জ্যেষ্ঠ প্রতিবেদক
বাংলারচিঠিডটকম
জামালপুরে সাংবাদিক শেলু আকন্দকে নির্যাতন মামলার আসামি জামালপুর পৌরসভার কাউন্সিলর হাসানুজ্জামান খান রুনুকে গ্রেপ্তার এবং তাকে পৌর কাউন্সিলর পদ থেকে অপসারণের দাবিতে বিক্ষোভ মিছিল, সড়ক অবরোধ, প্রতিবাদ সমাবেশ ও পৌর মেয়রের কাছে স্মারকলিপি দিয়েছেন জামালপুর প্রেসক্লাব নেতৃবৃন্দ। ৩১ ডিসেম্বর সকালে এসব কর্মসূচি পালন করা হয়।
বেলা ১১টার দিকে শহরের বোসপাড়ায় জামালপুর প্রেসক্লাবের সামনে থেকে জেলায় কর্মরত সর্বস্তরের সাংবাদিকদের অংশগ্রহণে বিক্ষোভ মিছিল বের করা হয়। মিছিলটি শহরের প্রধান সড়ক প্রদক্ষিণ করে জামালপুর পৌরসভার সামনে গিয়ে শেষ হয়। সেখানে পৌরসভার সামনে প্রায় আধাঘন্টা প্রধান সড়ক অবরোধ করে প্রতিবাদ সমাবেশ করা হয়। প্রতিবাদ সমাবেশে বক্তব্য রাখেন জামালপুর প্রেসক্লাবের সভাপতি হাফিজ রায়হান সাদা ও সাধারণ সম্পাদক লুৎফর রহমান, বিটিভির সাংবাদিক মোস্তফা বাবুল, দৈনিক ইনকিলাবের সাংবাদিক নূরুল আলম সিদ্দিকী, ইনডিপেনডেন্ট টিভির সাংবাদিক দুলাল হোসাইন, সময় টিভির সাংবাদিক জাহাঙ্গীর আলম, দৈনিক বাংলাদেশের খবরের সাংবাদিক সৈয়দ শওকত জামান প্রমুখ।
বক্তারা সাংবাদিক নির্যাতনকারী পৌরসভার কাউন্সিলর হাসানুজ্জামান খান রুনুকে পৌর কাউন্সিলর পদ থেকে অপসারণ ও তার শহর আওয়ামী লীগের সদস্য পদ থেকে বহিষ্কার এবং তার ছেলে রাকিবুল ইসলাম খান রাকিবকে জেলা ছাত্রলীগ থেকে বহিষ্কারসহ সাংবাদিক নির্যাতন মামলার সকল আসামিদের গ্রেপ্তার ও দৃষ্টান্তমূলক শাস্তির দাবি জানান। সাংবাদিক নেতৃবৃন্দ অভিযোগ করেন, সাংবাদিক শেলু আকন্দকে নির্যাতন মামলার আসামিদের মধ্যে কয়েকজন আসামি প্রকাশ্যে ঘোরাফেরা করলেও রহস্যজনক কারণে পুলিশ তাদেরকে গ্রেপ্তার করছে না। দাবি না মানা হলে আগামী দিনে জেলা প্রশাসন, পুলিশ প্রশাসন, আওয়ামী লীগের দলীয় কর্মসূচি ও পৌরসভার সকল ইতিবাচক কর্মকান্ডের সংবাদ বর্জন করার ঘোষণা দেন সাংবাদিক নেতৃবৃন্দ।
সমাবেশ শেষে সাংবাদিক নেতৃবৃন্দ জামালপুর পৌরসভার মেয়র বরাবর স্মারকলিপি পেশ করেন। মেয়রের অনুপস্থিতিতে তার পক্ষে পৌরসভার হিসাবরক্ষক মো. আসাদুজ্জামান ও মেয়রের ব্যক্তিগত সহকারী মো. ইব্রাহিম খলিল স্মারকলিপি গ্রহণ করেন।
প্রসঙ্গত, জামালপুরের স্থানীয় দৈনিক পল্লীকণ্ঠ প্রতিদিনের সাংবাদিক ও জামালপুর প্রেসক্লাবের সদস্য শেলু আকন্দ গত ১৮ ডিসেম্বর রাত ১১টার দিকে সদর উপজেলা ভূমি অফিসের পেছনে ব্রহ্মপুত্র নদের পাড়ে বাইপাস সড়কে সন্ত্রাসী হামলার শিকার হন। সন্ত্রাসীরা পিটিয়ে তার দুটি পা ভেঙে দিয়েছে। তিনি বর্তমানে ঢাকায় জাতীয় অর্থোপেডিক হাসপাতালে চিকিৎসাধীন রয়েছেন। এ ঘটনায় শেলু আকন্দের ভাই মো. দেলোয়ার হোসেন বাদী হয়ে সদর থানায় দায়ের করা মামলার প্রধান আসামি তুষার খান ও ছাত্রলীগ নেতা রাকিবুল ইসলাম খান রাকিবকে পুলিশ গ্রেপ্তার করেছে। মামলার অন্যতম আসামি পৌর কাউন্সিলর হাসানুজ্জামান খান রুনু, তুহিন খান, সজন খান ও সিদ্দিক মন্ডলসহ অন্যান্য আসামিদের পুলিশ এখনও গ্রেপ্তার করতে পারেনি।