বাংলারচিঠিডটকম ডেস্ক : আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক এবং সড়ক পরিবহন ও সেতুমন্ত্রী ওবায়দুল কাদের বলেছেন, জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের পরিবার এই দেশে সততার রাজনীতির প্রতীক। রাজনীতি নিজের ভাগ্য নয়, জনগণের ভাগ্য গড়ার হাতিয়ার।
৩০ নভেম্বর ঐতিহাসিক সোহরাওয়ার্দী উদ্যানে ঢাকা মহানগর উত্তর ও দক্ষিণ আওয়ামী লীগের ত্রি-বার্ষিক সম্মেলনের উদ্বোধনী অনুষ্ঠানে বিশেষ অতিথির বক্তৃতায় তিনি এ কথা বলেন।
আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক বলেন, ‘রাজনীতি কেনাবেচার পণ্য নয়। রাজনীতি আপন ভাগ্য গড়ার হাতিয়ার নয়। রাজনীতি জনগণের ভাগ্য গড়ার হাতিয়ার শেখ হাসিনা আমাদের এমন শিক্ষাই দিয়েছেন।’
পঁচাত্তরের পর দেশে প্রধানমন্ত্রী ও আওয়ামী লীগ সভাপতি শেখ হাসিনার চেয়ে সৎ রাজনীতিক একজনও নেই উল্লেখ করে তিনি বলেন, বঙ্গবন্ধু আমাদের যে শিক্ষা দিয়েছেন সেই পথ শেখ হাসিনা আমাদের অনুসরণ করতে বলেছেন। একজন রাজনীতিকের মানুষের ভালোবাসা পাওয়া ছাড়া আর কিছুই পাওয়ার নেই।
ওবায়দুল কাদের বলেন, প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা শুদ্ধি অভিযানের সূচনা করেছেন এই শুদ্ধি অভিযান সফল করতে হবে। সিটি কর্পোরেশন নির্বাচন আর বেশি দূরে নয় স্মরণ করিয়ে দিয়ে তিনি বলেন, এই সম্মেলন থেকে প্রস্তুতি নিতে হবে। সিটি কর্পোরেশন নির্বাচনে বিজয়ী হওয়ার শপথ নিতে হবে। সেই লক্ষ্যে আপনাদের সবাইকে কাজ করতে হবে।
এর আগে সকাল ১১টায় ঢাকা মহানগর উত্তর ও দক্ষিণ আওয়ামী লীগের সম্মেলন শুরু হয়। আওয়ামী লীগ সভাপতি ও প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা পায়রা ও বেলুন উড়িয়ে এই সম্মেলনের উদ্বোধন করেন।
ঢাকা মহানগর দক্ষিণ আওয়ামী লীগের সভাপতি আবুল হাসনাতের সভাপতিত্বে সম্মেলনে ঢাকা মহানগর উত্তর আওয়ামী লীগের সভাপতি সংসদ সদস্য এ কে এম রহমতউল্লাহ বক্তব্য রাখেন। ঢাকা মহানগর উত্তর আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক সাদেক খান এবং দক্ষিণের সাধারণ সম্পাদক শাহে আলম মুরাদ সাংগঠনিক প্রতিবেদন উপস্থাপন করেন। শোক প্রস্তাব পাঠ করেন ঢাকা মহানগর উত্তর আওয়ামী লীগের দপ্তর সম্পাদক সাইফুল্লাহ সাইফুল এবং মহানগর দক্ষিণ আওয়ামী লীগের দপ্তর সম্পাদক গোলাম রব্বানী বাবলু। অনুষ্ঠানের শুরুতে বিভিন্ন ধর্মগ্রন্থ থেকে পাঠ করা হয়।
সম্মেলনে অন্যান্যের মধ্যে আওয়ামী লীগের উপদেষ্টা পরিষদের সদস্য আইনজীবী ইউসুফ হোসেন হুমায়ুন ও মোজাফ্ফর হোসেন পল্টু, সভাপতিমন্ডলীর সদস্য বেগম মতিয়া চৌধুরী, কৃষিমন্ত্রী ড. আব্দুর রাজ্জাক, আব্দুল মতিন খসরু, আইনজীবী সাহারা খাতুন ও লে. কর্ণেল (অব.) ফারুক খান, যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক মাহবুব উল আলম হানিফ, শিক্ষামন্ত্রী চিকিৎসক দীপু মনি, জাহাঙ্গীর কবির নানক ও আব্দুর রহমান, সাংগঠনিক সম্পাদক সম্পাদক আহমদ হোসেন, আ ফ ম বাহাউদ্দিন নাছিম, বি এম মোজাম্মেল হক ও এনামুল হক শামিম, মুক্তিযুদ্ধ বিষয়ক সম্পাদক মৃণাল কান্তি দাস, সংস্কৃতি বিষয়ক সম্পাদক আসীম কুমার উকিল, ত্রাণ ও সমাজ কল্যাণ সম্পাদক সুজিত রায় নন্দি, আইন বিষয়ক সম্পাদক শ ম রেজাউল করিম, শ্রম বিসয়ক সম্পাদক হাবিবুর রহমান সিরাজ, দপ্তর ড. সম্পাদক আবদুস সোবহান গোলাপ, কৃষি বিষয়ক সম্পাদক ফরিদুন্নহার লাইলী, উপ-প্রচার ও প্রকাশনা সম্পাদক আমিনুল ইসলাম আমিন, বন ও পরিবেশ বিষয়ক সম্পাদক দেলোয়ার হোসেন প্রমুখ উপস্থিত ছিলেন।
বেলা ১১টার দিকে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা সম্মেলন স্থলে পৌঁছান। এ সময়ে মহানগর আওয়ামী লীগের নেতাকর্মীরা স্লোগান দিয়ে তাঁকে স্বাগত জানান। পরে তিনি নৌকার আদলে তৈরি মঞ্চে আসন গ্রহণ করেন।
অবিভক্ত ঢাকা মহানগর আওয়ামী লীগের সর্বশেষ সম্মেলন অনুষ্ঠিত হয় ২০১২ সালের ২৭ ডিসেম্বর। তবে, ২০১৫ সালে ঢাকা মহানগর দুই ভাগে বিভক্ত হওয়ার পর ২০১৬ সালের ১০ এপ্রিল কমিটি ঘোষিত হয়। সূত্র:বাসস।