ঢাকা ০৯:৪৪ অপরাহ্ন, মঙ্গলবার, ০৩ ডিসেম্বর ২০২৪, ১৯ অগ্রহায়ণ ১৪৩১ বঙ্গাব্দ
সংবাদ শিরোনাম :
প্রতিবন্ধীদের সুরক্ষায় জামালপুর ডিসির অঙ্গীকার খাতেমুন মঈন মহিলা ডিগ্রি কলেজ : সভাপতি এম. রশিদুজ্জামান মিল্লাত, বিদ্যোৎসাহী কাফি ওয়েস্ট ইন্ডিজ সিরিজে নেই শান্ত-মুশফিক-হৃদয়, এক বছর পর দলে ফিরলেন আফিফ ব্রিকসকে কড়া হুঁশিয়ারি ট্রাম্পের বাংলাদেশে সংখ্যালঘু নির্যাতন একটি ‘অপপ্রচার’ : কূটনীতিকদের পররাষ্ট্র উপদেষ্টা ভারতীয় মিডিয়ার অপপ্রচারের বিপরীতে সত্য তুলে ধরুন : সাংবাদিকদের প্রতি স্বরাষ্ট্র উপদেষ্টা বকশীগঞ্জে উপজেলা যুবদলের আনন্দ মিছিল ও মিষ্টি বিতরণ নকলায় শহিদ বুদ্ধিজীবী ও বিজয় দিবস উদযাপনের প্রস্তুতিমূলক সভা অনুষ্ঠিত মেলান্দহে সড়ক দুর্ঘটনায় প্রাণ গেল তাঁতীলীগনেতার রশিদপুরে আ.লীগনেতা সাত্তার ও তার স্ত্রী হাফেজার ‘জিনের বাদশা’ কার্যক্রমে নিঃস্ব বহু মানুষ

বকশীগঞ্জে পাওনা টাকা চাওয়ায় ইমামকে পেটালো আওয়ামী লীগনেতা

আহত মাওলানা মো. নুরনবী বকশীগঞ্জ উপজেলা হাসপাতালে চিকিৎসা নেন। ছবি : বাংলারচিঠিডটকম

আহত মাওলানা মো. নূর নবী বকশীগঞ্জ উপজেলা হাসপাতালে চিকিৎসা নেন। ছবি : বাংলারচিঠিডটকম

বকশীগঞ্জ (জামালপুর) প্রতিনিধি
বাংলারচিঠিডটকম

জামালপুর বকশীগঞ্জ উপজেলায় পাওনা টাকা চাওয়ায় মাওলানা মো. নূর নবী নামে একজন ইমামকে রড দিয়ে পিটিয়েছে এক আওয়ামী লীগনেতা ও তার ভাইয়েরা। আহত ইমামকে তাকে বকশীগঞ্জ উপজেলা হাসপাতালে ভর্তি করা হয়েছে।

৭ জানুয়ারি বিকালে সাধুরপাড়া ইউনিয়নের দাসের হাটবাজারে এ ঘটনা ঘটে। এ ঘটনায় বকশীগঞ্জ থানায় একটি অভিযোগ দায়ের করা হলেও পুলিশ কোন আসামিকে গ্রেপ্তার করতে পারেন নি।

হামলার শিকার মাওলানা নূর নবী উপজেলার সাধুরপাড়া ইউনিয়নের মাঝেরপাড়া গ্রামের মৃত মফিজুল হকের ছেলে। তিনি একই ইউনিয়নের খেতারচর বটতলা জামে মসজিদের ইমাম হিসেবে কর্মরত। তিনি দাসের হাটবাজারে একটি ওষুধের ফার্মেসিও রয়েছে।

স্থানীয় সূত্র জানায়, সাধুরপাড়া ইউনিয়ন আওয়ামী লীগের সদস্য ও খানপাড়া গ্রামের ভুলখানের ছেলে ফারুক খানের চাচাতো ভাই লাল ফকির খান ৭ জানুয়ারি বিকেল সাড়ে চারটার দিকে দোকানটিতে যান। এ সময় ওষুধের বকেয়া টাকা চাইলে নুরনবীর সাথে তর্কাতর্কি হয় লাল ফকিরের।

কিছুক্ষণ পর ফারুক খানের নেতৃত্বে ১০/১২ জন দোকানের ভেতরে ঢুকে মাওলানা নূর নবীকে রড দিয়ে পিটিয়ে গুরুতর জখম করে ফেলে যায়। স্থানীয়রা মাওলানা নূর নবীকে উদ্ধারকরে বকশীগঞ্জ উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে ভর্তি করেন।

পরে রাতে আটজনকে আসামিকে করে বকশীগঞ্জ থানায় একটি লিখিত অভিযোগ দায়ের করেন মাওলানা নূর নবী ।

সাধুরপাড়া ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান ও ইউনিয়ন আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক মাহমুদুল আলম বাবু বাংলারচিঠিডটকমকে বলেন, ‘ফারুক খানের বিরুদ্ধে অভিযোগের শেষ নেই। তার নেতৃত্বে এলাকায় বিভিন্ন স্থানে অপকর্ম হচ্ছে বলে স্বীকার করেন তিনি। ইমামকে পিটিয়ে আহত করার ঘটনায় জড়িতদের সাংগঠনিক ব্যবস্থা নেওয়া হবে বলে জানিয়েছেন ইউপি চেয়ারম্যান।’

