ঢাকা ০১:৩৫ পূর্বাহ্ন, শুক্রবার, ০৪ অক্টোবর ২০২৪, ১৮ আশ্বিন ১৪৩১ বঙ্গাব্দ
সংবাদ শিরোনাম :
চিনি শিল্পের কৃষি বিভাগকে রাজস্ব খাতে অন্তর্ভুক্তের দাবিতে জিল বাংলায় মানববন্ধন সাইনবোর্ডবিহীন জামালপুর রেলওয়ে স্টেশন, স্টেশন মাস্টার বললেন বাজেট নেই বকশীগঞ্জে শারদীয় দুর্গোৎসব উপলক্ষে প্রস্তুতি সভা অনুষ্ঠিত সরিষাবাড়ীতে বিএনপি নেতা বাবু হত্যার বিচারের দাবিতে মানববন্ধন জয়খরা কাটিয়ে বিশ্বকাপ শুরু বাংলাদেশের দুবাই সফরে গেছেন ক্রীড়া উপদেষ্টা আসিফ তিন মাস আগের হামলায় হামাসের তিন জ্যেষ্ঠ নেতা নিহত হয়েছেন : ইসরাইল ইসরাইলি অনুপ্রবেশ ঠেকানোর দাবি হিজবুল্লাহর, ইসরাইলের ৮ সৈন্য নিহত জামিন পেলেন মাহমুদুর রহমান গণবিজ্ঞপ্তি : নিষিদ্ধ ঘোষিত পলিথিনের বিরুদ্ধে ১ নভেম্বর থেকে বিশেষ অভিযান

নভেল করোনা ভাইরাসে সরকারের সতর্কতা

বাংলারচিঠিডটকম ডেস্ক : নভেল করোনা ভাইরাস প্রতিরোধে হযরত শাহজালাল বিমান বন্দরসহ দেশের সাতটি প্রবেশ পথে ডিজিটাল থার্মাল স্ক্যানারের মাধ্যমে আক্রান্ত দেশ থেকে আগত রোগীদের স্পর্শ না করে জ্বর পর্যবেক্ষণ কার্যক্রম গ্রহণ করেছে সরকার।

পাশাপাশি রাজধানীর কুর্মিটোলা জেনারেল হাসপাতালকে রেফারেল হাসপাতাল হিসেবে নির্দিষ্ট রেখে সেখানে সঙ্গনিরোধ ওয়ার্ডও চিহ্নিত করেছে ।

সরকার ইতোমধ্যে দেশের বিভিন্ন স্থল, নৌ ও বিমানবন্দরসমূহে ইমিগ্রেশন ও আইএইচআর স্বাস্থ্য ডেস্কসমূহে সতর্কতা ও রোগের নজরদারি জোরদার করা হয়েছে।

২৩ জানুয়ারি স্বাস্থ্য অধিদপ্তর এক বিজ্ঞপ্তির মাধ্যমে এসব তথ্য জানিয়েছে।

বিজ্ঞপ্তিতে জানানো হয়, হযরত শাহজালাল বিমান বন্দরসহ দেশের বিভিন্ন প্রবেশ পথসমূহে নতুন করোনা ভাইরাস স্ক্রিনিং কার্যক্রম গ্রহণ করেছে সরকার। ভাইরাস সম্পর্কে জনসচেতনতা বৃদ্ধির জন্য রোগ প্রতিরোধ সংক্রান্ত প্রচার কার্যক্রম গ্রহণসহ নতুন ভাইরাস সম্পর্কে ডাক্তার ও স্বাস্থ্যকর্মীদের ট্রেনিং প্রদান করা হচ্ছে।

চিকিৎসা কাজে স্বাস্থ্যকর্মীদের ব্যবহারের জন্য পর্যাপ্ত পরিমাণ রোগ প্রতিরোধী পোশাক (পিপিই) মজুদ রাখা আছে। বিমানের ভিতরের আক্রান্ত রোগীদের দ্রুত সনাক্তকরণের জন্য বিমানের ক্রুদের মাধ্যমে যাত্রীদের মধ্যে হেলথ্ ডিক্লারেশন ফর্ম ও প্যাসেঞ্জার লোকেটের ফর্ম বিতরণের ব্যবস্থা করা হয়েছে। ঝুঁকি সম্পর্কে ধারণা ও জনসচেতনতা সৃষ্টির জন্য ভাইরাস প্রতিরোধ সংক্রান্ত গাইডলাইন প্রস্তুত করা হয়েছে এবং দ্রুত যোগাযোগের জন্য সিডিসি এবং আইইডিসিআর এ মোট ৪টি হটলাইন প্রস্তুত রাখা হয়েছে।

