ঢাকা ০৪:০১ অপরাহ্ন, মঙ্গলবার, ২০ মে ২০২৫, ৬ জ্যৈষ্ঠ ১৪৩২ বঙ্গাব্দ
সংবাদ শিরোনাম :
লুটপাটের অর্থ ব্যবস্থাপনার জন্য একটি বিশেষ তহবিল গঠনের নির্দেশ প্রধান উপদেষ্টার জয়শঙ্করের মতো পররাষ্ট্রমন্ত্রী ভারতের নিরাপত্তার জন্য হুমকি : রাহুল গান্ধী আইপিএল ক্রিকেটে দিল্লির বড় হারের ম্যাচে ব্যর্থ মুস্তাফিজ মেলান্দহে দুটি ইটভাটায় অভিযান, স্থাপনা বিনষ্ট, জরিমানা ২ লাখ টাকা ইসলামপুরে ঘূর্ণিঝড়ে লণ্ডভণ্ড ৪ শতাধিক ঘরবাড়ি জামালপুর জেলা রেড ক্রিসেন্টের নতুন এডহক কমিটির বিরুদ্ধে অপপ্রচারের প্রতিবাদে সংবাদ সম্মেলন মেলান্দহে কমিউটার ট্রেনের সঙ্গে ধাক্কায় নিহত ১ দেওয়ানগঞ্জে ট্রাক খাদে, নিহত ১ ছাত্রদল নেতা সাম্যর হত্যাকারীদের গ্রেপ্তারের দাবিতে প্রতিবাদ সমাবেশ গুণীজন সম্মাননা পেলেন শেরপুরের সাংবাদিক লাভলু

সরিষাবাড়ীতে কনের বাড়িতে বরের তান্ডব, আহত ১৫

কনের বাড়িতে তান্ডব চালিয়ে সাজসজ্জা লন্ডভন্ড করে দেয় বর আপেল মাহমুদ ও তার লোকজন । ছবি : বাংলারচিঠিডটকম

কনের বাড়িতে তান্ডব চালিয়ে সাজসজ্জা লন্ডভন্ড করে দেয় বর আপেল মাহমুদ ও তার লোকজন । ছবি : বাংলারচিঠিডটকম

সরিষাবাড়ী (জামালপুর) প্রতিনিধি
বাংলারচিঠিডটকম

জামালপুরের সরিষাবাড়ী উপজেলায় বিয়ে করতে গিয়ে তুচ্ছ ঘটনাকে কেন্দ্র করে কনের বাড়িতে তান্ডব চালায় বর ও বরযাত্রীর লোকজন। এতে কনের বাবাসহ অন্তত ১৫ জন আহত হওয়ার ঘটনা ঘটেছে। ৮ নভেম্বর রাতে উপজেলার কামরাবাদ ইউনিয়নের হেলেঞ্চাবাড়ী এ ঘটনা ঘটে। পরে দু-পক্ষের সমঝোতা না হওয়ায় বিয়ে পন্ডুল হয়ে যায়।

বিয়েবাড়ি ও এলাকাবাসী সূত্রে জানা যায়, উপজেলার কামরাবাদ ইউনিয়নের হেলেঞ্চাবাড়ী গ্রামের মোজাম্মেল হোসেনের মেয়ে দশম শ্রেণি পড়ুয়া শিক্ষার্থীর সাথে একই উপজেলার ডোয়াইল ইউনিয়নের ডিগ্রিবন্ধ গ্রামের আয়নাল হকের ছেলে আপেল মাহমুদের সাথে পারিবারিক ভাবে বিয়ের সম্বন্ধ ঠিক হয়। ৮ নভেম্বর ছিল বিয়ের দিন। যথা সময়ে বর পক্ষ ছেলেকে নিয়ে কনে বাড়িতে আসেন। সন্ধ্যায় বর পক্ষের লোকজনকে আপ্যায়নের কাজ শুরু করেন কনে পক্ষের লোকজন। বর পক্ষ আসার পরেই শুরু করা হয় খাওয়া দাওয়ার পর্ব।