বকশীগঞ্জ থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মো. হযরত আলী বলেন বাংলারচিঠিডটকমকে বলেন, ঘটনার খবর পেয়ে আমি নিজে ভুক্তভোগীকে হাসপাতালে দেখতে গিয়েছিলাম। যাদেরকে আসামি করা হয়েছে তাদের বিরুদ্ধে আইনানুগ ব্যবস্থা নেওয়া হবে।

এদিকে ৭ জানুয়ারি রাতে ফারুক খানের বিরুদ্ধে অভিযোগ দায়ের করায় বাদী মাওলানা নূর নবীর ভাই জিন্নাহ মোল্লাকে হুমকি দিয়েছেন ফারুক খানের লোকজন।

৮ জানুয়ারি দুপুরে দাসের হাট বাজারে জিন্নাহ মোল্লাকে হুমকি দিয়ে অভিযোগ প্রত্যহারের চাপ দেন।

আপলোডকারীর তথ্য

জনপ্রিয় সংবাদ

প্রতিবন্ধীদের সুরক্ষায় জামালপুর ডিসির অঙ্গীকার

বকশীগঞ্জে পাওনা টাকা চাওয়ায় ইমামকে পেটালো আওয়ামী লীগনেতা

আপডেট সময় ০৮:৪৪:৫০ অপরাহ্ন, বুধবার, ৮ জানুয়ারী ২০২০
আহত মাওলানা মো. নূর নবী বকশীগঞ্জ উপজেলা হাসপাতালে চিকিৎসা নেন। ছবি : বাংলারচিঠিডটকম

বকশীগঞ্জ (জামালপুর) প্রতিনিধি
বাংলারচিঠিডটকম

জামালপুর বকশীগঞ্জ উপজেলায় পাওনা টাকা চাওয়ায় মাওলানা মো. নূর নবী নামে একজন ইমামকে রড দিয়ে পিটিয়েছে এক আওয়ামী লীগনেতা ও তার ভাইয়েরা। আহত ইমামকে তাকে বকশীগঞ্জ উপজেলা হাসপাতালে ভর্তি করা হয়েছে।

৭ জানুয়ারি বিকালে সাধুরপাড়া ইউনিয়নের দাসের হাটবাজারে এ ঘটনা ঘটে। এ ঘটনায় বকশীগঞ্জ থানায় একটি অভিযোগ দায়ের করা হলেও পুলিশ কোন আসামিকে গ্রেপ্তার করতে পারেন নি।

হামলার শিকার মাওলানা নূর নবী উপজেলার সাধুরপাড়া ইউনিয়নের মাঝেরপাড়া গ্রামের মৃত মফিজুল হকের ছেলে। তিনি একই ইউনিয়নের খেতারচর বটতলা জামে মসজিদের ইমাম হিসেবে কর্মরত। তিনি দাসের হাটবাজারে একটি ওষুধের ফার্মেসিও রয়েছে।

স্থানীয় সূত্র জানায়, সাধুরপাড়া ইউনিয়ন আওয়ামী লীগের সদস্য ও খানপাড়া গ্রামের ভুলখানের ছেলে ফারুক খানের চাচাতো ভাই লাল ফকির খান ৭ জানুয়ারি বিকেল সাড়ে চারটার দিকে দোকানটিতে যান। এ সময় ওষুধের বকেয়া টাকা চাইলে নুরনবীর সাথে তর্কাতর্কি হয় লাল ফকিরের।

কিছুক্ষণ পর ফারুক খানের নেতৃত্বে ১০/১২ জন দোকানের ভেতরে ঢুকে মাওলানা নূর নবীকে রড দিয়ে পিটিয়ে গুরুতর জখম করে ফেলে যায়। স্থানীয়রা মাওলানা নূর নবীকে উদ্ধারকরে বকশীগঞ্জ উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে ভর্তি করেন।

পরে রাতে আটজনকে আসামিকে করে বকশীগঞ্জ থানায় একটি লিখিত অভিযোগ দায়ের করেন মাওলানা নূর নবী ।

সাধুরপাড়া ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান ও ইউনিয়ন আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক মাহমুদুল আলম বাবু বাংলারচিঠিডটকমকে বলেন, ‘ফারুক খানের বিরুদ্ধে অভিযোগের শেষ নেই। তার নেতৃত্বে এলাকায় বিভিন্ন স্থানে অপকর্ম হচ্ছে বলে স্বীকার করেন তিনি। ইমামকে পিটিয়ে আহত করার ঘটনায় জড়িতদের সাংগঠনিক ব্যবস্থা নেওয়া হবে বলে জানিয়েছেন ইউপি চেয়ারম্যান।’

বকশীগঞ্জ থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মো. হযরত আলী বলেন বাংলারচিঠিডটকমকে বলেন, ঘটনার খবর পেয়ে আমি নিজে ভুক্তভোগীকে হাসপাতালে দেখতে গিয়েছিলাম। যাদেরকে আসামি করা হয়েছে তাদের বিরুদ্ধে আইনানুগ ব্যবস্থা নেওয়া হবে।

এদিকে ৭ জানুয়ারি রাতে ফারুক খানের বিরুদ্ধে অভিযোগ দায়ের করায় বাদী মাওলানা নূর নবীর ভাই জিন্নাহ মোল্লাকে হুমকি দিয়েছেন ফারুক খানের লোকজন।

৮ জানুয়ারি দুপুরে দাসের হাট বাজারে জিন্নাহ মোল্লাকে হুমকি দিয়ে অভিযোগ প্রত্যহারের চাপ দেন।