ঢাকা ০৩:৩৭ অপরাহ্ন, রবিবার, ০৬ অক্টোবর ২০২৪, ২১ আশ্বিন ১৪৩১ বঙ্গাব্দ
সংবাদ শিরোনাম :
টাকা হাওলাত দিতে অস্বীকার করায় সরিষাবাড়ীতে দুলাভাইকে পিটিয়েছে দুই শ্যালকে শেরপুরের বন্যায় ৫ জনের মৃত্যু, নৌযানের অভাবে উদ্ধার কাজ ব্যাহত জামালপুর-৫ (সদর) আসনের সাবেক এমপি আবুল কালাম আজাদ ঢাকায় গ্রেপ্তার মেলান্দহে কৃষক সুরুজ্জামানের জমি দখলের চেষ্টার অভিযোগ কলেজশিক্ষক সুরুজ্জামানের বিরুদ্ধে জামালপুরে বিশ্ব শিক্ষক দিবস উদযাপিত ভারতে মহানবী (সা.)-কে অবমাননার প্রতিবাদে ইসলামপুরে বিক্ষোভ মিছিল ভারতে মহানবী হযরত মুহাম্মদ (সা.)-কে কটূক্তির প্রতিবাদে মাদারগঞ্জে বিক্ষোভ শেরপুরে বানভাসিদের সহায়তায় এগিয়ে আসুন সাবেক রাষ্ট্রপতি বদরুদ্দোজা চৌধুরী আর নেই বকশীগঞ্জে দায়ের হওয়া মামলায় আওয়ামী লীগ নেতা শাহিনা-বাবুলসহ আসামি ১৩৯, গ্রেপ্তার ৬

বাংলাদেশ রোহিঙ্গা প্রত্যাবাসনের জন্য প্রস্তুত রয়েছে: পররাষ্ট্র মন্ত্রী

বাংলারচিঠিডটকম ডেস্ক : পররাষ্ট্র মন্ত্রী ড. এ কে আব্দুল মোমেন রোহিঙ্গা প্রত্যাবাসনে বাংলাদেশের সময়ক্ষেপণের অভিযোগ উড়িয়ে দিয়ে বলেছেন, বাস্তুচ্যুত মানুষকে তাদের নিজ ভূমি রাখাইনে ফেরত পাঠাতে ঢাকা প্রস্তুত রয়েছে।

২৬ নভেম্বর ঢাকায় এক সম্মেলনে অংশগ্রহণ শেষে তিনি সংবাদ মাধ্যমকে বলেন, মিয়ানমার অভিযোগ করেছে ঢাকার কালক্ষেপণের কারণে রোহিঙ্গা প্রত্যাবাসন বিলম্ব হচ্ছে। এটি কি অপপ্রচার নয়? আমরা প্রত্যাবাসন প্রক্রিয়া শুরুর জন্য প্রস্তুত রয়েছি। যখনই তারা চাইবে, যখনই মিয়ানমার চাইবে তখনই আমরা সোজা রোহিঙ্গাদেও ফেরত পাঠিয়ে দেব।

রোহিঙ্গা প্রত্যাবাসনের বিষয়ে বাংলাদেশের বিরুদ্ধে আনা সমস্ত ভিত্তিহীন, অসত্য এবং মিথ্যা অভিযোগ প্রত্যাখ্যান করে পররাষ্ট্রমন্ত্রীর এ সপ্তাহে দেয়া একটি বিবৃতি দেন এবং মিয়ানমারকে সংঘবদ্ধ অভিযান বন্ধ করতে বলেন।

মোমেন বলেন, মিয়ানমার অভিযোগ করেছে যে বাংলাদেশ রোহিঙ্গা প্রত্যাবাসনে প্রস্তুত নয়। কিন্তু বাস্তবতা হলো আমরা এটি সম্ভবপর করতে আমাদের সকল চেষ্টা রেখেছি।

রোহিঙ্গা শিবিরগুলো মিয়ানমারের এক প্রতিনিধিদলের সম্ভাব্য পরিদর্শনের বিষয়ে এক প্রশ্নের জবাবে তিনি বলেন, বাংলাদেশ সব সময় মিয়ানমারের প্রতিনিদলের কক্সবাজারে রোহিঙ্গা শিবিরগুলো পরিদর্শনে স্বাগত জানায় যাতে তারা রাখাইনে নিরাপদ ও মর্যাদাপূর্ণভাবে প্রত্যাবাসনে রোহিঙ্গাদের মাঝে বিশ্বাস সৃষ্টি করতে পারে।

মোমেন বলেন, আমরা সর্বদা উন্মুক্ত। যদি তারা আসতে চায়, তারা স্বাগত। তারা যদি রোহিঙ্গাদের মাঝে আস্থা সৃষ্টি করতে পারে। তাদের স্বাগত জানাই।

পররাষ্ট্র মন্ত্রী বলেন, মিয়ানমার কতৃপক্ষ রোহিঙ্গা সঙ্কট তৈরি করেছে এবং কেবলমাত্র মিয়ানমারই এর সমাধান করতে পারে।

রোহিঙ্গারা মিয়ানমারকে বিশ্বাস করছে না উল্লেখ করে মোমেন বলেন, যদিও নেপিডো দাবি করেছেন রাখাইন রাজ্যের অভ্যন্তরে অনুকূল পরিবেশ তৈরি হয়েছে। সুতরাং তাদের (মিয়ানমারের কর্মকর্তাদের) রোহিঙ্গাদের সঙ্গে আস্থা স্থাপনের জন্য (সহায়ক পরিবেশের বিষয়ে) অহরহই কথা বলতে হবে।

