লিয়াকত হোসাইন লায়ন, ইসলামপুর (জামালপুর) প্রতিনিধি
বাংলারচিঠিডটকম
জামালপুরের ইসলামপুর উপজেলায় কবিরাজের চিকিৎসা নামে নানা প্রলোভন দেখিয়ে স্বামী পরিত্যক্তা ধর্ষণ হওয়ার তিনদিনে মাথায় ধর্ষণকারীকে গ্রেপ্তার করেছে পুলিশ। ধর্ষণকারী বাহার কবিরাজ উপজেলার পাথর্শী ইউনিয়নের মুকশিমলা গামারিয়া গ্রামের মৃত হাছেন আলীর ছেলে।
পুলিশ সূত্রে জানা যায়, ইসলামপুর সার্কেলের সহকারী পুলিশ সুপার (এএসপি) সুমন মিয়ার নির্দেশে গোপন সংবাদের ভিত্তিতে উপপরিদর্শক (এসআই) মাহমুদুলের নেতৃত্বে পুলিশ মেলান্দহ উপজেলার টগারচর থেকে তাকে গ্রেপ্তার করা হয়।
মামলা সূত্রে জানা যায়, উপজেলার বেলগাছা ইউনিয়নের ধনতলা গ্রামে রৌশনারা বেগম স্বামী পরিত্যাক্ত হওয়ার পর থেকেই দীর্ঘদিন থেকে বাবার বাড়িতে বসবাস করে আসছিলেন। হঠাৎ অসুস্থ হলে বিভিন্ন লোকের মাধ্যমে জেনে করিরাজের স্মরণাপন্ন হন। এ সময় কবিরাজ ওই নারীকে চিকিৎসা দিতে প্রতি নিয়তই যাতায়াত করে। একদিন চিকিৎসার কথা বলে কবিরাজের বাড়িতে ডেকে নেয়। এক পর্যায়ে কবিরাজ তাকে বিবাহের প্রস্তাব দেন। ওইদিন বিয়ের প্রলোভন দেখিয়ে তাকে ধর্ষণ করে। এতে রৌশনারা বেগম অন্ত:সত্ত্বা হয়ে পরে। অন্ত:সত্ত্বা ওই নারী বিয়ের জন্য কবিরাজকে চাপ দিলে সে তালবাহনা শুরু করে। পরে সুকৌশলে কবিরাজ পৌর শহরের গাওকুড়া তার ছোট ভাইয়ের বাড়িতে ডেকে নিয়ে ওষুধ খাওয়ান। এতে তার গর্ভপাত হয়ে পরে। এ ঘটনায় ইসলামপুর থানায় ওই নারী বাদী হয়ে বাহার কবিরাজসহ চারজনকে আসামি করে নারী ও শিশু নির্যাতন দমন আইনে মামলা করেন।
ইসলামপুর থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) আব্দুল্লাহ আল মামুন বাংলারচিঠিডটকমকে বলেন, ধর্ষণকারী কবিরাজকে গ্রেপ্তার করে আদালতে পাঠানো হয়েছে। আসামি বিজ্ঞ আদালতে ১৬৪ ধারায় স্বীকারোক্তিমূলক জবানবন্দি দিয়েছেন।
এছাড়াও আরেক ধর্ষণ মামলার আসামী পাথর্শী ইউনিয়নের পূর্ব গামারিয়া গ্রামের ধর্ষণকারী মুসলিম উদ্দিনের ছেলে মোস্তফাকে ১১ জানুয়ারি রাতে নারায়ণগঞ্জ থেকে আটক করেছে ইসলামপুর থানা পুলিশ। জানা গেছে, ধর্ষিতা ওইনারী ইতিমধ্যে সন্তান প্রসব করেছেন।