এ সময় বরের মামা চাঁন মিয়া তার প্লেটে যথেষ্ট খাবার থাকার পরও বারবার আপ্যায়নকারীর কাছে খাবার চাইতে থাকে। চাঁন মিয়া কয়েক দফা খাবার নিয়ে তা খেতে না পেরে নষ্ট করে। এ কারণে আপ্যায়নকারীদের মধ্যে কনের চাচাতো ভাই মিস্টার খাবার নষ্ট করার প্রতিবাদ জানালে তাদের দুজনের মধ্যে কথা কাটাকাটি শুরু হয়। এক পর্যায়ে বর আপেল মাহমুদ বরের সাজ ঘর থেকে দৌড়ে এসে চেয়ার হাতে নিয়ে কনে পক্ষের লোকজনকে এলোপাথাড়ী পিটাতে শুরু করলে কনের বাবা মোজাম্মেল হোসেন আহত হন। এতে কনে পক্ষের লোকজন উত্তেজিত হয়ে বরসহ বরযাত্রীদের বেধড়ক মারধর করে। এ ঘটনায় কনের বাবাসহ দু-পক্ষের অন্তত ১৫ জন আহত হয়। আহতদের স্থানীয়ভাবে চিকিৎসা দেওয়া হয়েছে। পরে বরযাত্রীরা পালিয়ে গেলেও বর ও বরের বাবাকে আটকিয়ে রাখে কনে পক্ষের লোকজন। সংবাদ পেয়ে উপজেলা যুবলীগের সভাপতি এ কে এম আশরাফুল ইসলাম ঘটনাস্থলে পৌছে সমস্যা সমাধানের আশ্বাস দিয়ে বর ও বরের বাবাকে ছাড়িয়ে দেন।

এ ব্যাপারে কনের বাবা মোজাম্মেল হোসেন ঘটনার সত্যতা স্বীকার করে জানান, বরযাত্রীদের সাথে অপ্রীতিকর ঘটনা ঘটে যাওয়ায় বিয়ে বন্ধ রাখা হয়েছে।

এ ব্যাপারে বরের বাবা আয়নাল হক জানান, খাওয়া নিয়ে দুপক্ষের মধ্যে মারামারি হয়। এ সময় কনে পক্ষের লোকজন আমার ছেলেসহ বর যাত্রীদের সন্ধ্যা ৭টা থেকে রাত ১২ পর্যন্ত আটকে রাখে। পরে ওই এলাকার আশরাফুল ইসলাম এসে আমাদের উদ্ধার করে বাড়িতে পাঠিয়ে দেন।

উপজেলা যুবলীগ সভাপতি এ কে এম আশরাফুল ইসলাম জানান, ঘটনাটি জানার পর বিয়ে বাড়িতে গিয়ে উভয় পক্ষের সাথে কথা বলে বর ও বরের বাবাকে তাদের বাড়িতে পৌছে দেওয়া হয়েছে।

আপলোডকারীর তথ্য

জনপ্রিয় সংবাদ

লুটপাটের অর্থ ব্যবস্থাপনার জন্য একটি বিশেষ তহবিল গঠনের নির্দেশ প্রধান উপদেষ্টার

সরিষাবাড়ীতে কনের বাড়িতে বরের তান্ডব, আহত ১৫

আপডেট সময় ০৪:৪৭:৪৩ অপরাহ্ন, শনিবার, ৯ নভেম্বর ২০১৯
কনের বাড়িতে তান্ডব চালিয়ে সাজসজ্জা লন্ডভন্ড করে দেয় বর আপেল মাহমুদ ও তার লোকজন । ছবি : বাংলারচিঠিডটকম

সরিষাবাড়ী (জামালপুর) প্রতিনিধি
বাংলারচিঠিডটকম

জামালপুরের সরিষাবাড়ী উপজেলায় বিয়ে করতে গিয়ে তুচ্ছ ঘটনাকে কেন্দ্র করে কনের বাড়িতে তান্ডব চালায় বর ও বরযাত্রীর লোকজন। এতে কনের বাবাসহ অন্তত ১৫ জন আহত হওয়ার ঘটনা ঘটেছে। ৮ নভেম্বর রাতে উপজেলার কামরাবাদ ইউনিয়নের হেলেঞ্চাবাড়ী এ ঘটনা ঘটে। পরে দু-পক্ষের সমঝোতা না হওয়ায় বিয়ে পন্ডুল হয়ে যায়।

