ঢাকা ১১:১৭ পূর্বাহ্ন, মঙ্গলবার, ০৮ অক্টোবর ২০২৪, ২৩ আশ্বিন ১৪৩১ বঙ্গাব্দ
সংবাদ শিরোনাম :
কালুরঘাটে ১১,৫৬০ কোটি টাকার রেল-কাম-সড়ক সেতু নির্মাণ প্রকল্প একনেকে অনুমোদন আলী রীয়াজের নেতৃত্বে সংবিধান সংস্কারে পূর্ণাঙ্গ কমিশন গঠন চিকিৎসাশাস্ত্রে নোবেল পেলেন মার্কিন বিজ্ঞানী ভিক্টর অ্যামব্রোস ও গ্যারি রুভকুন ইসলামপুরে দুর্গাপূজা উদযাপন উপলক্ষে মতবিনিময় র‌্যাবের অভিযান : শেরপুরে বৈষম্যবিরোধী ছাত্র-আন্দোলনে হামলা মামলার আসামি মোশারফ গ্রেপ্তার আরও শক্তিশালী হলো ঘূর্ণিঝড় ‘মিল্টন’, আঘাত হানবে যখন আমি ইসলামপুরে আপনাদের সেবা করার জন্য এসেছি : নবাগত উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা দুর্গাপূজায় অনাকাঙ্ক্ষিত ঘটনা এড়াতে সরিষাবাড়ীতে পুলিশের মতবিনিময় ঝিনাইগাতীতে বন্যায় ক্ষতিগ্রস্ত মানুষের পাশে বসুন্ধরা শুভসংঘ বকশীগঞ্জে অবৈধ পার্কিং করায় ভ্রাম্যমাণ আদালতে সিএনজি চালকদের জরিমানা

সামুদ্রিক মৎস্য আইন, ২০১৯-এর খসড়া মন্ত্রিসভায় অনুমোদন

বাংলারচিঠিডটকম ডেস্ক : বিদেশি মৎস্য নৌযান কর্তৃক মৎস্য আহরণ কার্যক্রম নিয়ন্ত্রণে জেল-জরিমানার বিধান রেখে ‘সামুদ্রিক মৎস্য আইন, ২০১৯-এর খসড়ার চুড়ান্ত অনুমোদন দিয়েছে মন্ত্রিসভা।

নতুন আইনে এ সংক্রান্ত অপরাধের জন্য অনধিক তিন বছরের কারাদণ্ড বা অনধিক পাঁচ কোটি টাকা অর্থদণ্ড অথবা বা উভয় দণ্ড প্রদানের বিধান রাখা হয়েছে।
প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার সভাপতিত্বে ৩০ ডিসেম্বর সকালে তাঁর তেজগাঁওস্থ কার্যালয়ে (পিএমও) অনুষ্ঠিত মন্ত্রিসভার নিয়মিত বৈঠকে এ অনুমোদন প্রদান করা হয়।

‘মন্ত্রিসভা বাংলাদেশের সীমানায় দেশি-বিদেশি মৎস্য নৌযান কর্তৃক মৎস্য আহরণ কার্যক্রম নিয়ন্ত্রণে অনধিক তিন বছরের কারাদণ্ড বা অনধিক পাঁচ কোটি টাকা অর্থদণ্ড অথবা বা উভয় দণ্ডের বিধান রেখে ‘সামুদ্রিক মৎস্য আইন, ২০১৯’এর খসড়ার চুড়ান্ত অনুমোদন দিয়েছে,’ বিকেলে সচিবালয়ে সাংবাদিকদের ব্রিফিংকালে মন্ত্রিপরিষদ সচিব খন্দোকার আনোয়ারুল ইসলাম একথা বলেন।

