
জ্যেষ্ঠ প্রতিবেদক
বাংলারচিঠিডটকম
উৎপাদনশীল ও সম্ভাবনার কর্মের সুযোগ গ্রহণে নারীর সামর্থ্য উন্নয়ন-স্বপ্ন প্রকল্পের এক অবহিতকরণ কর্মশালা জামালপুরে অনুষ্ঠিত হয়েছে। জেলা প্রশাসন ও স্থানীয় সরকার বিভাগ ১৯ নভেম্বর দিনব্যাপী জামালপুর জেলা পরিষদ মিলনায়তনে এ কর্মশালার আয়োজন করে।
জামালপুরের জেলা প্রশাসক মোহাম্মদ এনামুল হকের সভাপতিত্বে অনুষ্ঠিত এ কর্মশালার উদ্বোধন করেন প্রধান অতিথি স্থানীয় সরকার বিভাগের অতিরিক্ত সচিব ও স্বপ্ন প্রকল্পের জাতীয় প্রকল্প পরিচালক মোহাম্মদ এমদাদ উল্লাহ মিয়ান। কর্মশালায় বিশেষ অতিথির বক্তব্য রাখেন জামালপুর জেলা পরিষদের চেয়ারম্যান ও জেলা আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক ফারুক আহাম্মেদ চৌধুরী, জামালপুর জেলা পরিষদের প্রধান নির্বাহী কর্মকর্তা খন্দকার মোহাম্মদ আব্দুল্লাহ আল মাহমুদ, অতিরিক্ত পুলিশ সুপার মো. বাছির উদ্দিন, সিভিল সার্জন চিকিৎসক গৌতম রায় প্রমুখ। এ কর্মশালা সঞ্চালনা করেন স্থানীয় সরকার বিভাগ জামালপুরের উপ-পরিচালক মোহাম্মদ কবির উদ্দিন।
কর্মশালার শুরুতেই স্বপ্ন প্রকল্পের পরিচিতি, উপকারভোগী মহিলা কর্মী নির্বাচন প্রক্রিয়া এবং স্থানীয় পর্যায়ের স্টেকহোল্ডারের দায়িত্ব ও কর্তব্য নিয়ে ভিডিও স্লাইড প্রদর্শন এবং বিষদ আলোচনা করেন স্বপ্ন প্রকল্পের জাতীয় প্রকল্প ব্যবস্থাপক কাজল চ্যাটার্জী।

জামালপুরের উপজেলার নির্বাহী কর্মকর্তা, উপজেলা পরিষদের চেয়ারম্যান, ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান ও সচিবসহ প্রকল্প সংশ্লিষ্ট বিভিন্ন পর্যায়ের সরকারি-বেসরকারি কর্মকর্তা ও কর্মচারীরা এ কর্মশালায় অংশ নেন।
কর্মশালায় জানানো হয়, সকলের অংশগ্রহণ নিশ্চিত করার মাধ্যমে অর্থনৈতিক অগ্রগতি অর্জন করে গ্রামীণ দরিদ্র নারীরা অর্থনৈতিক উন্নয়নের সুযোগ পাবে এবং ঝুঁকিপূর্ণ জনগোষ্ঠী বিভিন্ন বিপর্যয় থেকে নিরাপদ থাকবে। এ প্রকল্পের আওতায় গ্রামের বিধবা, তালাক প্রাপ্তা, স্বামী পরিত্যক্তা ও দু:স্থ নারীদের তালিকাভুক্ত করা হবে। তাদেরকে প্রতিদিন ২০০ টাকা মজুরিতে গ্রামীণ উন্নয়ন প্রকল্পে কাজ করতে হবে। প্রকল্পের আওতাভুক্ত প্রত্যেক নারী শ্রমিককে একটি করে মোবাইল ফোন সেট দেওয়া হবে। মোবাইল ব্যাংকিংয়ের মাধ্যমে তাদের মজুরিও পরিশোধ করা হবে। এছাড়া তাদেরকে বয়স ও যোগ্যতাভেদে বিভিন্ন আত্মকর্মসংস্থানের জন্য প্রশিক্ষণ দেওয়া হবে। খুব শিগগির প্রকল্পের নারী শ্রমিক নির্বাচন পক্রিয়া শুরু হবে। এ প্রকল্পের আওতায় জামালপুর জেলার ৪৫টি ইউনিয়নে এক হাজার ৬২০ জন নারী উপকারভোগী নিয়োগ দেওয়া হবে।