বাংলারচিঠিডটকম ডেস্ক : প্রাথমিক সমাপনী পরীক্ষায় পরীক্ষার্থীকে এখন থেকে আর বহিষ্কারের সুযোগ নেই। বহিষ্কার সংক্রান্ত বিধি বাতিল করেছে শিক্ষা মন্ত্রণালয়। ১৫ জানুয়ারি আদালতের তলবে হাজির হয়ে প্রাথমিক শিক্ষা অধিদপ্তরের অতিরিক্ত মহাপরিচালক এ তথ্য জানান।
বিচারপতি এম, ইনায়েতুর রহিম ও বিচারপতি মো. মোস্তাফিজুর রহমান সমন্বয়ে গঠিত একটি হাইকোর্ট ডিভিশন বেঞ্চে ১৫ জানুয়ারি বিষয়টির ওপর শুনানি হয়।
এর আগে গত ১৮ ডিসেম্বর প্রাথমিক সমাপনী পরীক্ষায় বহিষ্কার করা শিক্ষার্থীর পরীক্ষার তারিখ ২৮ ডিসেম্বরের মধ্যে দেন হাইকোর্ট। একই সঙ্গে প্রাথমিক শিক্ষা অধিদপ্তদরের মহাপরিচালককে (ডিজি) তলব করেন হাইকোর্ট। সে অনুযায়ী বহিষ্কৃতদের পরীক্ষাও নেয়া হয়।
আজ আদালতে আবেদনের পক্ষে আইনজীবী ছিলেন জামিউল হক ফয়সাল। রাষ্ট্রপক্ষে ছিলেন ডেপুটি এটর্নি জেনারেল অমিত তালুকদার। ডিজির পক্ষে ছিলেন শফিক মাহমুদ।
আদালতে রাষ্ট্রপক্ষ জানায়-আদেশ অনুসারে বহিষ্কৃতদের পরীক্ষা নিয়ে ফলও প্রকাশ করা হয়েছে। একইসঙ্গে বহিষ্কারের নিয়ম বাতিল করা হয়েছে।
গত ১৯ নভেম্বর ‘প্রাথমিক সমাপনী পরীক্ষায় শিশু বহিষ্কার কেন’ শিরোনামে একটি জাতীয় দৈনিকে প্রতিবেদন প্রকাশিত হয়। ওই প্রতিবেদন আদালতের নজরে আনেন আইনজীবী জামিউল হক ফয়সাল।
জাতীয় দৈনিকে প্রকাশিত প্রতিবেদন আদালতের নজরে আনার পর ২১ নভেম্বর হাইকোর্ট স্বপ্রণোদিত হয়ে রুল জারি করেন। রুলে প্রাথমিক সমাপনী পরীক্ষায় শিক্ষার্থীদের বহিষ্কার করা কেন অবৈধ ঘোষণা করা হবে না, প্রাথমিক শিক্ষা অধিদপ্তরের ২০১৮ সালের ১৮ ডিসেম্বর জারি করা নির্দেশনার ১১ নম্বর অনুচ্ছেদ কেন অবৈধ ঘোষণা করা হবে না এবং বহিষ্কৃত পরীক্ষার্থীদের পরীক্ষা নিতে কেন নির্দেশ দেওয়া হবে না তা জানতে চান হাইকোর্ট।সূত্র:বাসস।