জ্যেষ্ঠ প্রতিবেদক
বাংলারচিঠিডটকম
বস্ত্র ও পাট মন্ত্রণালয়ের সংসদীয় স্থায়ী কমিটির সভাপতি ও সাবেক প্রতিমন্ত্রী মির্জা আজমের ঐকান্তিক প্রচেষ্টায় জামালপুরে বাস্তবায়নাধীন শেখ হাসিনা মেডিকেল কলেজ ও হাসপাতাল এবং নার্সিং কলেজ প্রকল্পের জন্য আরো ২৩৩ কোটি ৯২ লাখ টাকার ব্যয় বরাদ্দ দিয়েছেন একনেক সভাপতি ও প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা।
২১ জানুয়ারি ঢাকায় এনইসি সম্মেলন কক্ষে জাতীয় অর্থনৈতিক পরিষদের নির্বাহী কমিটির (একনেক) সভাপতি ও প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার সভাপতিত্বে অনুষ্ঠিত ১৭তম একনেক সভায় ২২ হাজার ৯৫৪ কোটি ৮৪ লাখ টাকা ব্যয়ে সারা দেশের আটটি প্রকল্পের অনুমোদন দেওয়া হয়েছে। এই আটটি প্রকল্পের মধ্যে সংশোধিত প্রকল্প হিসেবে জামালপুরের শেখ হাসিনা মেডিকেল কলেজ ও হাসপাতাল এবং নার্সিং কলেজ প্রকল্পে আরো ২৩৩ কোটি ৯২ লাখ টাকা ব্যয় বরাদ্দ অনুমোদন দেওয়া হয়েছে।
একনেক সভাপতি ও প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা জামালপুরের শেখ হাসিনা মেডিকেল কলেজ ও হাসপাতাল এবং নার্সিং কলেজ প্রকল্পের জন্য একনেকের সভায় আরো প্রায় ২৩৪ কোটি টাকা বরাদ্দ দেওয়ায় জামালপুরবাসীর পক্ষ থেকে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার প্রতি আন্তরিক কৃতজ্ঞতা জানিয়েছেন বস্ত্র ও পাট মন্ত্রণালয়ের সংসদীয় স্থায়ী কমিটির সভাপতি, বাংলাদেশ আওয়ামী লীগের সাংগঠনিক সম্পাদক, সংসদ সদস্য ও সাবেক প্রতিমন্ত্রী মির্জা আজম।
জামালপুর শহরের মনিরাজপুর এলাকায় প্রায় ৩০ একর জমিতে শেখ হাসিনা মেডিকেল কলেজ ও হাসপাতাল এবং নার্সিং কলেজ প্রকল্পের কাজ বাস্তবায়ন করছে জামালপুর গণপূর্ত অধিদপ্তর। প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা এই প্রকল্পের আওতাধীন শেখ হাসিনা মেডিকেল কলেজ, জামালপুরের উদ্বোধন করেন ২০১৫ সালের ১০ জানুয়ারি। পরবর্তীতে ২০১৭ সালের ১০ নভেম্বর তৎকালীন স্বাস্থ্য ও পরিবার কল্যাণ মন্ত্রী মোহাম্মদ নাসিম প্রধান অতিথি হিসেবে উপস্থিত থেকে এই প্রকল্পের ভিত্তিপ্রস্তর স্থাপন করেন। ভিত্তিপ্রস্তর স্থাপনের সময় তৎকালীন বস্ত্র ও পাট প্রতিমন্ত্রী মির্জা আজম উপস্থিত ছিলেন। প্রকল্পের কাজ চলমান থাকা অবস্থায় গত বছরের ২ ফেব্রুয়ারি শেখ হাসিনা মেডিকেল কলেজের ছাত্রদের জন্য নির্মিত একটি ছাত্রাবাসের উদ্বোধন করেন তৎকালীন স্বাস্থ্য প্রতিমন্ত্রী চিকিৎসক মো. মুরাদ হাসান।