তিনি বলেন, ‘নতুন আইনে ক্ষমতাপ্রাপ্ত কর্মকর্তাকে বাধা প্রদান, মৎস্য নৌযান, ইত্যাদির ক্ষতিসাধন, প্রমাণাদি ধ্বংস ইত্যাদি অপরাধে দণ্ড যৌক্তিক পরিমাণে বৃদ্ধি করে অনধিক দু’বছরের কারাদণ্ড বা অপরাধ ভেদে ১০ লাখ টাকা এবং অনধিক ২৫ লাখ টাকা আর্থিক দণ্ডের বিধান করা হয়েছে।’ অধ্যাদেশে শাস্তির মেয়াদ অনধিক ৩ বছর এবং জরিমানা ৫ হাজার টাকা থেকে ১ লাখ টাকা পর্যন্ত ছিল।

সচিব বলেন, নিষিদ্ধ ঘোষিত সময়ে উক্ত এলকায় মৎস্য আহরণ, সমুদ্র যাত্রার অনুমতি ছাড়া মৎস্য আহরণ, আগমনী বার্তা প্রদান না করার অপরাধের দায়ে আহরিত মাছের মূল্যের সমপরিমান এবং তিন গুণ পরিমান প্রশাসনিক জরিমানা আরোপ করা যাবে।’

অপরাধ সংঘটনে সহায়তা ও পুণসংঘটনের জন্য আইনের খসড়ায় দন্ডের বিধান রয়েছে উল্লেখ করে অনোয়ারুল ইসলাম বলেন, ‘অপরাধ বিচারের ক্ষমতা জুডিশিয়াল ম্যাজিষ্ট্রেট এবং মোবাইল কোর্টের এখতিয়ারাধীন রাখা হয়েছে।’

সচিব বলেন, প্রস্তাবিত আইন কার্যকর হলে সামুদ্রিক মৎস্য সম্পদ আহরণ, এর টেকসই মজুদ ব্যবস্থাপনা ও সংরক্ষণের মাধ্যমে সামুদ্রিক মৎস খাতে ব্লু-ইকোনমির সর্বাধিক উদ্দেশ্য অর্জন করা সম্ভব হবে।

তিনি আরো বলেন, বর্তমান সরকারের প্রধানমন্ত্রীর দূরদৃষ্টি সম্পন্ন এবং সাহসী সিদ্ধান্তে আন্তর্জাতিক আইনি লড়াইয়ের ফলে অর্জিত বঙ্গোপসাগরে বাংলাদেশের ১ লাখ ১৮ হাজার ১১৩ বর্গকিলোমিটার এলাকায় মৎস্য সম্পদ আহরণের মাধ্যমে ব্লু ইকোনমির অর্জনকে লক্ষ্য করে ১৯৮৩ সালে জারিকৃত এ সংক্রান্ত অধ্যাদেশে’র (দি ফিশারিজ অর্ডন্যান্স, ১৯৮৩) সংশোধন, পরিমার্জন, পরিবর্ধন করে বাংলাভাষায় এই আইনের খসড়াটি প্রস্তুত করা হয়েছে।
সচিব বলেন, ‘বাংলাদেশের সামুদ্রিক জলসীমায় মৎস্য সম্পদের ব্যবস্থাপনা, আহরণ, সংরক্ষণ ও উন্নয়নের মাধ্যমে দেশের জনগণের আয় বৃদ্ধি ও কর্মসংস্থান তৈরীই এই আইন প্রণয়ণের লক্ষ্য।’
মন্ত্রিপরিষদ সচিব বলেন, এদিন ‘বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান বিশ্ববিদ্যালয় আইন, ২০১৯’ এবং ‘সুনামগঞ্জ বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয় আইন, ২০১৯’এর খসড়ার নীতিগত অনুমোদন প্রদান করে মন্ত্রিসভা।

