ঢাকা ০৫:২৯ অপরাহ্ন, রবিবার, ০৬ অক্টোবর ২০২৪, ২১ আশ্বিন ১৪৩১ বঙ্গাব্দ
সংবাদ শিরোনাম :
জলবায়ু পরিবর্তন মোকাবিলায় আঞ্চলিক সহযোগিতার আহ্বান জানিয়েছেন পরিবেশ উপদেষ্টা বকশীগঞ্জ পৌর বিএনপির মতবিনিময় সভা অনুষ্ঠিত স্মরণকালের ভয়াবহ বন্যায় বিপর্যস্ত নকলা : জেলায় মৃতের সংখ্যা বেড়ে ৭ টাকা হাওলাত দিতে অস্বীকার করায় সরিষাবাড়ীতে দুলাভাইকে পিটিয়েছে দুই শ্যালকে শেরপুরের বন্যায় ৫ জনের মৃত্যু, নৌযানের অভাবে উদ্ধার কাজ ব্যাহত জামালপুর-৫ (সদর) আসনের সাবেক এমপি আবুল কালাম আজাদ ঢাকায় গ্রেপ্তার মেলান্দহে কৃষক সুরুজ্জামানের জমি দখলের চেষ্টার অভিযোগ কলেজশিক্ষক সুরুজ্জামানের বিরুদ্ধে জামালপুরে বিশ্ব শিক্ষক দিবস উদযাপিত ভারতে মহানবী (সা.)-কে অবমাননার প্রতিবাদে ইসলামপুরে বিক্ষোভ মিছিল ভারতে মহানবী হযরত মুহাম্মদ (সা.)-কে কটূক্তির প্রতিবাদে মাদারগঞ্জে বিক্ষোভ

নারায়ণগঞ্জে চারতলা ভবন ধসে এক শিশুর মৃত্যু

বাংলারচিঠিডটকম ডেস্ক : নারায়ণগঞ্জের বাবুরাইল এলাকায় একটি চারতলা ভবন ধসে পড়ে শোয়েব (১২) নামের এক শিশু নিহত এবং ওয়াজেদ (১২) নামে অপর এক শিশু নিখোঁজ রয়েছে। ওই ঘটনায় অন্তত সাতজন আহত হয়েছেন। নিহত শোয়েব ও নিখোঁজ ওয়াজেদ সম্পর্কে খালাতো ভাই বলে জানা গেছে। খবর বাসস’র।

প্রত্যক্ষদর্শীরা জানিয়েছেন, ঘটনার সময় তারা ভবনটির নিচতলায় আরবি পড়তে এসেছিল। নিহত শোয়েব বাবুরাইল এলাকার মৃত শাহাবুদ্দিনের ছেলে এবং নিখোঁজ ওয়াজেদ একই এলাকার বাবুল মিয়ার ছেলে। দু’জনেই স্থানীয় সানরাইজ কিন্ডার গার্টেনের ষষ্ঠ শ্রেণির ছাত্র।

ফায়ার সার্ভিসের কর্মকর্তারা জানিয়েছেন, ৩ নভেম্বর বিকেল চারটায় নগরীর বাবুরাইল শেষ মাথায় মুন্সি বাড়ি এলাকায় এইচএম ম্যানশন নামের বাড়িটি একপাশে ধসে পড়ে। ধসে পড়া বাড়িটির মালিক মৃত রউফ মিয়ার চার সন্তান। এদের মধ্যে আজাহার হোসেন মালয়েশিয়া প্রবাসী এবং তার ২ বোন দ্বিতীয় ও তৃতীয় তলায় বসবাস করত।

খবর পেয়ে ফায়ার সার্ভিসের বেশ কয়েকটি উদ্ধারকারী দল অভিযান শুরু করে।

সরেজমিনে দেখা গেছে, বাবুরাইল খালের একাংশ দখল করে নির্মিত চারতলা বাড়িটি একপাশে হেলে পড়ে আছে। বাড়ির তৃতীয় তলার কাজ পুরো শেষ, চার তলার ছাদ দেওয়া। বাড়িটির প্রতিটি ফ্লোরে একটি করে ফ্ল্যাট।

