ঢাকা ০৬:০৪ পূর্বাহ্ন, সোমবার, ১৪ জুলাই ২০২৫, ৩০ আষাঢ় ১৪৩২ বঙ্গাব্দ
সংবাদ শিরোনাম :
মাহমুদপুরে বিএনপির সদস্যপদ নবায়ন ও নতুন সদস্য সংগ্রহ কার্যক্রম শুরু জামালপুরে নাট্যকার আব্দুল্লাহ আল মামুনের ৮৩তম জন্মদিন উদযাপিত বিচারবহির্ভূত হত্যা, চাঁদাবাজির বিরুদ্ধে সরিষাবাড়ীতে বিক্ষোভ মিছিল বিএনপির বিরুদ্ধে ষড়যন্ত্রের প্রতিবাদে জামালপুর জেলা বিএনপির বিক্ষোভ মিছিল, সমাবেশ মিটফোর্ডে ব্যবসায়ী হত্যা: জামালপুরে গণঅধিকার পরিষদের বিক্ষোভ ও মানববন্ধন বকশীগঞ্জে ৫ বছরেও উদ্বোধন হয়নি ভবন, ময়লার ভাগাড়ে পরিণত শেরপুরে সপ্তাহব্যাপী বৃক্ষমেলার উদ্বোধন মাদারগঞ্জে দুর্বৃত্তের ছুরিকাঘাতে ভাতিজা নিহত, কেটে গেছে চাচার শ্বাসনালী জামালপুর জেলা ফুটবল রেফারিজ অ্যাসোসিয়েশনের ঈদ পুনর্মিলনী অনুষ্ঠিত মাহমুদপুরে বিদ্যুতায়িত হয়ে লাইনম্যানের মৃত্যু

বঙ্গবন্ধুর জন্মশতবার্ষিকী উদযাপনের মাধ্যমে তাঁর জীবন ও আদর্শকে জনগণের মাঝে ছড়িয়ে দিতে চায় সরকার: প্রধানমন্ত্রী

বাংলারচিঠিডটকম ডেস্ক : প্রধানমন্ত্রী এবং সংসদ নেতা শেখ হাসিনা বলেছেন, জাতির পিতার জন্মশতবার্ষিকী উদযাপনের মাধ্যমে তাঁর সরকার বঙ্গবন্ধুর জীবন ও আদর্শকে বাংলাদেশ ও বিশ্বের জনগণের মাঝে ছড়িয়ে দিতে চায়।

তিনি বলেন,‘জাতিসংঘের অঙ্গ সংস্থা ইউনেস্কো বঙ্গবন্ধুর জন্মশতবার্ষিকী পালনের সিদ্ধান্ত গ্রহণ করায় এই আয়োজন আন্তর্জাতিক রূপ লাভ করেছে এবং অনন্য মাত্রায় উন্নীত হয়েছে।’

প্রধানমন্ত্রী এবং সংসদ নেতা শেখ হাসিনা ১৫ জানুয়ারি বিকেলে জাতীয় সংসদে তাঁর জন্য নির্ধারিত প্রশ্নোত্তর পর্বে সরকার দলীয় সংসদ সদস্য একেএম রহমতুল্লাহর এক প্রশ্নের উত্তরে একথা বলেন।

ড. শিরিন শারমীন চৌধুরী এ সময় স্পিকারের দায়িত্ব পালন করছিলেন।

প্রধানমন্ত্রী বলেন,‘ইউনেস্কোর তত্ত্বাবধানে এখন সমগ্র বিশ্ব ২০২০ সালের ১৭ মার্চ থেকে ২০২১ সালের ২৬ মার্চ পর্যন্ত নানা আয়োজনের মধ্যদিয়ে জাতির পিতার বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের জন্ম শতবার্ষিকী পালন করবে।’

তিনি বলেন,‘ জাতির পিতার জন্মশতবার্ষিকীর আয়োজনের মাধ্যমে তাঁর সুদীর্ঘ সংগ্রামের ইতিহাস, বাঙালি জাতির জন্য তাঁর সুমহান আত্মত্যাগ এবং তাঁর সুদীর্ঘ কর্মময় বর্ণাঢ্য জীবন বিশ্ববাসীর মাঝে ব্যাপক আকারে ছড়িয়ে দেওয়ার সুযোগ সৃষ্টি হবে। জাতি হিসেবে এটি আমাদের জন্য বিরল সম্মানের।’

