিরুদ্ধে ১ নভেম্বর থেকে বিশেষ অভিযান শুভ মহালয়া : জামালপুরে দুর্গাপূজার শুভ সূচনা দেওয়ানগঞ্জে ১১৩ বোতল ভারতীয় মদ উদ্ধার, গ্রেপ্তার ১ এখনও পাঁচশ’র মত বন্দি পলাতক রয়েছে : জামালপুরে কারা মহাপরিদর্শক ইসরাইলে ২০০টি ক্ষেপণাস্ত্র নিক্ষেপ করেছে ইরান : রাষ্ট্রীয় গণমাধ্যম মহালয়ার মধ্য দিয়ে শারদীয় দুর্গোৎসবের আনুষ্ঠানিকতা শুরু বাংলাদেশের পুলিশ সংস্কারে সহায়তা করবে ইতালি : রাষ্ট্রদূত ইসলামপুরে প্রাথমিক বিদ্যালয় শিক্ষকদের মানববন্ধন, স্মারকলিপি পেশ ইসলামপুরে অধ্যক্ষের অপসারণের দাবিতে বিক্ষোভ মিছিল সিডসের আওতায় বেকার যুবকদের টিটিসির ড্রাইভিং প্রশিক্ষণে অন্তর্ভুক্তিকরণ

গণঅভ্যুত্থান দিবস পালিত

বাংলারচিঠিডটকম ডেস্ক : বাঙালি জাতির স্বাধিকার আন্দোলনের অন্যতম প্রধান মাইলফলক ঊনসত্তরের ঐতিহাসিক গণ-অভ্যুত্থান দিবস ২৪ জানুয়ারি বিভিন্ন কর্মসূচির মধ্য দিয়ে পালিত হয়েছে।

মুক্তিকামী নিপীড়িত জনগণের পক্ষে জাতির মুক্তি সনদ খ্যাত ৬ দফা এবং ছাত্র সমাজের দেওয়া ১১ দফা কর্মসূচির প্রেক্ষাপটে সংঘটিত হয়েছিল এ গণঅভ্যুত্থান।

দিবসটি পালন উপলক্ষে বিভিন্ন রাজনৈতিক, সামাজিক ও সাংস্কৃতিক সংগঠন নানা কর্মসূচি গ্রহণ করে। কর্মসূচির মধ্যে ছিল শহীদ মতিউর স্মৃতিসৌধে (নবকুমার ইনস্টিটিউট, বকশীবাজার, ঢাকা) শ্রদ্ধাঞ্জলি এবং আলোচনা সভা।

এ উপলক্ষে আওয়ামী লীগের পক্ষ থেকে সকালে বকশীবাজারস্থ নবকুমার ইনস্টিটিউট প্রাঙ্গণে শহীদ মতিউর রহমানের স্মৃতিসৌধে শ্রদ্ধা নিবেদন করা হয় । দলের উপদেষ্টামণ্ডলীর সদস্য তোফায়েল আহমেদ এমপি কর্মসূচিতে উপস্থিত ছিলেন।

দিবসটি পালন উপলক্ষে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা বাণী দিয়েছেন। বাণীতে তিনি শহীদ মতিউর-সহ মুক্তি সংগ্রামের সকল শহীদের রূহের মাগফিরাত কামনা করে বলেন,“ ঊনসত্তরের গণঅভ্যুত্থান বাংলাদেশের ইতিহাসে এক তাৎপর্যপূর্ণ অধ্যায়। বায়ান্নর ভাষা আন্দোলন, বাঙালির মুক্তি সনদ ৬ দফা, পরবর্তীকালে ১১ দফা ও ঊনসত্তরের গণঅভ্যুত্থানের ধারাবাহিকতায় সশস্ত্র মুক্তিযুদ্ধের মাধ্যমে আমরা অর্জন করেছি মহান স্বাধীনতা। পেয়েছি স্বাধীন-সার্বভৌম রাষ্ট্র বাংলাদেশ।”

ঐতিহাসিক ২০ জানুয়ারি ৬৯’র গণ-অভ্যুত্থানের নায়ক শহীদ আসাদের আত্মদানের পর ২১, ২২, ২৩ জানুয়ারি শোক পালনের মধ্য দিয়ে ঢাকায় সর্বস্তরের জনগণের স্বতঃস্ফূর্ত অংশগ্রহণে ২৪ জানুয়ারি এই অভূতপূর্ব গণ-অভ্যুত্থানের সৃষ্টি হয়। এই গণঅভ্যুত্থানের পথ বেয়ে রক্তাক্ত সশস্ত্র মুক্তিযুদ্ধের মাধ্যমে বাঙালি জাতি মহান স্বাধীনতা অর্জন করে।

ঊনসত্তরের এদিন ঢাকায় সচিবালয়ের সামনের রাজপথে নবকুমার ইনস্টিটিউটের নবম শ্রেণীর ছাত্র কিশোর মতিউর ও রুস্তম শহীদ হন। প্রতিবাদে সংগ্রামী জনতা সেদিন সচিবালয়ের দেয়াল ভেঙে আগুন ধরিয়ে দেয়। বিক্ষুব্ধ জনগণ আইয়ুব মোনায়েম চক্রের দালাল, মন্ত্রী, এমপিদের বাড়িতে এবং তাদের মুখপত্র হিসাবে পরিচিত তৎকালীন দৈনিক পাকিস্তান ও পাকিস্তান অবজারভারে আগুন লাগিয়ে দেয়। জনগণ আইয়ুব গেটের নাম পরিবর্তন করে আসাদ গেইট নামকরণ করেন।সূত্র:বাসস।