বাংলাদেশ কক্সবাজার জেলায় প্রায় ১১ লাখ জোরপূর্বক বাস্তুচ্যুত রোহিঙ্গা আশ্রয় দিয়েছে। তাদের বেশিরভাগই মিয়ানমারে এক সামরিক অভিযানের পর ২০১৭ সালের ২৫ আগস্ট থেকে এসে পৌঁছায়। জাতিসংঘসহ অন্যান্য মানবাধিকার সংগঠনগুলো একে ‘জাতিগত নির্মূলের প্রকৃষ্ট উদাহরণ’ এবং ‘গণহত্যা’ বলে অবহিত করেছে।সূত্র:বাসস।

আপলোডকারীর তথ্য

জনপ্রিয় সংবাদ

টাকা হাওলাত দিতে অস্বীকার করায় সরিষাবাড়ীতে দুলাভাইকে পিটিয়েছে দুই শ্যালকে

বাংলাদেশ রোহিঙ্গা প্রত্যাবাসনের জন্য প্রস্তুত রয়েছে: পররাষ্ট্র মন্ত্রী

আপডেট সময় ১০:২৮:১১ অপরাহ্ন, মঙ্গলবার, ২৬ নভেম্বর ২০১৯

বাংলারচিঠিডটকম ডেস্ক : পররাষ্ট্র মন্ত্রী ড. এ কে আব্দুল মোমেন রোহিঙ্গা প্রত্যাবাসনে বাংলাদেশের সময়ক্ষেপণের অভিযোগ উড়িয়ে দিয়ে বলেছেন, বাস্তুচ্যুত মানুষকে তাদের নিজ ভূমি রাখাইনে ফেরত পাঠাতে ঢাকা প্রস্তুত রয়েছে।

২৬ নভেম্বর ঢাকায় এক সম্মেলনে অংশগ্রহণ শেষে তিনি সংবাদ মাধ্যমকে বলেন, মিয়ানমার অভিযোগ করেছে ঢাকার কালক্ষেপণের কারণে রোহিঙ্গা প্রত্যাবাসন বিলম্ব হচ্ছে। এটি কি অপপ্রচার নয়? আমরা প্রত্যাবাসন প্রক্রিয়া শুরুর জন্য প্রস্তুত রয়েছি। যখনই তারা চাইবে, যখনই মিয়ানমার চাইবে তখনই আমরা সোজা রোহিঙ্গাদেও ফেরত পাঠিয়ে দেব।

রোহিঙ্গা প্রত্যাবাসনের বিষয়ে বাংলাদেশের বিরুদ্ধে আনা সমস্ত ভিত্তিহীন, অসত্য এবং মিথ্যা অভিযোগ প্রত্যাখ্যান করে পররাষ্ট্রমন্ত্রীর এ সপ্তাহে দেয়া একটি বিবৃতি দেন এবং মিয়ানমারকে সংঘবদ্ধ অভিযান বন্ধ করতে বলেন।

মোমেন বলেন, মিয়ানমার অভিযোগ করেছে যে বাংলাদেশ রোহিঙ্গা প্রত্যাবাসনে প্রস্তুত নয়। কিন্তু বাস্তবতা হলো আমরা এটি সম্ভবপর করতে আমাদের সকল চেষ্টা রেখেছি।

রোহিঙ্গা শিবিরগুলো মিয়ানমারের এক প্রতিনিধিদলের সম্ভাব্য পরিদর্শনের বিষয়ে এক প্রশ্নের জবাবে তিনি বলেন, বাংলাদেশ সব সময় মিয়ানমারের প্রতিনিদলের কক্সবাজারে রোহিঙ্গা শিবিরগুলো পরিদর্শনে স্বাগত জানায় যাতে তারা রাখাইনে নিরাপদ ও মর্যাদাপূর্ণভাবে প্রত্যাবাসনে রোহিঙ্গাদের মাঝে বিশ্বাস সৃষ্টি করতে পারে।

মোমেন বলেন, আমরা সর্বদা উন্মুক্ত। যদি তারা আসতে চায়, তারা স্বাগত। তারা যদি রোহিঙ্গাদের মাঝে আস্থা সৃষ্টি করতে পারে। তাদের স্বাগত জানাই।

পররাষ্ট্র মন্ত্রী বলেন, মিয়ানমার কতৃপক্ষ রোহিঙ্গা সঙ্কট তৈরি করেছে এবং কেবলমাত্র মিয়ানমারই এর সমাধান করতে পারে।

রোহিঙ্গারা মিয়ানমারকে বিশ্বাস করছে না উল্লেখ করে মোমেন বলেন, যদিও নেপিডো দাবি করেছেন রাখাইন রাজ্যের অভ্যন্তরে অনুকূল পরিবেশ তৈরি হয়েছে। সুতরাং তাদের (মিয়ানমারের কর্মকর্তাদের) রোহিঙ্গাদের সঙ্গে আস্থা স্থাপনের জন্য (সহায়ক পরিবেশের বিষয়ে) অহরহই কথা বলতে হবে।

বাংলাদেশ কক্সবাজার জেলায় প্রায় ১১ লাখ জোরপূর্বক বাস্তুচ্যুত রোহিঙ্গা আশ্রয় দিয়েছে। তাদের বেশিরভাগই মিয়ানমারে এক সামরিক অভিযানের পর ২০১৭ সালের ২৫ আগস্ট থেকে এসে পৌঁছায়। জাতিসংঘসহ অন্যান্য মানবাধিকার সংগঠনগুলো একে ‘জাতিগত নির্মূলের প্রকৃষ্ট উদাহরণ’ এবং ‘গণহত্যা’ বলে অবহিত করেছে।সূত্র:বাসস।