সরকার দলীয় সাংসদ শহীদুজ্জামান সেলিমের অপর এক সম্পূরক প্রশ্নের জবাবে প্রধানমন্ত্রী টানা তৃতীয়বার সহ মোট চতুর্থবারের মত সরকার গঠন করাতেই জাতির পিতার জন্ম শতবার্ষিকী জাতীয় এবং আন্তর্জাতিক পর্যায়ে উদযাপনের সুযোগ পেয়েছেন উল্লেখ করে মহান রাব্বুল আলামিন এবং দেশবাসীর প্রতি কৃতজ্ঞতা প্রকাশ করেন।

তিনি বলেন,‘ সরকার গঠন করে উন্নয়নের সাথে সাথে আমাদের পরম সৌভাগ্য যে, ২০২০ সালে আমরা জাতির পিতার জন্ম শতবার্ষিকী উদযাপনের সুযোগ পেয়েছি।’

শেখ হাসিনা বলেন, ‘এটা যে করে যেতে পারছি, এটা যে কত বড় পাওয়া আমাদের কাছে (আমি ও রেহানা) সেটা ভাষায় প্রকাশ করতে পারবো না।’

তিনি বলেন, ‘ছয় বছর শরণার্থী হিসেবে বিদেশে কাটাবার পর এক বুক বেদনা নিয়ে বাংলার মাটিতে ফিরে এসেছিলাম। বাংলার মানুষের মুখে হাসি ফোটাবার জন্য আমার বাবা বঙ্গবন্ধু যে ত্যাগ স্বীকার করে গেছেন সেই জনগণের মুখে হাসি ফোটানোই ছিল আমার লক্ষ্য।’

প্রধানমন্ত্রী বলেন, ‘সেই লক্ষ্য নিয়ে কাজ করতে গিয়ে জনগণের আস্থা ও বিশ্বাস অর্জন করতে পেরেছি, সরকার গঠন করেছি।’
শেখ হাসিনা বলেন, ‘কি পেলাম কি পেলাম না। সে হিসেব আমি কখনো মিলাই না। কি মর্যাদা পেয়েছি সেটা নিয়েও আমার চিন্তা নেই।’

তিনি বলেন, ‘আমার চিন্তা একটাই- দেশের জন্য কতটুকু করতে পারলাম,মানুষকে কি দিতে পারলাম। কারণ, এই মানুষগুলোর জন্যই আমার পিতা জীবন দিয়ে গেছেন।’সূত্র:বাসস।

আপলোডকারীর তথ্য

জনপ্রিয় সংবাদ

মাহমুদপুরে বিএনপির সদস্যপদ নবায়ন ও নতুন সদস্য সংগ্রহ কার্যক্রম শুরু

বঙ্গবন্ধুর জন্মশতবার্ষিকী উদযাপনের মাধ্যমে তাঁর জীবন ও আদর্শকে জনগণের মাঝে ছড়িয়ে দিতে চায় সরকার: প্রধানমন্ত্রী

আপডেট সময় ০৮:২৯:২০ অপরাহ্ন, বুধবার, ১৫ জানুয়ারী ২০২০

বাংলারচিঠিডটকম ডেস্ক : প্রধানমন্ত্রী এবং সংসদ নেতা শেখ হাসিনা বলেছেন, জাতির পিতার জন্মশতবার্ষিকী উদযাপনের মাধ্যমে তাঁর সরকার বঙ্গবন্ধুর জীবন ও আদর্শকে বাংলাদেশ ও বিশ্বের জনগণের মাঝে ছড়িয়ে দিতে চায়।

তিনি বলেন,‘জাতিসংঘের অঙ্গ সংস্থা ইউনেস্কো বঙ্গবন্ধুর জন্মশতবার্ষিকী পালনের সিদ্ধান্ত গ্রহণ করায় এই আয়োজন আন্তর্জাতিক রূপ লাভ করেছে এবং অনন্য মাত্রায় উন্নীত হয়েছে।’

