লিয়াকত হোসাইন লায়ন, ইসলামপুর
বাংলারচিঠিডটকম
গ্রাম আদালত গ্রামীণ ছোট খাটো বিরোধ-বিবাদ নিষ্পত্তির মাধ্যমে সমাজে স্থায়ী শান্তি-শৃঙ্খলা নিশ্চিতকরণ এবং উচ্চ আদালতের মামলার জট কমাতে ব্যাপক ভূমিকা রাখছে। গ্রাম আদালত আইন অনুযায়ী বর্তমানে দেশের সকল ইউনিয়নে আদালত চলমান রয়েছে। আদালত সংশ্লিষ্টদের দক্ষতা বৃদ্ধির জন্য বিভিন্ন কর্মশালা পরিচালনা করা হয়েছে। উদ্ধুদ্ধকরণ কার্যক্রম চলমান আছে। সপ্তাহে এক দুই দিন গ্রাম আদালতের জন্য নির্ধারিত রয়েছে।
ইউনিয়ন পরিষদ সচিব ও গ্রাম আদালত সহকারীগণ নিয়মিত গ্রাম আদালত পরিচালনায় সহযোগিতা, মামলার নথিপত্র প্রস্তুত ও সংরক্ষণ, জন সচেতনতা সৃষ্টি ও সম্পৃক্ততা বৃদ্ধিকরণ, গ্রাম আদালতকে নারী বান্ধবকরণ এবং নিয়মিত প্রতিবেদন প্রেরণে ভূমিকা রাখছেন।
মানসম্মত, সক্রিয় ও কার্যকর গ্রাম আদালত পরিচালনার জন্য বাংলাদেশ সরকার, ইউরোপীয় ইউনিয়ন ও জাতিসংঘ উপন্নয়ন কর্মসূচি’র আর্থিক সহায়তায় স্থানীয় সরকার বিভাগ বাংলাদেশে গ্রাম আদালত সক্রিয়করণ (পর্যায়-২) প্রকল্প কার্যক্রম দেশের এক হাজার ৮০টি ইউনিয়নে বাস্তবায়ন করছে। জামালপুরের চারটি উপজেলা ইসলামপুর, মেলান্দহ, সরিষাবাড়ী ও বকশীগঞ্জের ৩৮টি ইউনিয়নে এ প্রকল্পের কার্যক্রম চলমান রয়েছে।
উপজেলা প্রশাসন আয়োজিত ইউনিয়ন পরিষদ সদস্যদের নিয়ে গ্রাম আদালত বিষয়ে সক্ষমতা বৃদ্ধির উদ্দেশ্যে আয়োজিত ১২ দিনব্যাপী প্রশিক্ষণ অনুষ্ঠানে অতিথিবৃন্দ এসব কথা বলেন।
এতে স্থানীয় সরকার বিভাগের উপ-পরিচালক মোহাম্মদ কবির উদ্দীন, উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা মোহাম্মদ মিজানুর রহমান, ইউএনডিপি জেলা প্রতিনিধি মালিক শামীম আক্তার, রিপোটিং ও মনিটরিং কর্মকর্তা সোনিয়া সুলতানা, জেলা সমন্বয়কারী শরিফুল ইসলাম, বাংলাদেশে গ্রাম আদালত সক্রিয়করণ প্রকল্পের উপজেলা সমন্বয়কারী রুবিনা বেগম প্রমুখ বক্তব্য রাখেন।