এছাড়া, ‘বাংলাদেশ এনার্জি রেগুলেটরী কমিশন (সংশোধন) আইন, ২০১৯’ এর খসড়ার নীতিগত ও চুড়ান্ত অনুমোদন এবং বাংলাদেশ কম্পিউটার কাউন্সিলের আওতায় ‘বাংলাদেশ ডেটা সেন্টার কোম্পানী লিমিটেড’ শীর্ষক কোম্পানী গঠনের প্রস্তাব এবং উক্ত কোম্পানীর মেমোরেন্ডাম অব এসোসিয়েশন (এমওএ) এবং আর্টিক্যালস অব এসোসিয়েশন (এওএ) এর খসড়ার অনুমোদন দেওয়া হয়।
একইসঙ্গে বাংলাদেশ ও দক্ষিণ আফ্রিকার মধ্যে স্বাক্ষরিত ‘এক্সট্রাডিশন’ এবং ‘মিউচ্যুয়াল লিগ্যাল এসিন্টেন্স ইন ক্রিমিনাল মেটারস’ সংক্রান্ত দুইটি চুক্তির খসড়া অনুসমর্থনের প্রস্তাব অনুমোদন এবং ‘প্রটোকল রিলেটিং টু দি মাদ্রিদ এগ্রিমেন্ট কনসার্নিং দ্য ইন্টারন্যাশনাল রেজিস্ট্রেশন অব দি মার্কস ১৯৮৯’-এ বাংলাদেশের অন্তর্ভূক্তির প্রস্তাব অনুমোদন করা হয়।

খন্দকার আনোয়ারুল ইসলাম বলেন, ‘বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান বিশ্ববিদ্যালয় আইনে ৫৫টি ধারা রয়েছে।’

তিনি বলেন, ‘আইনের খসড়ায় বিশ্ববিদ্যালয়ে সর্বোচ্চ অথরিটি হবে, কিভাবে ভিসি, প্রো-ভিসি, কোষাধ্যক্ষ নিয়োগ হবে এবং সিন্ডিকেট, একাডেমিক কাউন্সিল, অর্থ কমিটির বিষয়ে বিস্তারিত উল্লেখ করা হয়েছে।’

অন্য বিশ্ববিদ্যালয়ের আইন যে রকম তার সঙ্গে সামঞ্জস্য রেখে এই আইন করা হয়েছে উল্লেখ করে মন্ত্রিপরিষদ সচিব বলেন, ‘বিশ্ববিদ্যালয়টি কিশোরগঞ্জ জেলার সদর উপজেলার বউলাই ইউনিয়নে প্রতিষ্ঠিত হবে।’

তিনি বলেন, মন্ত্রিসভায় সুনামগঞ্জ বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয় আইনের খসড়ার ও অনুমোদন দেওয়া হয়।

সচিব বলেন, এই আইনটিও বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান বিশ্ববিদ্যালয় আইনের মতো করা হয়েছে এবং নীতিগতভাবে অনুমোদিত হয়েছে। সুনামগঞ্জের প্রতিষ্ঠিত হবে বলা হলেও সেটি কোথায় হবে তা এখনো জানানো হয়নি।

এ দু’টিসহ দেশে পাবলিক বিশ্ববিদ্যালয়ের সংখ্যা দাঁড়ালো ৫০টিতে।

গত সোমবার মন্ত্রিসভার নিয়মিত বৈঠকে চাঁদপুর বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয় এবং হবিগঞ্জ কৃষি বিশ্ববিদ্যালয় আইনের খসড়া চূড়ান্ত অনুমোদন দেওয়া হয়।
‘বাংলাদেশ এনার্জি রেগুলেটরি কমিশন (সংশোধন) আইন, ২০১৯’ এর খসড়ার নীতিগত ও চুড়ান্ত অনুমোদন দেয় মন্ত্রিসভা।

মন্ত্রিপরিষদ সচিব বলেন, বর্তমান আইনে কমিশন কর্তৃক ট্যারিফ কোনো অর্থবছরে একবারের বেশি পরিবর্তন করা যায় না। তা সংশোধন করে প্রস্তাবিত আইনে এক বা একাধিকবার পরিবর্তনের সুযোগ রাখা হয়েছে।

তিনি বলেন, ‘কমিশন কতৃর্ক নির্ধারিত ট্যারিফ কোন অর্থবছরে কমিশন উহার একক বা পৃথক আদেশ দ্বারা, প্রয়োজন অনুসারে এক বা একাধিকবার পরিবর্তন করতে পারবে।’