বিজ্ঞপ্তিতে আরও বলা হয়, স্বাস্থ্যকর্মীগণ যারা আক্রান্ত রোগীদের চিকিৎসা সেবায় নিয়োজিত আছেন, তাদের কারো আজ পর্যন্ত আক্রান্ত হবার খবর পাওয়া যায়নি। আক্রান্ত ব্যক্তিদের মাধ্যমে কমিউনিটিগুলোতে অন্য কেউ আক্রান্তও হয় নাই। তবে বিশ্বস্বাস্থ্য সংস্থা উদ্বেগ প্রকাশ করে বলেছে যে, সীমিত আকারের মানুষ থেকে মানুষে সংক্রমণ হতে পারে।

নভেল করোনা ভাইরাস এর লক্ষণসমূহ হলো জ্বর, শ্বাসকষ্ট এবং শ্বাসসকষ্টের সাথে কাশি। যেহেতু ভাইরাসটি সম্পূর্ণ নতুন একটি ভাইরাস এবং এর ভয়াবহতা ও বিস্তার সম্পর্কে সম্পূর্ণভাবে জানা এখনো সম্ভব হয় নাই। তাই ভ্রমণকালীন বিশেষ করে চীন থেকে বাংলাদেশ ও বাংলাদেশ হতে চীনে ভ্রমণকারীগণ সম্ভাব্য ঝুঁকি থেকে মুক্ত থাকার জন্য স্বাভাবিক শ্বাসতন্ত্রের প্রতিরোধ ব্যবস্থা (মাস্ক) গ্রহণ করার জন্য স্বাস্থ্য অধিদপ্তর থেকে অনুরোধ জানানো হয়েছে। জনগণের জন্য করণীয় সম্পর্কে বলা হয়েছে আক্রান্ত ব্যক্তি হতে কমপক্ষে দুই হাত দূরে থাকতে হবে; আক্রান্ত ব্যক্তির সংস্পর্শে আসলে কিংবা সংক্রমণ স্থলে বার বার প্রয়োজন মত সাবান পানি দিয়ে হাত ধুয়ে ফেলতে হবে। ভ্রমণকালীন সময়ে জীবিত অথবা মৃত গৃহপালিত ও বন্যপ্রাণী থেকে দূরে থাকতে হবে। হাঁচি-কাশির সময় মুখ ঢেকে রেখে কাশি দিতে হবে ও পরে হাত ধুয়ে ফেলতে হবে। যেখানে সেখানে কফ কাশি না ফেলার জন্যেও অধিদপ্তর থেকে অনুরোধ করা হয়েছে।সূত্র:বাসস।

আপলোডকারীর তথ্য

জনপ্রিয় সংবাদ

চিনি শিল্পের কৃষি বিভাগকে রাজস্ব খাতে অন্তর্ভুক্তের দাবিতে জিল বাংলায় মানববন্ধন

নভেল করোনা ভাইরাসে সরকারের সতর্কতা

আপডেট সময় ০৮:৪৭:১৬ অপরাহ্ন, বৃহস্পতিবার, ২৩ জানুয়ারী ২০২০

বাংলারচিঠিডটকম ডেস্ক : নভেল করোনা ভাইরাস প্রতিরোধে হযরত শাহজালাল বিমান বন্দরসহ দেশের সাতটি প্রবেশ পথে ডিজিটাল থার্মাল স্ক্যানারের মাধ্যমে আক্রান্ত দেশ থেকে আগত রোগীদের স্পর্শ না করে জ্বর পর্যবেক্ষণ কার্যক্রম গ্রহণ করেছে সরকার।

পাশাপাশি রাজধানীর কুর্মিটোলা জেনারেল হাসপাতালকে রেফারেল হাসপাতাল হিসেবে নির্দিষ্ট রেখে সেখানে সঙ্গনিরোধ ওয়ার্ডও চিহ্নিত করেছে ।

সরকার ইতোমধ্যে দেশের বিভিন্ন স্থল, নৌ ও বিমানবন্দরসমূহে ইমিগ্রেশন ও আইএইচআর স্বাস্থ্য ডেস্কসমূহে সতর্কতা ও রোগের নজরদারি জোরদার করা হয়েছে।

