জ্যেষ্ঠ প্রতিবেদক
বাংলারচিঠিডটকম
“আমার ছিল না মুক্ত মাতৃভূমি/শৃঙ্খলহীন স্বাধীন দেশ;/শতবর্ষের শত সাধনায়/পেয়েছি তোমায় বাংলাদেশ।” বিজয়ের গান’ কবিতায় কবি নির্মলেন্দু গুণ এভাবেই বাংলাদেশের জন্মের কথা বলেছেন, বিজয়ের কথা বলেছেন। আজ ৪৮তম মহান বিজয় দিবস। বাঙালি জাতির ইতিহাসে সবচেয়ে বড় বিজয় অর্জনের দিন। ১৯৭১ সালের এই দিনে বাংলার আকাশে-বাতাসে কোটি মানুষের কন্ঠে ধ্বনিত হয়েছে ‘জয় বাংলা, বাংলার জয়’।
৪৮তম মহান বিজয় দিবসে বঙ্গমাতা শেখ ফজিলাতুন্নেছা মুজিব বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয়ের অস্থায়ী ক্যাম্পাসের মিলনায়তনে আলোচনা অনুষ্ঠান এবং দু’জন বীর মুক্তিযোদ্ধাকে সংবর্ধনা দেওয়া হয়েছে। ১৬ ডিসেম্বর সকাল ১০টায় এ আলোচনা সভা এবং সংবর্ধনা অনুষ্ঠান অনুষ্ঠিত হয়।
অনুষ্ঠানের প্রধান অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন বঙ্গমাতা শেখ ফজিলাতুন্নেছা মুজিব বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্য অধ্যাপক ড. সৈয়দ সামসুদ্দিন আহমেদ। প্রধান অতিথির বক্তব্যে তিনি বলেন, আমরা আজ যে বিজয় দিবসে উচ্ছ্বাস প্রকাশ করি, উল্লাস করি তার মূল্য অসমান্য এবং তাৎপর্যপূর্ণ। এই বিজয়ের জন্য লক্ষ প্রাণের বুকের তাজা রক্ত উৎসর্গ করতে হয়েছে জাতির শ্রেষ্ঠসন্তানদের। তিনি শিক্ষার্থীদের উদ্দেশ্যে বলেন, এই বিজয়ের, এই রক্তের মূল্য এবং সন্মান তোমাদের জন্য আমরা রেখে যাচ্ছি। তোমরা অনেক বড় মানুষ হয়ে দেশ বিদেশে ছড়িয়ে পড়ে তোমার মুক্তিযুদ্ধের ইতিহাস বলবে, যে ইতিহাস গর্বের, যে ইতিহাস ত্যাগের।
অনুষ্ঠানে সংবর্ধিত অতিথির বক্তব্য রাখেন বীর মুক্তিযোদ্ধা আব্দুল হাকিম বীর প্রতীক এবং বীর মুক্তিযোদ্ধা আব্দুর রশিদ। এতে বিশেষ অতিথির বক্তব্য রাখেন বিশ্ববিদ্যালয়ের পরীক্ষা নিয়ন্ত্রক ড. আনোয়ার হোসেন, পরিচালক (পরিকল্পনা ও উন্নয়ন) আব্দুর রেজ্জাক, সিএসই বিভাগের চেয়ারম্যান ড. মাহমুদুল আলম, গণিত বিভাগের চেয়ারম্যান ড. মুহম্মদ শাহজালাল প্রমুখ। অনুষ্ঠানে সভাপতিত্ব করেন বিশ্ববিদ্যালয়ের সমাজকর্ম বিভাগের চেয়ারম্যান ড. মাহবুবুর রহমান এবং সঞ্চালনা করেন প্রভাষক প্রদ্যুৎ পাল। আলোচনা অনুষ্ঠানে শিক্ষক, কর্মকর্তা, কর্মচারী ও ছাত্র-ছাত্রীবৃন্দ উপস্থিত ছিলেন।
অনুষ্ঠানের শুরুতে বীর মুক্তিযোদ্ধাদের উত্তরীয় পরিয়ে বরণ করে নেন বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্য অধ্যাপক ড. সৈয়দ সামসুদ্দিন আহমেদ। এরপর তাদের সম্মাননা স্মারক প্রদান করা হয়। পরে বীর মুক্তিযোদ্ধারা বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষার্থীদের সাথে রণাঙ্গনে যুদ্ধকালীন বিভিন্ন অভিজ্ঞতার কথা বর্ণনা করেন।
এর আগে সকাল সাড়ে ছয়টায় জাতির শ্রেষ্ঠ সন্তানদের স্মরণে শহীদ স্মৃতিস্তম্ভে ফুল দিয়ে শ্রদ্ধা নিবেদন এবং আনন্দ শোভাযাত্রা বের করা হয়।