ওই বাড়ির নিচতলা সীমান্ত নামের একজনের কাছে ভাড়া দেওয়া। দ্বিতীয় ও তৃতীয় তলার মালিকানায় থাকা দু’বোন বসবাস করেন। বাড়ির তৃতীয় তলায় থাকেন শিউলী নামের এক বোন। ঘটনার সময় দ্বিতীয় ও তৃতীয় তলায় থাকা লোকজন একটি বিয়ের অনুষ্ঠানে ছিলেন। ঘটনার সময় বাড়িটিতে বেশি মানুষ না থাকায় হতাহত তেমন হয়নি।

বাড়ির নিচ তলায় থাকা ভাড়াটে সীমান্ত জানান, বিকেলে তিনি কাজ থেকে ফিরে গোসল করতে যান। ওই সময় বাইরে চিৎকার শুনতে পান যে বাড়িটি হেলে যাচ্ছে। ওই সময় তিনি দ্রুত বাড়ি থেকে বেরিয়ে যান। দ্বিতীয় তলা কেউ ছিলেন না। তবে তৃতীয় তলায় শিউলি বেগম নামে এক নারীর ছেলে অনিক (১৯) ঘটনার সময় ঘুমিয়ে থাকায় আহত হয়েছেন। তাকে ফায়ার সার্ভিসের কর্মীরা উদ্ধার করে নারায়ণগঞ্জ জেনারেল (ভিক্টোরিয়া) হাসপাতালে পাঠান। সেখানে তাকে প্রাথমিক চিকিৎসা দেওয়া হয়েছে। এছাড়া ভবন ধসের সময় ভবনের ভাঙ্গা অংশ ছিটকে এসে পাঁচজন আহত হয়।

নারায়ণগঞ্জ ফায়ার সার্ভিস এন্ড সিভিল ডিফেন্সের উপ-সহকারি পরিচালক আবদুল্লাহ আল আরেফিন জানান, খবর পেয়ে ঢাকা ও নারায়ণগঞ্জের ৪টি টিম উদ্ধার কাজে অংশ নেয়। ধসে পড়া বাড়িটির ভেতর থেকে শোয়েব নামের এক শিশুকে আহতবস্থায় উদ্ধার করে হাসপাতালে পাঠানো হলে সেখানে তাকে মৃত ঘোষণা করা হয়।

ওয়াজেদ নামে অপর এক শিশু নিখোঁজ রয়েছে।

সদর মডেল থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) আসাদুজ্জামান বলেন, তিন তলা বাড়িটিতে ৩টি ফ্ল্যাট ছিল। ঘটনার সময় বাড়িতে লোকজন কম থাকায় হতাহতের সংখ্যা বাড়েনি। এ ঘটনায় এক শিশু নিহত, অপর এক শিশু নিখোঁজ এবং বেশ কয়েকজন আহত হয়েছেন। আহতদের নারায়ণগঞ্জ জেনারেল হাসপাতালে চিকিৎসা দেওয়া হয়েছে।সূত্র:বাসস।

আপলোডকারীর তথ্য

জনপ্রিয় সংবাদ

জলবায়ু পরিবর্তন মোকাবিলায় আঞ্চলিক সহযোগিতার আহ্বান জানিয়েছেন পরিবেশ উপদেষ্টা

নারায়ণগঞ্জে চারতলা ভবন ধসে এক শিশুর মৃত্যু

আপডেট সময় ১০:৫১:২৫ অপরাহ্ন, রবিবার, ৩ নভেম্বর ২০১৯

বাংলারচিঠিডটকম ডেস্ক : নারায়ণগঞ্জের বাবুরাইল এলাকায় একটি চারতলা ভবন ধসে পড়ে শোয়েব (১২) নামের এক শিশু নিহত এবং ওয়াজেদ (১২) নামে অপর এক শিশু নিখোঁজ রয়েছে। ওই ঘটনায় অন্তত সাতজন আহত হয়েছেন। নিহত শোয়েব ও নিখোঁজ ওয়াজেদ সম্পর্কে খালাতো ভাই বলে জানা গেছে। খবর বাসস’র।

প্রত্যক্ষদর্শীরা জানিয়েছেন, ঘটনার সময় তারা ভবনটির নিচতলায় আরবি পড়তে এসেছিল। নিহত শোয়েব বাবুরাইল এলাকার মৃত শাহাবুদ্দিনের ছেলে এবং নিখোঁজ ওয়াজেদ একই এলাকার বাবুল মিয়ার ছেলে। দু’জনেই স্থানীয় সানরাইজ কিন্ডার গার্টেনের ষষ্ঠ শ্রেণির ছাত্র।