তিনি বলেন, গত ২৫ থেকে ২৮ নভেম্বর স্বরাষ্ট্রমন্ত্রীর তুরস্ক সফর এবং ১৯-২০ নভেম্বর তুরস্কের আঙ্কারায় অনুষ্ঠিত তুরস্ক যৌথ কমিশনের পঞ্চম সভায় অর্থমন্ত্রীর নেতৃত্বে বাংলাদেশের যোগদানের বিষয়েও মন্ত্রিসভাকে অবহিত করা হয়।সূত্র:বাসস।

আপলোডকারীর তথ্য

জনপ্রিয় সংবাদ

কালুরঘাটে ১১,৫৬০ কোটি টাকার রেল-কাম-সড়ক সেতু নির্মাণ প্রকল্প একনেকে অনুমোদন

সামুদ্রিক মৎস্য আইন, ২০১৯-এর খসড়া মন্ত্রিসভায় অনুমোদন

আপডেট সময় ০৯:৩৪:৫৬ অপরাহ্ন, সোমবার, ৩০ ডিসেম্বর ২০১৯

বাংলারচিঠিডটকম ডেস্ক : বিদেশি মৎস্য নৌযান কর্তৃক মৎস্য আহরণ কার্যক্রম নিয়ন্ত্রণে জেল-জরিমানার বিধান রেখে ‘সামুদ্রিক মৎস্য আইন, ২০১৯-এর খসড়ার চুড়ান্ত অনুমোদন দিয়েছে মন্ত্রিসভা।

নতুন আইনে এ সংক্রান্ত অপরাধের জন্য অনধিক তিন বছরের কারাদণ্ড বা অনধিক পাঁচ কোটি টাকা অর্থদণ্ড অথবা বা উভয় দণ্ড প্রদানের বিধান রাখা হয়েছে।
প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার সভাপতিত্বে ৩০ ডিসেম্বর সকালে তাঁর তেজগাঁওস্থ কার্যালয়ে (পিএমও) অনুষ্ঠিত মন্ত্রিসভার নিয়মিত বৈঠকে এ অনুমোদন প্রদান করা হয়।

‘মন্ত্রিসভা বাংলাদেশের সীমানায় দেশি-বিদেশি মৎস্য নৌযান কর্তৃক মৎস্য আহরণ কার্যক্রম নিয়ন্ত্রণে অনধিক তিন বছরের কারাদণ্ড বা অনধিক পাঁচ কোটি টাকা অর্থদণ্ড অথবা বা উভয় দণ্ডের বিধান রেখে ‘সামুদ্রিক মৎস্য আইন, ২০১৯’এর খসড়ার চুড়ান্ত অনুমোদন দিয়েছে,’ বিকেলে সচিবালয়ে সাংবাদিকদের ব্রিফিংকালে মন্ত্রিপরিষদ সচিব খন্দোকার আনোয়ারুল ইসলাম একথা বলেন।

তিনি বলেন, ‘নতুন আইনে ক্ষমতাপ্রাপ্ত কর্মকর্তাকে বাধা প্রদান, মৎস্য নৌযান, ইত্যাদির ক্ষতিসাধন, প্রমাণাদি ধ্বংস ইত্যাদি অপরাধে দণ্ড যৌক্তিক পরিমাণে বৃদ্ধি করে অনধিক দু’বছরের কারাদণ্ড বা অপরাধ ভেদে ১০ লাখ টাকা এবং অনধিক ২৫ লাখ টাকা আর্থিক দণ্ডের বিধান করা হয়েছে।’ অধ্যাদেশে শাস্তির মেয়াদ অনধিক ৩ বছর এবং জরিমানা ৫ হাজার টাকা থেকে ১ লাখ টাকা পর্যন্ত ছিল।

