নিজস্ব প্রতিবেদক
বাংলারচিঠিডটকম
প্রচলিত নিয়ম এবং আইনের আওতায় মানুষ অন্যায় অপরাধ করে কারাগারে আসে। কারাগার থেকে বের হয়ে যেনো কেউ আর অপরাধে জড়িয়ে না পড়েন এর জন্য বর্তমান সরকার নানামুখী উন্নয়ন পরিকল্পনা হাতে নিয়েছে। মানুষ ভুল করে আর ভুলের পুনরাবৃত্তি যাতে না ঘটে এর জন্য অন্যান্য কারাগারের মতো জামালপুরেও বিভিন্ন কার্যক্রম বাস্তবায়ন করা হচ্ছে। এক্ষেত্রে সরকারের পাশাপাশি জেলা অপরাধী সংশোধন ও পুনর্বাসন সমিতির কারাগারকেন্দ্রিক কার্যক্রম প্রশংসার দাবি রাখে। সম্মিলিতভাবে আমরা জামালপুর কারাগারকে মানুষ গড়ার কারিগর হিসেবে প্রতিষ্ঠা করতে চাই।
২৯ অক্টোবর জামালপুর কারাগারে অবস্থানরত হাজতি ও কয়েদির কল্যাণে কম্পিউটার ও সিলিং ফ্যান বিতরণ অনুষ্ঠানে জামালপুরের জেলা প্রশাসক ও অপরাধী সংশোধন ও পুনর্বাসন সমিতির সভাপতি মোহাম্মদ এনামুল হক তার বক্তব্যে কথাগুলো বলেন।
সকাল ১০টায় কারাগারের বিভিন্ন কক্ষ পরিদর্শন শেষে সামগ্রী বিতরণ অনুষ্ঠানের আগে সংক্ষিপ্ত আলোচনা সভা অনুষ্ঠিত হয়। এতে অন্যান্যের মাঝে আলোচনায় অংশ নেন জেলা প্রবেশন কর্মকর্তা আব্দুছ সালাম, অপরাধী সংশোধন ও পুনর্বাসন সমিতির সদস্য ও উন্নয়ন সংঘের মানবসম্পদ বিভাগের পরিচালক জাহাঙ্গীর সেলিম, জামালপুর দোকান মালিক সমিতির সভাপতি মিজানুর রহমার চৌধুরি প্রমুখ। অনুষ্ঠান সঞ্চালনা করেন জেল সুপার মোখলেছুর রহমান।
জেলা কারাগারের ব্যবস্থাপনায় আয়োজিত অনুষ্ঠানে দুটি কম্পিউটার এবং ২০টি সিলিং ফ্যান অপরাধী সংশোধন ও পুনর্বাসন সমিতির মাধ্যমে সংগ্রহ করে বিতরণ করা হয়। সমিতির আহ্বানে উপজেলা পরিষদ, জেলা দোকান মালিক সমিতি, নূর এ নূর ডেকোরেটর এবং হযরত শাহজামাল (র.) হাসপাতাল ফ্যানগুলো দান করে। জেলা প্রশাসন, কারাগার কর্তৃপক্ষ এবং অপরাধী সংশোধন ও পুনর্বাসন সমিতি ফ্যানদাতাদের ধন্যবাদ জানান।
উল্লেখ, জামালপুরে কারাগারে অবস্থানরত কর্মসক্ষম হাজতি ও কয়েদিদের দক্ষতা উন্নয়নের জন্য সেলাই প্রশিক্ষণ, কম্পিউটার প্রশিক্ষণসহ বিভিন্ন কারিগরি প্রশিক্ষণ দেওয়া হয়ে থাকে। এছাড়া মানবিক মূল্যবোধ প্রতিষ্ঠার জন্য ধর্মীয় শিক্ষা ও বয়স্ক শিক্ষার ব্যবস্থা আছে। কারাগারে স্বাস্থ্য সুরক্ষা এবং অপরাধ প্রবণতারোধে বিভিন্ন ধরনের উদ্বুদ্ধমূলক কার্যক্রম পরিচালনা করা হয়। মাঝে মাঝে এখানে বিভিন্ন বিনোদনমূলক অনুষ্ঠানের আয়োজন করা হয় বলে কারা কর্তৃপক্ষ জানান। প্রতিটি কক্ষে টেলিভিশন আছে। ২৪ ঘন্টা ফ্যান ও বৈদ্যুতিক বাতির ব্যবস্থা আছে বলে জানান জেল সুপার।
অনুষ্ঠানে অন্যান্যের মধ্যে অতিরিক্ত জেলা হাকিম সুহেল মাহমুদ, জেলা সমাজসেবা কার্যালয়ের সহকারী পরিচালক আবু ইলিয়াস মল্লিক, জেলার আসাদুর রহমান, অপরাধী সংশোধন ও পুনর্বাসন সমিতির সদস্য খন্দকার আব্দুল মতিন, মতিউর রহমান, সাযযাদ আনসারীসহ জেলা প্রশাসনে কর্মরত নির্বাহী হাকিমগণ উপস্থিত ছিলেন।