ঢাকা ০৫:২১ অপরাহ্ন, রবিবার, ০৬ অক্টোবর ২০২৪, ২১ আশ্বিন ১৪৩১ বঙ্গাব্দ
সংবাদ শিরোনাম :
জলবায়ু পরিবর্তন মোকাবিলায় আঞ্চলিক সহযোগিতার আহ্বান জানিয়েছেন পরিবেশ উপদেষ্টা বকশীগঞ্জ পৌর বিএনপির মতবিনিময় সভা অনুষ্ঠিত স্মরণকালের ভয়াবহ বন্যায় বিপর্যস্ত নকলা : জেলায় মৃতের সংখ্যা বেড়ে ৭ টাকা হাওলাত দিতে অস্বীকার করায় সরিষাবাড়ীতে দুলাভাইকে পিটিয়েছে দুই শ্যালকে শেরপুরের বন্যায় ৫ জনের মৃত্যু, নৌযানের অভাবে উদ্ধার কাজ ব্যাহত জামালপুর-৫ (সদর) আসনের সাবেক এমপি আবুল কালাম আজাদ ঢাকায় গ্রেপ্তার মেলান্দহে কৃষক সুরুজ্জামানের জমি দখলের চেষ্টার অভিযোগ কলেজশিক্ষক সুরুজ্জামানের বিরুদ্ধে জামালপুরে বিশ্ব শিক্ষক দিবস উদযাপিত ভারতে মহানবী (সা.)-কে অবমাননার প্রতিবাদে ইসলামপুরে বিক্ষোভ মিছিল ভারতে মহানবী হযরত মুহাম্মদ (সা.)-কে কটূক্তির প্রতিবাদে মাদারগঞ্জে বিক্ষোভ

সাকিব ২ বছরের জন্য নিষিদ্ধ

বাংলারচিঠিডটকম ডেস্ক: জাতীয় ক্রিকেট দলের টেস্ট ও টি-টোয়েন্টি অধিনায়ক, বিশ্বসেরা অলরাউন্ডার সাকিব আল হাসানকে দুই বছরের জন্য নিষিদ্ধ করেছে আইসিসি। সাকিবের বিরুদ্ধে অভিযোগ বাজিকরদের কাছ থেকে ম্যাচ পাতানোর প্রস্তাব পেয়েও নিশ্চুপ ছিলেন তিনি।

আইসিসির কোড অফ কন্ডাক্টে বলা আছে, বাজিকরদের কাছ থেকে ম্যাচ বা স্পট ফিক্সিংয়ের অভিযোগ পেলে সংশ্লিষ্ট বোর্ডকে জানাতে হবে। না হয় আইসিসির দুর্নীতি দমন সংস্থা- আকসুকে অবহিত করতে হবে। সে খবর নিজে লুকিয়ে রাখলে সেটা শাস্তিযোগ্য অপরাধ বলে গণ্য হবে। কিন্তু সাকিব তার কোনটাই করেননি। ফলে আইসিসির দুর্নীতি দমন সংস্থার রায়ে দুই বছরের জন্য নিষিদ্ধ হয়েছে সাকিব।

আইসিসির নিয়ম হচ্ছে, এ ধরনের অপরাধের শাস্তি হিসেবে ছয় মাস থেকে পাঁচ বছরের নিষেধাজ্ঞার শাস্তি। তবে সাকিব নিজের দোষ স্বীকার করায় শাস্তি কমিয়ে দুই বছর করা হয়েছে।

একই সঙ্গে তদন্তকাজে সহযোগিতা করার কারণে শাস্তি বাতিল করা হয়েছে আরও এক বছরের। অর্থাৎ এক বছর শাস্তি ভোগ করবেন তিনি, যা কার্যকর হবে আজ থেকেই। আগামী বছরের ২৯ অক্টোবর তিনি নিষেধাজ্ঞা থেকে মুক্তি পাবেন।

আন্তর্জাতিক একজন জুয়াড়ির কাছ থেকেই প্রস্তাব পেয়েছিলেন সাকিব। জুয়াড়ির প্রস্তাবের বিষয়টি আইসিসি পরে জানতে পারে। আন্তর্জাতিক জুয়াড়িদের কল রেকর্ড ট্র্যাকিং করে এ ব্যাপারে সব তথ্য উদ্ধার করে তারা। জানা গেছে, সংশ্লিষ্ট ওই জুয়াড়ি আইসিসির কালো তালিকায় থাকাদের একজন।

আইসিসি তাদের সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে জানিয়েছে, তিনটি অভিযোগ আনা হয়েছে সাকিবের বিরুদ্ধে। তিন ম্যাচে সাকিবের কাছে ফিক্সিংয়ের প্রস্তাব দেয়া হয়েছিল বলে জানতে পেরেছে আইসিসি এবং সে সব বিষয়ে তারা প্রমাণও সংগ্রহ করেছে।

আকসুর ধারা ২.৪.৪ আর্টিকেলের মধ্যেই তিনটি অপরাধ করেছিলেন সাকিব। যেগুলো হচ্ছে-

১. ২০১৮ সালের জানুয়ারিতে শ্রীলঙ্কা, জিম্বাবুয়েকে নিয়ে বাংলাদেশের যে ত্রিদেশীয় সিরিজ হয়েছিল কিংবা ২০১৮ আইপিএলে প্রথম ফিক্সিংয়ের প্রস্তাব পান সাকিব। কিন্তু এ বিষয়ে তিনি আইসিসির অ্যান্টি করাপশন ইউনিটকে কোনো কিছুই জানাননি।