সচিব বলেন, নিষিদ্ধ ঘোষিত সময়ে উক্ত এলকায় মৎস্য আহরণ, সমুদ্র যাত্রার অনুমতি ছাড়া মৎস্য আহরণ, আগমনী বার্তা প্রদান না করার অপরাধের দায়ে আহরিত মাছের মূল্যের সমপরিমান এবং তিন গুণ পরিমান প্রশাসনিক জরিমানা আরোপ করা যাবে।’

অপরাধ সংঘটনে সহায়তা ও পুণসংঘটনের জন্য আইনের খসড়ায় দন্ডের বিধান রয়েছে উল্লেখ করে অনোয়ারুল ইসলাম বলেন, ‘অপরাধ বিচারের ক্ষমতা জুডিশিয়াল ম্যাজিষ্ট্রেট এবং মোবাইল কোর্টের এখতিয়ারাধীন রাখা হয়েছে।’

সচিব বলেন, প্রস্তাবিত আইন কার্যকর হলে সামুদ্রিক মৎস্য সম্পদ আহরণ, এর টেকসই মজুদ ব্যবস্থাপনা ও সংরক্ষণের মাধ্যমে সামুদ্রিক মৎস খাতে ব্লু-ইকোনমির সর্বাধিক উদ্দেশ্য অর্জন করা সম্ভব হবে।

তিনি আরো বলেন, বর্তমান সরকারের প্রধানমন্ত্রীর দূরদৃষ্টি সম্পন্ন এবং সাহসী সিদ্ধান্তে আন্তর্জাতিক আইনি লড়াইয়ের ফলে অর্জিত বঙ্গোপসাগরে বাংলাদেশের ১ লাখ ১৮ হাজার ১১৩ বর্গকিলোমিটার এলাকায় মৎস্য সম্পদ আহরণের মাধ্যমে ব্লু ইকোনমির অর্জনকে লক্ষ্য করে ১৯৮৩ সালে জারিকৃত এ সংক্রান্ত অধ্যাদেশে’র (দি ফিশারিজ অর্ডন্যান্স, ১৯৮৩) সংশোধন, পরিমার্জন, পরিবর্ধন করে বাংলাভাষায় এই আইনের খসড়াটি প্রস্তুত করা হয়েছে।
সচিব বলেন, ‘বাংলাদেশের সামুদ্রিক জলসীমায় মৎস্য সম্পদের ব্যবস্থাপনা, আহরণ, সংরক্ষণ ও উন্নয়নের মাধ্যমে দেশের জনগণের আয় বৃদ্ধি ও কর্মসংস্থান তৈরীই এই আইন প্রণয়ণের লক্ষ্য।’
মন্ত্রিপরিষদ সচিব বলেন, এদিন ‘বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান বিশ্ববিদ্যালয় আইন, ২০১৯’ এবং ‘সুনামগঞ্জ বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয় আইন, ২০১৯’এর খসড়ার নীতিগত অনুমোদন প্রদান করে মন্ত্রিসভা।

এছাড়া, ‘বাংলাদেশ এনার্জি রেগুলেটরী কমিশন (সংশোধন) আইন, ২০১৯’ এর খসড়ার নীতিগত ও চুড়ান্ত অনুমোদন এবং বাংলাদেশ কম্পিউটার কাউন্সিলের আওতায় ‘বাংলাদেশ ডেটা সেন্টার কোম্পানী লিমিটেড’ শীর্ষক কোম্পানী গঠনের প্রস্তাব এবং উক্ত কোম্পানীর মেমোরেন্ডাম অব এসোসিয়েশন (এমওএ) এবং আর্টিক্যালস অব এসোসিয়েশন (এওএ) এর খসড়ার অনুমোদন দেওয়া হয়।
একইসঙ্গে বাংলাদেশ ও দক্ষিণ আফ্রিকার মধ্যে স্বাক্ষরিত ‘এক্সট্রাডিশন’ এবং ‘মিউচ্যুয়াল লিগ্যাল এসিন্টেন্স ইন ক্রিমিনাল মেটারস’ সংক্রান্ত দুইটি চুক্তির খসড়া অনুসমর্থনের প্রস্তাব অনুমোদন এবং ‘প্রটোকল রিলেটিং টু দি মাদ্রিদ এগ্রিমেন্ট কনসার্নিং দ্য ইন্টারন্যাশনাল রেজিস্ট্রেশন অব দি মার্কস ১৯৮৯’-এ বাংলাদেশের অন্তর্ভূক্তির প্রস্তাব অনুমোদন করা হয়।

