বাংলারচিঠিডটকম ডেস্ক : চলতি বছরের আগস্ট থেকে ১৮ নভেম্বর পর্যন্ত ১ লাখ ৬৮ হাজার মেট্রিক টন পেঁয়াজ আমদানি হয়েছে। শুল্ক গোয়েন্দা ও তদন্ত অধিদপ্তর পেঁয়াজ আমদানিকারক ৪৭টি প্রতিষ্ঠানের সঙ্গে যোগাযোগ করে জানার চেষ্টা করছে এসব আমদানিকারকদের কাছে বর্তমানে কি পরিমাণ পেঁয়াজ মজুত রয়েছে।
অধিদপ্তরের মহাপরিচালক ড. মো. সহিদুল ইসলাম বলেন, ‘আমরা পেঁয়াজ আমদানিকারকদের কাছ থেকে কিছু তথ্য সংগ্রহ করার চেষ্টা করছি। যারা আমদানি করেছেন, তারা আমদানির পরে কোথায় কোথায় বিক্রি করেছেন, এবং কী মূল্যে বিক্রি করেছেন। এখন পর্যন্ত তাদের হাতে কত টন পেঁয়াজ মজুত আছে, সেটাই আমরা জানার চেষ্টা করছি।’
২৫ নভেম্বর রাজধানীর শুল্ক গোয়েন্দা ও তদন্ত অধিদপ্তরের নিজ কার্যালয়ে সহিদুল ইসলাম সাংবাদিকদের এসব তথ্য জানান।
তিনি বলেন, ‘আজকে আমরা ১৩ জনকে ডেকেছিলাম। তাদের মধ্যে ১০ জন এসেছেন। আগামীকাল ডেকেছি এমন চারজন আজ চলে এসেছেন।আজ মোট ১৪ জনের বক্তব্য নেয়ার চেষ্টা করছি। আজ ও আগামীকাল তাদের বক্তব্য নেয়ার পর আমরা সিদ্ধান্তে উপনীত হতে পারব।’
সহিদুল ইসলাম বলেন,আমরা আশা করছি,খুব তাড়াতাড়ি পেঁয়াজের বাজার সহনশীল হয়ে যাবে। বিমানের কার্গোতে পেঁয়াজ আসছে,কিছু কিছু পেঁয়াজ যাত্রী বিমানেও আনা হচ্ছে। আমরা যেটা দেখছি,বাজারে এখনও যথেষ্ট পেঁয়াজ আছে। কোনো ঘাটতি নাই। তবে মূল্য বৃদ্ধি পেয়েছে।
তিনি আরো বলেন, ‘আমরা দেখার চেষ্টা করছি, কারা কারা পেঁয়াজ আমদানি করে এখনও বিক্রি করেননি। তারা বিক্রি করলে সঙ্কটটা কমে যাবে। সেই উদ্যোগটাই মূলত আমরা নিচ্ছি। আসলে বেশি দামে বিক্রি করছে কি না, কত দিন ধরে রেখেছে -এ জিনিসগুলো আমরা বের করার চেষ্টা করছি।’
এক প্রশ্নের উত্তরে এই শুল্ক কর্মকর্তা বলেন, কারোর বিরুদ্ধে পেঁয়াজ মজুতের সুনির্দিষ্ট অভিযোগ প্রমানিত হলে, তার বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নেয়া হবে।সূত্র:বাসস।