দেওয়ানগঞ্জ (জামালপুর) প্রতিনিধি
বাংলারচিঠিডটকম
জামালপুরের দেওয়ানগঞ্জ উপজেলার হাট-বাজারগুলোতে নতুন পেঁয়াজ উঠতে শুরু করেছে। যমুনা, ব্রহ্মপুত্র, জিঞ্জিরাম নদী তীরবর্তী চরাঞ্চলে পেঁয়াজ চাষীরা নদীর কোলায় জেগে উঠা চর জমিতে পেঁয়াজ চাষ করে লাভবান হচ্ছেন। হাট বাজারগুলোতে বেশি দামে পেঁয়াজ বিক্রি করতে পেরে তাদের মুখে হাসি দেখা গেছে।
দেওয়ানগঞ্জ কৃষি অধিদপ্তর সূত্রে জানা গেছে, এবার উপজেলায় ৩৫০ হেক্টর জমিতে পাতা পেঁয়াজ চাষ করা হয়েছে।
কৃষি কর্মকর্তা মতিউর রহমান ও উপ-সহকারী কৃষি কর্মকর্তা নাজমুল হাসান জানান, পাতা পেঁয়াজ (পেঁয়াজ কলি) নদীর কোলায় জেগে উঠা চরে মাত্র ৪০ দিনে এ জাতের পেঁয়াজ পরিপক্ক হয়। পেঁয়াজ দেখতেও সুন্দর ও লাল টকটকে। উপরে পেঁয়াজ কলি গাঢ় সবুজ লম্বা হয়। প্রতি বিঘায় উৎপাদন হয় ৩০-৩৫ মণ। বর্তমান বাজারে পাতা পেঁয়াজ বিক্রি হচ্ছে ৭০-৮০ টাকা কেজি দরে। বিক্রি হিসাব অনুযায়ী প্রায় ১ কোটি টাকার পেঁয়াজ কলি উৎপাদন হয়েছে।
১৪ নভেম্বর দেওয়ানগঞ্জের যমুনা তীরবর্তী চরাঞ্চল চিকাজানী খোলাবাড়ী এলাকা সরেজমিন ঘুরে ও কৃষকের সাথে কথা বলে জানা যায়, পেঁয়াজ চাষী আব্দুল হালিম, শফিকুল প্রতিবছর বাজারে পাতা পেঁয়াজ ২৫-৩০ টাকা কেজি দরে বিক্রি করেন। কিন্তু এবার বাজারে নিতে হচ্ছে না জমিতে এসেই জামালপুর ময়মনসিংহসহ বিভিন্ন শহরের বেপারীরা ৬০-৭০ টাকা কেজি দরে কিনে নিচ্ছেন। পেঁয়াজ কেনা নিয়ে পাইকাররা হুমরি খেয়ে পড়ছে। প্রতিযোগিতা করে পেঁয়াজ কিনছেন তারা।