সংশ্লিষ্ট সূত্র মতে, বর্তমানে দ্রুতগতিতে এগিয়ে চলেছে এই প্রকল্পের কাজ। ৪৫৬ কোটি ৭২ লাখ টাকা ব্যয়ে জামালপুর শেখ হাসিনা মেডিকেল কলেজ ও হাসপাতাল এবং নার্সিং কলেজ প্রকল্পে ইতিমধ্যে মেডিকেল কলেজের একাডেমিক ভবন, দুটি ছাত্রাবাস, স্টাফ কোয়ার্টার, ডরমেটরি, চিকিৎসকদের কোয়ার্টার ও নার্সিং কলেজ, মসজিদসহ বিভিন্ন অবকাঠামোর প্রায় ৪৫ ভাগ কাজ শেষ হয়েছে। আন্তর্জাতিক দরপত্রের মাধ্যমে ১৯১ কোটি টাকা ব্যয়ে ৫০০ শয্যা বিশিষ্ট শেখ হাসিনা মেডিকেল কলেজ হাসপাতাল ভবন ও হাসপাতালের অন্যান্য অবকাঠামো নির্মাণের কাজও খুব শিগগির শুরু হতে যাচ্ছে।
এই প্রকল্পের জন্য প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা ২১ জানুয়ারি আরো ২৩৩ কোটি ৯২ লাখ টাকা বরাদ্দ অনুমোদন দেওয়ায় প্রকল্পটির অবকাঠামো নির্মাণ কাজে আরো গতি পাবে বলে মনে করা হচ্ছে। প্রকল্পটির কাজ শেষ হলে জামালপুর জেলার ২৬ লাখ মানুষ ছাড়াও শেরপুর, কুড়িগ্রাম, গাইবান্ধা ও সিরাজগঞ্জ জেলার চরাঞ্চলের অর্ধকোটি মানুষের আধুনিক চিকিৎসাসেবার ব্যাপক সুযোগ ঘটবে।
২১ জানুয়ারি একনেকে অনুমোদিত অন্য প্রকল্পগুলো হলো- ২০ হাজার ৫২৫ কোটি ৬৯ লাখ টাকা ব্যয়ে উপজেলা পর্যায়ে ৩২৯টি টেকনিক্যাল স্কুল ও কলেজ স্থাপন, সিরাজগঞ্জের বিসিক শিল্প পার্ক প্রকল্পের খরচ ধরা হয়েছে ৯১ কোটি ১১ লাখ টাকা, এসআরডিআই’র ভবন নির্মাণ ও সক্ষমতা বৃদ্ধি প্রকল্পের খরচ ধরা হয়েছে ১৪৩ কোটি ৩০ লাখ টাকা, কিশোরগঞ্জ জেলার হাওর এলাকার নির্বাচিত শিক্ষা প্রতিষ্ঠান উন্নয়ন প্রকল্পের খরচ ধরা হয়েছে ৩৯৩ কোটি ৪১ লাখ টাকা, বেতগ্রামতুলা-পাইকগাছা-কয়রা সড়ক যথাযথ মানে উন্নীতকরণ প্রকল্পের খরচ ধরা হয়েছে ৩৩৯ কোটি ৫৮ লাখ টাকা, লক্ষ্মীপুর শহর সংযোগ সড়ক ও লক্ষ্মীপুরচর আলেকজান্ডার-সোনাপুর-মাইজদী সড়ক প্রশস্তকরণ প্রকল্পের ব্যয় ধরা হয়েছে ৩৬৯ কোটি ৪৩ লাখ টাকা এবং ভোলা-চরফ্যাশন আঞ্চলিক মাহসড়ক উন্নয়ন প্রকল্প বাস্তবায়নে ব্যয় হবে ৮৪৯ কোটি ৪০ লাখ টাকা।