আপলোডকারীর তথ্য

জনপ্রিয় সংবাদ

গণবিজ্ঞপ্তি : নিষিদ্ধ ঘোষিত পলিথিনের বিরুদ্ধে ১ নভেম্বর থেকে বিশেষ অভিযান

গণঅভ্যুত্থান দিবস পালিত

আপডেট সময় ০৭:৫১:৫৯ অপরাহ্ন, শুক্রবার, ২৪ জানুয়ারী ২০২০

বাংলারচিঠিডটকম ডেস্ক : বাঙালি জাতির স্বাধিকার আন্দোলনের অন্যতম প্রধান মাইলফলক ঊনসত্তরের ঐতিহাসিক গণ-অভ্যুত্থান দিবস ২৪ জানুয়ারি বিভিন্ন কর্মসূচির মধ্য দিয়ে পালিত হয়েছে।

মুক্তিকামী নিপীড়িত জনগণের পক্ষে জাতির মুক্তি সনদ খ্যাত ৬ দফা এবং ছাত্র সমাজের দেওয়া ১১ দফা কর্মসূচির প্রেক্ষাপটে সংঘটিত হয়েছিল এ গণঅভ্যুত্থান।

দিবসটি পালন উপলক্ষে বিভিন্ন রাজনৈতিক, সামাজিক ও সাংস্কৃতিক সংগঠন নানা কর্মসূচি গ্রহণ করে। কর্মসূচির মধ্যে ছিল শহীদ মতিউর স্মৃতিসৌধে (নবকুমার ইনস্টিটিউট, বকশীবাজার, ঢাকা) শ্রদ্ধাঞ্জলি এবং আলোচনা সভা।

এ উপলক্ষে আওয়ামী লীগের পক্ষ থেকে সকালে বকশীবাজারস্থ নবকুমার ইনস্টিটিউট প্রাঙ্গণে শহীদ মতিউর রহমানের স্মৃতিসৌধে শ্রদ্ধা নিবেদন করা হয় । দলের উপদেষ্টামণ্ডলীর সদস্য তোফায়েল আহমেদ এমপি কর্মসূচিতে উপস্থিত ছিলেন।

দিবসটি পালন উপলক্ষে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা বাণী দিয়েছেন। বাণীতে তিনি শহীদ মতিউর-সহ মুক্তি সংগ্রামের সকল শহীদের রূহের মাগফিরাত কামনা করে বলেন,“ ঊনসত্তরের গণঅভ্যুত্থান বাংলাদেশের ইতিহাসে এক তাৎপর্যপূর্ণ অধ্যায়। বায়ান্নর ভাষা আন্দোলন, বাঙালির মুক্তি সনদ ৬ দফা, পরবর্তীকালে ১১ দফা ও ঊনসত্তরের গণঅভ্যুত্থানের ধারাবাহিকতায় সশস্ত্র মুক্তিযুদ্ধের মাধ্যমে আমরা অর্জন করেছি মহান স্বাধীনতা। পেয়েছি স্বাধীন-সার্বভৌম রাষ্ট্র বাংলাদেশ।”

ঐতিহাসিক ২০ জানুয়ারি ৬৯’র গণ-অভ্যুত্থানের নায়ক শহীদ আসাদের আত্মদানের পর ২১, ২২, ২৩ জানুয়ারি শোক পালনের মধ্য দিয়ে ঢাকায় সর্বস্তরের জনগণের স্বতঃস্ফূর্ত অংশগ্রহণে ২৪ জানুয়ারি এই অভূতপূর্ব গণ-অভ্যুত্থানের সৃষ্টি হয়। এই গণঅভ্যুত্থানের পথ বেয়ে রক্তাক্ত সশস্ত্র মুক্তিযুদ্ধের মাধ্যমে বাঙালি জাতি মহান স্বাধীনতা অর্জন করে।

ঊনসত্তরের এদিন ঢাকায় সচিবালয়ের সামনের রাজপথে নবকুমার ইনস্টিটিউটের নবম শ্রেণীর ছাত্র কিশোর মতিউর ও রুস্তম শহীদ হন। প্রতিবাদে সংগ্রামী জনতা সেদিন সচিবালয়ের দেয়াল ভেঙে আগুন ধরিয়ে দেয়। বিক্ষুব্ধ জনগণ আইয়ুব মোনায়েম চক্রের দালাল, মন্ত্রী, এমপিদের বাড়িতে এবং তাদের মুখপত্র হিসাবে পরিচিত তৎকালীন দৈনিক পাকিস্তান ও পাকিস্তান অবজারভারে আগুন লাগিয়ে দেয়। জনগণ আইয়ুব গেটের নাম পরিবর্তন করে আসাদ গেইট নামকরণ করেন।সূত্র:বাসস।