২৩ জানুয়ারি স্বাস্থ্য অধিদপ্তর এক বিজ্ঞপ্তির মাধ্যমে এসব তথ্য জানিয়েছে।

বিজ্ঞপ্তিতে জানানো হয়, হযরত শাহজালাল বিমান বন্দরসহ দেশের বিভিন্ন প্রবেশ পথসমূহে নতুন করোনা ভাইরাস স্ক্রিনিং কার্যক্রম গ্রহণ করেছে সরকার। ভাইরাস সম্পর্কে জনসচেতনতা বৃদ্ধির জন্য রোগ প্রতিরোধ সংক্রান্ত প্রচার কার্যক্রম গ্রহণসহ নতুন ভাইরাস সম্পর্কে ডাক্তার ও স্বাস্থ্যকর্মীদের ট্রেনিং প্রদান করা হচ্ছে।

চিকিৎসা কাজে স্বাস্থ্যকর্মীদের ব্যবহারের জন্য পর্যাপ্ত পরিমাণ রোগ প্রতিরোধী পোশাক (পিপিই) মজুদ রাখা আছে। বিমানের ভিতরের আক্রান্ত রোগীদের দ্রুত সনাক্তকরণের জন্য বিমানের ক্রুদের মাধ্যমে যাত্রীদের মধ্যে হেলথ্ ডিক্লারেশন ফর্ম ও প্যাসেঞ্জার লোকেটের ফর্ম বিতরণের ব্যবস্থা করা হয়েছে। ঝুঁকি সম্পর্কে ধারণা ও জনসচেতনতা সৃষ্টির জন্য ভাইরাস প্রতিরোধ সংক্রান্ত গাইডলাইন প্রস্তুত করা হয়েছে এবং দ্রুত যোগাযোগের জন্য সিডিসি এবং আইইডিসিআর এ মোট ৪টি হটলাইন প্রস্তুত রাখা হয়েছে।

বিজ্ঞপ্তিতে আরও বলা হয়, স্বাস্থ্যকর্মীগণ যারা আক্রান্ত রোগীদের চিকিৎসা সেবায় নিয়োজিত আছেন, তাদের কারো আজ পর্যন্ত আক্রান্ত হবার খবর পাওয়া যায়নি। আক্রান্ত ব্যক্তিদের মাধ্যমে কমিউনিটিগুলোতে অন্য কেউ আক্রান্তও হয় নাই। তবে বিশ্বস্বাস্থ্য সংস্থা উদ্বেগ প্রকাশ করে বলেছে যে, সীমিত আকারের মানুষ থেকে মানুষে সংক্রমণ হতে পারে।

নভেল করোনা ভাইরাস এর লক্ষণসমূহ হলো জ্বর, শ্বাসকষ্ট এবং শ্বাসসকষ্টের সাথে কাশি। যেহেতু ভাইরাসটি সম্পূর্ণ নতুন একটি ভাইরাস এবং এর ভয়াবহতা ও বিস্তার সম্পর্কে সম্পূর্ণভাবে জানা এখনো সম্ভব হয় নাই। তাই ভ্রমণকালীন বিশেষ করে চীন থেকে বাংলাদেশ ও বাংলাদেশ হতে চীনে ভ্রমণকারীগণ সম্ভাব্য ঝুঁকি থেকে মুক্ত থাকার জন্য স্বাভাবিক শ্বাসতন্ত্রের প্রতিরোধ ব্যবস্থা (মাস্ক) গ্রহণ করার জন্য স্বাস্থ্য অধিদপ্তর থেকে অনুরোধ জানানো হয়েছে। জনগণের জন্য করণীয় সম্পর্কে বলা হয়েছে আক্রান্ত ব্যক্তি হতে কমপক্ষে দুই হাত দূরে থাকতে হবে; আক্রান্ত ব্যক্তির সংস্পর্শে আসলে কিংবা সংক্রমণ স্থলে বার বার প্রয়োজন মত সাবান পানি দিয়ে হাত ধুয়ে ফেলতে হবে। ভ্রমণকালীন সময়ে জীবিত অথবা মৃত গৃহপালিত ও বন্যপ্রাণী থেকে দূরে থাকতে হবে। হাঁচি-কাশির সময় মুখ ঢেকে রেখে কাশি দিতে হবে ও পরে হাত ধুয়ে ফেলতে হবে। যেখানে সেখানে কফ কাশি না ফেলার জন্যেও অধিদপ্তর থেকে অনুরোধ করা হয়েছে।সূত্র:বাসস।