২. একই ধারার অধীনে অপরাধ : ২০১৮ সালের জানুয়ারিতে ত্রিদেশীয় সিরিজের সময়ই আরো একটি ফিক্সিংয়ের প্রস্তাব পেয়েছিলেন। কিন্তু সে বিষয়েও তিনি আইসিসিকে অবহিত করেননি।

৩. ২০১৮ সালের ২৬ এপ্রিল সানরাইজার্স হায়দরাবাদ এবং কিংস ইলেভেন পাঞ্জাবের মধ্যকার ম্যাচেও ফিক্সিংয়ের প্রস্তাব পেয়েছিলেন সাকিব। কিন্তু সে বিষয়েও তিনি আইসিসি কিংবা সংশ্লিষ্ট দুর্নীতি দমন সংস্থাকে কিছুই জানাননি।

আপলোডকারীর তথ্য

জনপ্রিয় সংবাদ

জলবায়ু পরিবর্তন মোকাবিলায় আঞ্চলিক সহযোগিতার আহ্বান জানিয়েছেন পরিবেশ উপদেষ্টা

সাকিব ২ বছরের জন্য নিষিদ্ধ

আপডেট সময় ০৮:০৯:১১ অপরাহ্ন, মঙ্গলবার, ২৯ অক্টোবর ২০১৯

বাংলারচিঠিডটকম ডেস্ক: জাতীয় ক্রিকেট দলের টেস্ট ও টি-টোয়েন্টি অধিনায়ক, বিশ্বসেরা অলরাউন্ডার সাকিব আল হাসানকে দুই বছরের জন্য নিষিদ্ধ করেছে আইসিসি। সাকিবের বিরুদ্ধে অভিযোগ বাজিকরদের কাছ থেকে ম্যাচ পাতানোর প্রস্তাব পেয়েও নিশ্চুপ ছিলেন তিনি।

আইসিসির কোড অফ কন্ডাক্টে বলা আছে, বাজিকরদের কাছ থেকে ম্যাচ বা স্পট ফিক্সিংয়ের অভিযোগ পেলে সংশ্লিষ্ট বোর্ডকে জানাতে হবে। না হয় আইসিসির দুর্নীতি দমন সংস্থা- আকসুকে অবহিত করতে হবে। সে খবর নিজে লুকিয়ে রাখলে সেটা শাস্তিযোগ্য অপরাধ বলে গণ্য হবে। কিন্তু সাকিব তার কোনটাই করেননি। ফলে আইসিসির দুর্নীতি দমন সংস্থার রায়ে দুই বছরের জন্য নিষিদ্ধ হয়েছে সাকিব।

আইসিসির নিয়ম হচ্ছে, এ ধরনের অপরাধের শাস্তি হিসেবে ছয় মাস থেকে পাঁচ বছরের নিষেধাজ্ঞার শাস্তি। তবে সাকিব নিজের দোষ স্বীকার করায় শাস্তি কমিয়ে দুই বছর করা হয়েছে।

একই সঙ্গে তদন্তকাজে সহযোগিতা করার কারণে শাস্তি বাতিল করা হয়েছে আরও এক বছরের। অর্থাৎ এক বছর শাস্তি ভোগ করবেন তিনি, যা কার্যকর হবে আজ থেকেই। আগামী বছরের ২৯ অক্টোবর তিনি নিষেধাজ্ঞা থেকে মুক্তি পাবেন।

আন্তর্জাতিক একজন জুয়াড়ির কাছ থেকেই প্রস্তাব পেয়েছিলেন সাকিব। জুয়াড়ির প্রস্তাবের বিষয়টি আইসিসি পরে জানতে পারে। আন্তর্জাতিক জুয়াড়িদের কল রেকর্ড ট্র্যাকিং করে এ ব্যাপারে সব তথ্য উদ্ধার করে তারা। জানা গেছে, সংশ্লিষ্ট ওই জুয়াড়ি আইসিসির কালো তালিকায় থাকাদের একজন।

আইসিসি তাদের সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে জানিয়েছে, তিনটি অভিযোগ আনা হয়েছে সাকিবের বিরুদ্ধে। তিন ম্যাচে সাকিবের কাছে ফিক্সিংয়ের প্রস্তাব দেয়া হয়েছিল বলে জানতে পেরেছে আইসিসি এবং সে সব বিষয়ে তারা প্রমাণও সংগ্রহ করেছে।

আকসুর ধারা ২.৪.৪ আর্টিকেলের মধ্যেই তিনটি অপরাধ করেছিলেন সাকিব। যেগুলো হচ্ছে-

১. ২০১৮ সালের জানুয়ারিতে শ্রীলঙ্কা, জিম্বাবুয়েকে নিয়ে বাংলাদেশের যে ত্রিদেশীয় সিরিজ হয়েছিল কিংবা ২০১৮ আইপিএলে প্রথম ফিক্সিংয়ের প্রস্তাব পান সাকিব। কিন্তু এ বিষয়ে তিনি আইসিসির অ্যান্টি করাপশন ইউনিটকে কোনো কিছুই জানাননি।

২. একই ধারার অধীনে অপরাধ : ২০১৮ সালের জানুয়ারিতে ত্রিদেশীয় সিরিজের সময়ই আরো একটি ফিক্সিংয়ের প্রস্তাব পেয়েছিলেন। কিন্তু সে বিষয়েও তিনি আইসিসিকে অবহিত করেননি।

৩. ২০১৮ সালের ২৬ এপ্রিল সানরাইজার্স হায়দরাবাদ এবং কিংস ইলেভেন পাঞ্জাবের মধ্যকার ম্যাচেও ফিক্সিংয়ের প্রস্তাব পেয়েছিলেন সাকিব। কিন্তু সে বিষয়েও তিনি আইসিসি কিংবা সংশ্লিষ্ট দুর্নীতি দমন সংস্থাকে কিছুই জানাননি।