প্রধানমন্ত্রী এবং সংসদ নেতা শেখ হাসিনা ১৫ জানুয়ারি বিকেলে জাতীয় সংসদে তাঁর জন্য নির্ধারিত প্রশ্নোত্তর পর্বে সরকার দলীয় সংসদ সদস্য একেএম রহমতুল্লাহর এক প্রশ্নের উত্তরে একথা বলেন।

ড. শিরিন শারমীন চৌধুরী এ সময় স্পিকারের দায়িত্ব পালন করছিলেন।

প্রধানমন্ত্রী বলেন,‘ইউনেস্কোর তত্ত্বাবধানে এখন সমগ্র বিশ্ব ২০২০ সালের ১৭ মার্চ থেকে ২০২১ সালের ২৬ মার্চ পর্যন্ত নানা আয়োজনের মধ্যদিয়ে জাতির পিতার বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের জন্ম শতবার্ষিকী পালন করবে।’

তিনি বলেন,‘ জাতির পিতার জন্মশতবার্ষিকীর আয়োজনের মাধ্যমে তাঁর সুদীর্ঘ সংগ্রামের ইতিহাস, বাঙালি জাতির জন্য তাঁর সুমহান আত্মত্যাগ এবং তাঁর সুদীর্ঘ কর্মময় বর্ণাঢ্য জীবন বিশ্ববাসীর মাঝে ব্যাপক আকারে ছড়িয়ে দেওয়ার সুযোগ সৃষ্টি হবে। জাতি হিসেবে এটি আমাদের জন্য বিরল সম্মানের।’

সরকার দলীয় সাংসদ শহীদুজ্জামান সেলিমের অপর এক সম্পূরক প্রশ্নের জবাবে প্রধানমন্ত্রী টানা তৃতীয়বার সহ মোট চতুর্থবারের মত সরকার গঠন করাতেই জাতির পিতার জন্ম শতবার্ষিকী জাতীয় এবং আন্তর্জাতিক পর্যায়ে উদযাপনের সুযোগ পেয়েছেন উল্লেখ করে মহান রাব্বুল আলামিন এবং দেশবাসীর প্রতি কৃতজ্ঞতা প্রকাশ করেন।

তিনি বলেন,‘ সরকার গঠন করে উন্নয়নের সাথে সাথে আমাদের পরম সৌভাগ্য যে, ২০২০ সালে আমরা জাতির পিতার জন্ম শতবার্ষিকী উদযাপনের সুযোগ পেয়েছি।’

শেখ হাসিনা বলেন, ‘এটা যে করে যেতে পারছি, এটা যে কত বড় পাওয়া আমাদের কাছে (আমি ও রেহানা) সেটা ভাষায় প্রকাশ করতে পারবো না।’

তিনি বলেন, ‘ছয় বছর শরণার্থী হিসেবে বিদেশে কাটাবার পর এক বুক বেদনা নিয়ে বাংলার মাটিতে ফিরে এসেছিলাম। বাংলার মানুষের মুখে হাসি ফোটাবার জন্য আমার বাবা বঙ্গবন্ধু যে ত্যাগ স্বীকার করে গেছেন সেই জনগণের মুখে হাসি ফোটানোই ছিল আমার লক্ষ্য।’

প্রধানমন্ত্রী বলেন, ‘সেই লক্ষ্য নিয়ে কাজ করতে গিয়ে জনগণের আস্থা ও বিশ্বাস অর্জন করতে পেরেছি, সরকার গঠন করেছি।’
শেখ হাসিনা বলেন, ‘কি পেলাম কি পেলাম না। সে হিসেব আমি কখনো মিলাই না। কি মর্যাদা পেয়েছি সেটা নিয়েও আমার চিন্তা নেই।’

তিনি বলেন, ‘আমার চিন্তা একটাই- দেশের জন্য কতটুকু করতে পারলাম,মানুষকে কি দিতে পারলাম। কারণ, এই মানুষগুলোর জন্যই আমার পিতা জীবন দিয়ে গেছেন।’সূত্র:বাসস।