খন্দকার আনোয়ারুল ইসলাম বলেন, ‘বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান বিশ্ববিদ্যালয় আইনে ৫৫টি ধারা রয়েছে।’

তিনি বলেন, ‘আইনের খসড়ায় বিশ্ববিদ্যালয়ে সর্বোচ্চ অথরিটি হবে, কিভাবে ভিসি, প্রো-ভিসি, কোষাধ্যক্ষ নিয়োগ হবে এবং সিন্ডিকেট, একাডেমিক কাউন্সিল, অর্থ কমিটির বিষয়ে বিস্তারিত উল্লেখ করা হয়েছে।’

অন্য বিশ্ববিদ্যালয়ের আইন যে রকম তার সঙ্গে সামঞ্জস্য রেখে এই আইন করা হয়েছে উল্লেখ করে মন্ত্রিপরিষদ সচিব বলেন, ‘বিশ্ববিদ্যালয়টি কিশোরগঞ্জ জেলার সদর উপজেলার বউলাই ইউনিয়নে প্রতিষ্ঠিত হবে।’

তিনি বলেন, মন্ত্রিসভায় সুনামগঞ্জ বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয় আইনের খসড়ার ও অনুমোদন দেওয়া হয়।

সচিব বলেন, এই আইনটিও বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান বিশ্ববিদ্যালয় আইনের মতো করা হয়েছে এবং নীতিগতভাবে অনুমোদিত হয়েছে। সুনামগঞ্জের প্রতিষ্ঠিত হবে বলা হলেও সেটি কোথায় হবে তা এখনো জানানো হয়নি।

এ দু’টিসহ দেশে পাবলিক বিশ্ববিদ্যালয়ের সংখ্যা দাঁড়ালো ৫০টিতে।

গত সোমবার মন্ত্রিসভার নিয়মিত বৈঠকে চাঁদপুর বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয় এবং হবিগঞ্জ কৃষি বিশ্ববিদ্যালয় আইনের খসড়া চূড়ান্ত অনুমোদন দেওয়া হয়।
‘বাংলাদেশ এনার্জি রেগুলেটরি কমিশন (সংশোধন) আইন, ২০১৯’ এর খসড়ার নীতিগত ও চুড়ান্ত অনুমোদন দেয় মন্ত্রিসভা।

মন্ত্রিপরিষদ সচিব বলেন, বর্তমান আইনে কমিশন কর্তৃক ট্যারিফ কোনো অর্থবছরে একবারের বেশি পরিবর্তন করা যায় না। তা সংশোধন করে প্রস্তাবিত আইনে এক বা একাধিকবার পরিবর্তনের সুযোগ রাখা হয়েছে।

তিনি বলেন, ‘কমিশন কতৃর্ক নির্ধারিত ট্যারিফ কোন অর্থবছরে কমিশন উহার একক বা পৃথক আদেশ দ্বারা, প্রয়োজন অনুসারে এক বা একাধিকবার পরিবর্তন করতে পারবে।’

তিনি বলেন, গত ২৫ থেকে ২৮ নভেম্বর স্বরাষ্ট্রমন্ত্রীর তুরস্ক সফর এবং ১৯-২০ নভেম্বর তুরস্কের আঙ্কারায় অনুষ্ঠিত তুরস্ক যৌথ কমিশনের পঞ্চম সভায় অর্থমন্ত্রীর নেতৃত্বে বাংলাদেশের যোগদানের বিষয়েও মন্ত্রিসভাকে অবহিত করা হয়।সূত্র:বাসস।