সরিষাবাড়ী (জামালপুর) প্রতিনিধি
বাংলারচিঠিডটকম
জামালপুরের সরিষাবাড়ী উপজেলায় প্রচণ্ড শীতে ডায়রিয়ার প্রকোপ দেখা দিয়েছে। সরিষাবাড়ী স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে গত দু’দিনে শিশু, নারী-পুরুষসহ ৩২ জনকে ভর্তি করা হয়েছে। তীব্র শীত ও শৈত্য প্রবাহে ঠান্ডাজনিত কারণে ডায়রিয়া, নিউমোনিয়া ও পানিবাহিত নানা রোগ দেখা দিয়েছে।
এ নিয়ে জানুয়ারি মাসের শৈত্য প্রবাহে ঠান্ডাজনিত কারণে ডায়রিয়ায় আক্রান্ত ২৪৬ জনকে চিকিৎসা দেওয়া হয়েছে। এতে অতিরিক্ত ডায়রিয়ার রোগী ভর্তি হওয়ায় কলেরা স্যালাইন সংকট দেখা দিয়েছে। অন্যান্য রোগীদের বিছানা না থাকায় প্রচণ্ড শীতের মধ্যে মেঝেতে চিকিৎসা নিতে হচ্ছে রোগীদের।
জানা যায়, জামালপুরের সরিষাবাড়ী উপজেলার ৫০ শয্যা বিশিষ্ট স্বাস্থ্য কমপ্লেক্স হাসপাতাল। ৮টি ইউনিয়ন ও একটি পৌরসভার ৪ লাখ মানুষের বসবাস। এ ছাড়াও পার্শ্ববতী সিরাজগঞ্জ, মাদারগঞ্জ উপজেলার সীমান্তবর্তী এলাকার রোগীরা এ হাসপাতালে চিকিৎসা নেন।
২৩ জানুয়ারি ডায়রিয়ায় আক্রান্ত রোগীরা হলো- ডোয়াইলের বালিয়া গ্রামের ৮ মাসের শিশু রাকিবুল ইসলাম, ভাটারা ইউনিয়নের ফুলদহ গ্রামের রদিমনি (৩), রাফি ৭ মাস ও পৌর শহরের শাহনাজ বেগম (৪৫), মহাদানের মাফিয়া খাতুন (১), বাউসী মধ্যপাড়া গ্রামের ১০ মাসের শিশু ফাতিহা খাতুন, সৈয়দপুর গ্রামের শাকিম মিয়া (৩), কামরাবাদের ৮ মাসের শিশু তামিম ও তারাকান্দি গ্রামের ১০ মাসের শিশু সিয়াম উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে ভর্তি হয়েছে। স্থানীয়রা চিকিৎসা নিয়ে বাড়িতে চলে গেছে।
চিকিৎসা নিতে আসা শাকিমের মা, সিয়ামের নানীসহ আরো অনেকেই জানান, দু’দিন ধরে রোগী হাসপাতালে এনেছি খাওয়ার স্যালাইন ছাড়া আর কোন ওষুধ দেয়নি এখান থেকে।
উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সের আবাসিক চিকিৎসা কর্মকর্তা (আরএমও) সাহেদুর রহমান জানান, শীতের প্রকোপ বৃদ্ধি পাওয়ায় ডায়রিয়ায় ও নিউমোনিয়া আক্রান্ত শিশুদের সংখ্যা বেড়েই চলছে। তিনি আরও জানান, একজন শিশুর ডায়রিয়ায় ও নিউমোনিয়া এক সাথে হলে চিকিৎসা দেওয়া কঠিন হয়ে পড়ে। স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে কলেরা স্যালাইন সরবরাহ বন্ধ থাকায় ডায়রিয়া রোগীদের চিকিৎসা সেবা ব্যাহত হচ্ছে।