বিয়েবাড়ি ও এলাকাবাসী সূত্রে জানা যায়, উপজেলার কামরাবাদ ইউনিয়নের হেলেঞ্চাবাড়ী গ্রামের মোজাম্মেল হোসেনের মেয়ে দশম শ্রেণি পড়ুয়া শিক্ষার্থীর সাথে একই উপজেলার ডোয়াইল ইউনিয়নের ডিগ্রিবন্ধ গ্রামের আয়নাল হকের ছেলে আপেল মাহমুদের সাথে পারিবারিক ভাবে বিয়ের সম্বন্ধ ঠিক হয়। ৮ নভেম্বর ছিল বিয়ের দিন। যথা সময়ে বর পক্ষ ছেলেকে নিয়ে কনে বাড়িতে আসেন। সন্ধ্যায় বর পক্ষের লোকজনকে আপ্যায়নের কাজ শুরু করেন কনে পক্ষের লোকজন। বর পক্ষ আসার পরেই শুরু করা হয় খাওয়া দাওয়ার পর্ব।

এ সময় বরের মামা চাঁন মিয়া তার প্লেটে যথেষ্ট খাবার থাকার পরও বারবার আপ্যায়নকারীর কাছে খাবার চাইতে থাকে। চাঁন মিয়া কয়েক দফা খাবার নিয়ে তা খেতে না পেরে নষ্ট করে। এ কারণে আপ্যায়নকারীদের মধ্যে কনের চাচাতো ভাই মিস্টার খাবার নষ্ট করার প্রতিবাদ জানালে তাদের দুজনের মধ্যে কথা কাটাকাটি শুরু হয়। এক পর্যায়ে বর আপেল মাহমুদ বরের সাজ ঘর থেকে দৌড়ে এসে চেয়ার হাতে নিয়ে কনে পক্ষের লোকজনকে এলোপাথাড়ী পিটাতে শুরু করলে কনের বাবা মোজাম্মেল হোসেন আহত হন। এতে কনে পক্ষের লোকজন উত্তেজিত হয়ে বরসহ বরযাত্রীদের বেধড়ক মারধর করে। এ ঘটনায় কনের বাবাসহ দু-পক্ষের অন্তত ১৫ জন আহত হয়। আহতদের স্থানীয়ভাবে চিকিৎসা দেওয়া হয়েছে। পরে বরযাত্রীরা পালিয়ে গেলেও বর ও বরের বাবাকে আটকিয়ে রাখে কনে পক্ষের লোকজন। সংবাদ পেয়ে উপজেলা যুবলীগের সভাপতি এ কে এম আশরাফুল ইসলাম ঘটনাস্থলে পৌছে সমস্যা সমাধানের আশ্বাস দিয়ে বর ও বরের বাবাকে ছাড়িয়ে দেন।

এ ব্যাপারে কনের বাবা মোজাম্মেল হোসেন ঘটনার সত্যতা স্বীকার করে জানান, বরযাত্রীদের সাথে অপ্রীতিকর ঘটনা ঘটে যাওয়ায় বিয়ে বন্ধ রাখা হয়েছে।

এ ব্যাপারে বরের বাবা আয়নাল হক জানান, খাওয়া নিয়ে দুপক্ষের মধ্যে মারামারি হয়। এ সময় কনে পক্ষের লোকজন আমার ছেলেসহ বর যাত্রীদের সন্ধ্যা ৭টা থেকে রাত ১২ পর্যন্ত আটকে রাখে। পরে ওই এলাকার আশরাফুল ইসলাম এসে আমাদের উদ্ধার করে বাড়িতে পাঠিয়ে দেন।

উপজেলা যুবলীগ সভাপতি এ কে এম আশরাফুল ইসলাম জানান, ঘটনাটি জানার পর বিয়ে বাড়িতে গিয়ে উভয় পক্ষের সাথে কথা বলে বর ও বরের বাবাকে তাদের বাড়িতে পৌছে দেওয়া হয়েছে।