ফায়ার সার্ভিসের কর্মকর্তারা জানিয়েছেন, ৩ নভেম্বর বিকেল চারটায় নগরীর বাবুরাইল শেষ মাথায় মুন্সি বাড়ি এলাকায় এইচএম ম্যানশন নামের বাড়িটি একপাশে ধসে পড়ে। ধসে পড়া বাড়িটির মালিক মৃত রউফ মিয়ার চার সন্তান। এদের মধ্যে আজাহার হোসেন মালয়েশিয়া প্রবাসী এবং তার ২ বোন দ্বিতীয় ও তৃতীয় তলায় বসবাস করত।

খবর পেয়ে ফায়ার সার্ভিসের বেশ কয়েকটি উদ্ধারকারী দল অভিযান শুরু করে।

সরেজমিনে দেখা গেছে, বাবুরাইল খালের একাংশ দখল করে নির্মিত চারতলা বাড়িটি একপাশে হেলে পড়ে আছে। বাড়ির তৃতীয় তলার কাজ পুরো শেষ, চার তলার ছাদ দেওয়া। বাড়িটির প্রতিটি ফ্লোরে একটি করে ফ্ল্যাট।

ওই বাড়ির নিচতলা সীমান্ত নামের একজনের কাছে ভাড়া দেওয়া। দ্বিতীয় ও তৃতীয় তলার মালিকানায় থাকা দু’বোন বসবাস করেন। বাড়ির তৃতীয় তলায় থাকেন শিউলী নামের এক বোন। ঘটনার সময় দ্বিতীয় ও তৃতীয় তলায় থাকা লোকজন একটি বিয়ের অনুষ্ঠানে ছিলেন। ঘটনার সময় বাড়িটিতে বেশি মানুষ না থাকায় হতাহত তেমন হয়নি।

বাড়ির নিচ তলায় থাকা ভাড়াটে সীমান্ত জানান, বিকেলে তিনি কাজ থেকে ফিরে গোসল করতে যান। ওই সময় বাইরে চিৎকার শুনতে পান যে বাড়িটি হেলে যাচ্ছে। ওই সময় তিনি দ্রুত বাড়ি থেকে বেরিয়ে যান। দ্বিতীয় তলা কেউ ছিলেন না। তবে তৃতীয় তলায় শিউলি বেগম নামে এক নারীর ছেলে অনিক (১৯) ঘটনার সময় ঘুমিয়ে থাকায় আহত হয়েছেন। তাকে ফায়ার সার্ভিসের কর্মীরা উদ্ধার করে নারায়ণগঞ্জ জেনারেল (ভিক্টোরিয়া) হাসপাতালে পাঠান। সেখানে তাকে প্রাথমিক চিকিৎসা দেওয়া হয়েছে। এছাড়া ভবন ধসের সময় ভবনের ভাঙ্গা অংশ ছিটকে এসে পাঁচজন আহত হয়।

নারায়ণগঞ্জ ফায়ার সার্ভিস এন্ড সিভিল ডিফেন্সের উপ-সহকারি পরিচালক আবদুল্লাহ আল আরেফিন জানান, খবর পেয়ে ঢাকা ও নারায়ণগঞ্জের ৪টি টিম উদ্ধার কাজে অংশ নেয়। ধসে পড়া বাড়িটির ভেতর থেকে শোয়েব নামের এক শিশুকে আহতবস্থায় উদ্ধার করে হাসপাতালে পাঠানো হলে সেখানে তাকে মৃত ঘোষণা করা হয়।

ওয়াজেদ নামে অপর এক শিশু নিখোঁজ রয়েছে।

সদর মডেল থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) আসাদুজ্জামান বলেন, তিন তলা বাড়িটিতে ৩টি ফ্ল্যাট ছিল। ঘটনার সময় বাড়িতে লোকজন কম থাকায় হতাহতের সংখ্যা বাড়েনি। এ ঘটনায় এক শিশু নিহত, অপর এক শিশু নিখোঁজ এবং বেশ কয়েকজন আহত হয়েছেন। আহতদের নারায়ণগঞ্জ জেনারেল হাসপাতালে চিকিৎসা দেওয়া হয়েছে।সূত্র:বাসস।